সংসদে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, করোনা মহামারীকালেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই এটা সম্ভব হয়েছে। তার রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এ সাফল্য এসেছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের মুলতবি বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধির নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত এবং আইন প্রণয়ন কার্যক্রমের পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শুরু হয়। গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। গতকাল ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার চতুর্থ দিন। আলোচনায় অংশ নেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সরকারি দলের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, ভাষণে রাষ্ট্রপতি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারী সফলভাবে মোকাবিলা করে দেশ যে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তাও উল্লেখ করেন। তারা সরকারের কৃষি, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সব খাতে ব্যাপক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, কর্ণফুলি বঙ্গবন্ধু ট্যানেলসহ ২৪টি মেগা প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হবে। এজন্য তার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, এক যুগে দেশে আবাসন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে।
সংসদের বৈঠক মুলতবি
সংসদের বৈঠক আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ মুলতবি ঘোষণা করেন।
সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
সংসদে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, করোনা মহামারীকালেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই এটা সম্ভব হয়েছে। তার রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এ সাফল্য এসেছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের মুলতবি বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধির নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত এবং আইন প্রণয়ন কার্যক্রমের পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শুরু হয়। গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। গতকাল ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার চতুর্থ দিন। আলোচনায় অংশ নেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সরকারি দলের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, ভাষণে রাষ্ট্রপতি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারী সফলভাবে মোকাবিলা করে দেশ যে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তাও উল্লেখ করেন। তারা সরকারের কৃষি, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সব খাতে ব্যাপক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, কর্ণফুলি বঙ্গবন্ধু ট্যানেলসহ ২৪টি মেগা প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হবে। এজন্য তার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, এক যুগে দেশে আবাসন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে।
সংসদের বৈঠক মুলতবি
সংসদের বৈঠক আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ মুলতবি ঘোষণা করেন।