এবার মহাকাশ থেকে হাতিশুমারির কাজ করবেন বিজ্ঞানীরা

গাছের আড়ালে, গুহার ভেতরে লুকিয়ে থাকার প্রবণতা রয়েছে হাতিদের। তাছাড়া নির্দিষ্ট বিচরণক্ষেত্রের বাইরেও অনেক সময় তারা ঘুরে বেড়ায়। তাই জঙ্গলে ঢুকে হাতি শুমারির কাজ চালানো সহজ নয় মোটেও। এ সমস্যা মেটাতে এবার অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি

মহাকাশ থেকে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হবে হাতি গণনার কাজ। যন্ত্রের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কেউ কোথাও ঘাপটি মেরে থাকতে পারবে না। সম্প্রতি হাতি গণনার কাজে এ পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা।

প্রথম দেখায় ছবিগুলোকে মনে হতে পারে সবুজ কোনকিছুর প্রলেপ। মাঝখানে দেখা যায় কয়েকটি ধূসর বিন্দু। স্যাটেলাইটের ছবিতে সবুজ প্রলেপটি হচ্ছে বন্য গাছপালা। আর ধূসর বিন্দুগুলো হচ্ছে হাতি। এসব ছবি থেকেই আফ্রিকান হাতির হিসাব রাখছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ থেকে আফ্রিকান হাতিদের এসব ছবি তুলেছে পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী একটি স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইটটির অবস্থান ভূমি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭২ মাইল) দূরে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মেঘমুক্ত দিনে ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চলের হাতির হিসাব রাখা যাবে। হাতির হিসাব রাখা সহজ কাজ নয়। হাতি গণনার কঠিন এ কাজটি করা হবে কম্পিউটার অ্যালগরিদমের সাহায্যে। এর মাধ্যমে ছবি থেকে ধূসর বিন্দুর হিসাব করে হাতির সংখ্যা বের করবে কম্পিউটার। ইউনিভার্সিটি অব বাথ এর গবেষক ড. ওলগা ইসুপোভা বলেন, খালি চোখে দেখে হাতিগুলোকে শনাক্ত করা যায় না। কোনটি হাতি এবং কোনটি হাতি নয়, সেটি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্দো এলিফ্যান্ট ন্যাশনাল পার্কের হাতিগুলো গণনা করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের কনজারভেশন সায়েন্টিস্ট ড. ইসলা ডাপোর্গে বলেন, এ পার্কে অনেক হাতির উপস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

এবার মহাকাশ থেকে হাতিশুমারির কাজ করবেন বিজ্ঞানীরা

গাছের আড়ালে, গুহার ভেতরে লুকিয়ে থাকার প্রবণতা রয়েছে হাতিদের। তাছাড়া নির্দিষ্ট বিচরণক্ষেত্রের বাইরেও অনেক সময় তারা ঘুরে বেড়ায়। তাই জঙ্গলে ঢুকে হাতি শুমারির কাজ চালানো সহজ নয় মোটেও। এ সমস্যা মেটাতে এবার অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি

মহাকাশ থেকে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হবে হাতি গণনার কাজ। যন্ত্রের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কেউ কোথাও ঘাপটি মেরে থাকতে পারবে না। সম্প্রতি হাতি গণনার কাজে এ পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা।

প্রথম দেখায় ছবিগুলোকে মনে হতে পারে সবুজ কোনকিছুর প্রলেপ। মাঝখানে দেখা যায় কয়েকটি ধূসর বিন্দু। স্যাটেলাইটের ছবিতে সবুজ প্রলেপটি হচ্ছে বন্য গাছপালা। আর ধূসর বিন্দুগুলো হচ্ছে হাতি। এসব ছবি থেকেই আফ্রিকান হাতির হিসাব রাখছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ থেকে আফ্রিকান হাতিদের এসব ছবি তুলেছে পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী একটি স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইটটির অবস্থান ভূমি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭২ মাইল) দূরে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মেঘমুক্ত দিনে ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চলের হাতির হিসাব রাখা যাবে। হাতির হিসাব রাখা সহজ কাজ নয়। হাতি গণনার কঠিন এ কাজটি করা হবে কম্পিউটার অ্যালগরিদমের সাহায্যে। এর মাধ্যমে ছবি থেকে ধূসর বিন্দুর হিসাব করে হাতির সংখ্যা বের করবে কম্পিউটার। ইউনিভার্সিটি অব বাথ এর গবেষক ড. ওলগা ইসুপোভা বলেন, খালি চোখে দেখে হাতিগুলোকে শনাক্ত করা যায় না। কোনটি হাতি এবং কোনটি হাতি নয়, সেটি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্দো এলিফ্যান্ট ন্যাশনাল পার্কের হাতিগুলো গণনা করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের কনজারভেশন সায়েন্টিস্ট ড. ইসলা ডাপোর্গে বলেন, এ পার্কে অনেক হাতির উপস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি।