স্বপ্নমাখা রঙিন বেলুনে নিজেদের দিনটি রাঙাতে চেয়েছিল শিশুগুলো। বেলুন আর উড়ানো হয়নি ওদের। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে উড়ে গেছে দুই শিশুর প্রাণপাখি। মারা গেছে রঙিন বেলুনের বিক্রেতাও।
গত শুক্রবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে বেলুনে গ্যাস ভরার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেছে দুই শিশু ও বেলুন বিক্রেতা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও নয় শিশু।
বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এর আগেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে রাজধানীর রূপনগরে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল সাত শিশু।
বেলুনে সাধারণত হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করার কথা। কিন্তু বেলুন বিক্রেতারা ব্যবহার করছেন হাইড্রোজেন গ্যাস। অ্যালুমিনিয়াম, পানি এবং কস্টিক সোডার মতো সহজলভ্য উপাদান দিয়ে তারা ঘরে বসেই এ গ্যাস তৈরি করেন বলে জানা যায়। এ পদ্ধতিতে খরচ কম হওয়ায় তারা হাইড্রোজেন গ্যাসের দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কস্টিক সোডার কারণে প্রচ- তাপ সৃষ্টি হয় এবং সিলিন্ডারে ক্ষয় ধরে পাতলা হয়ে একসময় লিকেজ তৈরি হয়। এ কারণে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বেলুন বিক্রেতারা ফ্রি স্টাইলে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করতে পারছেন কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। নিয়ম অনুযায়ী, সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করা অবৈধ। এ অবৈধ কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব পুলিশের না বিস্ফোরক পরিদপ্তরেরÑ এ নিয়ে এক সংস্থা আরেক সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপায়। তাদের এ দায় চাপানোর খেলায় ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে মানুষ। এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।
মেলা বা কোন উৎসব-অনুষ্ঠানে বেশি মানুষের ভিড়ে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে বেলুন বিক্রি আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। কাজেই সিলিন্ডার ব্যবহার করে যারা গ্যাস বেলুন বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২
স্বপ্নমাখা রঙিন বেলুনে নিজেদের দিনটি রাঙাতে চেয়েছিল শিশুগুলো। বেলুন আর উড়ানো হয়নি ওদের। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে উড়ে গেছে দুই শিশুর প্রাণপাখি। মারা গেছে রঙিন বেলুনের বিক্রেতাও।
গত শুক্রবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে বেলুনে গ্যাস ভরার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেছে দুই শিশু ও বেলুন বিক্রেতা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও নয় শিশু।
বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এর আগেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে রাজধানীর রূপনগরে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল সাত শিশু।
বেলুনে সাধারণত হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করার কথা। কিন্তু বেলুন বিক্রেতারা ব্যবহার করছেন হাইড্রোজেন গ্যাস। অ্যালুমিনিয়াম, পানি এবং কস্টিক সোডার মতো সহজলভ্য উপাদান দিয়ে তারা ঘরে বসেই এ গ্যাস তৈরি করেন বলে জানা যায়। এ পদ্ধতিতে খরচ কম হওয়ায় তারা হাইড্রোজেন গ্যাসের দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কস্টিক সোডার কারণে প্রচ- তাপ সৃষ্টি হয় এবং সিলিন্ডারে ক্ষয় ধরে পাতলা হয়ে একসময় লিকেজ তৈরি হয়। এ কারণে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বেলুন বিক্রেতারা ফ্রি স্টাইলে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করতে পারছেন কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। নিয়ম অনুযায়ী, সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করা অবৈধ। এ অবৈধ কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব পুলিশের না বিস্ফোরক পরিদপ্তরেরÑ এ নিয়ে এক সংস্থা আরেক সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপায়। তাদের এ দায় চাপানোর খেলায় ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে মানুষ। এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।
মেলা বা কোন উৎসব-অনুষ্ঠানে বেশি মানুষের ভিড়ে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে বেলুন বিক্রি আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। কাজেই সিলিন্ডার ব্যবহার করে যারা গ্যাস বেলুন বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।