‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই শ্লোগানে পর্দা নামলো ‘ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের’ । রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ-এর উদ্যোগে ১৬ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত নয় দিনব্যাপী এবারের এই উৎসব উৎসর্গ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের মূল-মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এছাড়া উৎসবের নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদ ও উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল উপস্থিত ছিলেন।
উৎসবের শেষ দিন বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে ফাখরুল আরেফীন খান পরিচালিত ‘গণ্ডি’ (দর্শক জরিপ) ও মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ (জুরি) পুরস্কার পেয়েছে। অতিথিরা উৎসবের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার শ্রেষ্ঠ শিশু চলচ্চিত্র বাদল রহমান পুরস্কার পেয়েছে রাশিয়ান চলচ্চিত্র ‘তাগানক টিম’, নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ-স্বল্পদৈর্ঘ্যে ইরানী সিনেমা ‘তিরিশকো’র জন্য শাকিবা খালেঘি ও একই বিভাগে স্প্যাশাল ম্যানশন পুরস্কার পেয়েছেন সুডেনের জেসিকা লরেন, সিনেমা ‘ওয়ে হোম’।
নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ-শ্রেষ্ঠ তথ্যচিত্র হয়েছে ইভডোকিয়া মোসকভিনা পরিচালিত ‘ফরবিডেন চিলড্রেন’ (রাশিয়া, সিরিয়া)। সেরা নারী নির্মাতা হয়েছে মারগারিদা পাইভা (দ্য লিটল ব্ল্যাক ড্রেস)।
স্পিরিচ্যুয়াল চলচ্চিত্র বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে সাইপ্রাসের মারিনোস কারতিক্কিস পরিচালিত ‘সিনিয়র সিটিজেন’। একই বিভাগে শ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারি হয়েছে মেহরদাদ ওস্কৌই পরিচালিত ‘সানলেস শ্যাডো’।
এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগে শ্রেষ্ঠ স্ক্রিপ্ট রাইটার হয়েছেন নাসিম আহমদপুর ও শারাম মোকরি (ক্যায়ারলেস ক্রাইম)। একই বিভাগে শ্রেষ্ঠ সিনেমাট্রোগ্রাফার হয়েছেন ওটগনজুরিগ ব্যাচুলুউন (দ্য ওম্যান)। এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মেরুইরট সুব্বুসিনোভা ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন নিজাত ইসলার (৯৭৫)। শ্রেষ্ঠ পরিচালক কসেনিয়া লাগুটিনা (ফারিদা)। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে ‘দ্য রোড টু ইডেন’। উৎসবে প্রদর্শিত ৭৩টি দেশের ২২৬টি চলচ্চিত্রের ভেতর বাংলাদেশের রেকর্ডসংখ্যক ৪১টি চলচ্চিত্র রয়েছে। ৫টি বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রগুলোকে দেয়া হলো পুরস্কার।
সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই শ্লোগানে পর্দা নামলো ‘ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের’ । রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ-এর উদ্যোগে ১৬ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত নয় দিনব্যাপী এবারের এই উৎসব উৎসর্গ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের মূল-মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এছাড়া উৎসবের নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদ ও উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল উপস্থিত ছিলেন।
উৎসবের শেষ দিন বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে ফাখরুল আরেফীন খান পরিচালিত ‘গণ্ডি’ (দর্শক জরিপ) ও মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ (জুরি) পুরস্কার পেয়েছে। অতিথিরা উৎসবের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার শ্রেষ্ঠ শিশু চলচ্চিত্র বাদল রহমান পুরস্কার পেয়েছে রাশিয়ান চলচ্চিত্র ‘তাগানক টিম’, নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ-স্বল্পদৈর্ঘ্যে ইরানী সিনেমা ‘তিরিশকো’র জন্য শাকিবা খালেঘি ও একই বিভাগে স্প্যাশাল ম্যানশন পুরস্কার পেয়েছেন সুডেনের জেসিকা লরেন, সিনেমা ‘ওয়ে হোম’।
নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ-শ্রেষ্ঠ তথ্যচিত্র হয়েছে ইভডোকিয়া মোসকভিনা পরিচালিত ‘ফরবিডেন চিলড্রেন’ (রাশিয়া, সিরিয়া)। সেরা নারী নির্মাতা হয়েছে মারগারিদা পাইভা (দ্য লিটল ব্ল্যাক ড্রেস)।
স্পিরিচ্যুয়াল চলচ্চিত্র বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে সাইপ্রাসের মারিনোস কারতিক্কিস পরিচালিত ‘সিনিয়র সিটিজেন’। একই বিভাগে শ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারি হয়েছে মেহরদাদ ওস্কৌই পরিচালিত ‘সানলেস শ্যাডো’।
এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগে শ্রেষ্ঠ স্ক্রিপ্ট রাইটার হয়েছেন নাসিম আহমদপুর ও শারাম মোকরি (ক্যায়ারলেস ক্রাইম)। একই বিভাগে শ্রেষ্ঠ সিনেমাট্রোগ্রাফার হয়েছেন ওটগনজুরিগ ব্যাচুলুউন (দ্য ওম্যান)। এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মেরুইরট সুব্বুসিনোভা ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন নিজাত ইসলার (৯৭৫)। শ্রেষ্ঠ পরিচালক কসেনিয়া লাগুটিনা (ফারিদা)। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে ‘দ্য রোড টু ইডেন’। উৎসবে প্রদর্শিত ৭৩টি দেশের ২২৬টি চলচ্চিত্রের ভেতর বাংলাদেশের রেকর্ডসংখ্যক ৪১টি চলচ্চিত্র রয়েছে। ৫টি বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রগুলোকে দেয়া হলো পুরস্কার।