দীর্ঘ ১২ বছর পর রংপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আউনুল হক নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক যাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ মার্চ রাত ৮ টার দিকে রংপুর নগরীর মধ্য বিন্যাটারী এলাকার ১৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির অদূরে বাঁশঝাড়ের কাছে গেলে একই এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আইনুল হক তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আইনুলকে আটক করে।
কিন্তু তার স্বজনরা হামলা চালিয়ে আইনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুরতর অবস্থায় শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধিক রক্তক্ষরণে শিশুটি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছিল। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
মামলায় বাদী পক্ষের ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। সরকার পক্ষে আইনজীবী রফিক হাসনাইন এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আসামি একটি শিশুর ওপর পাশবিক নির্যাতন করেছেন। বিচারক তার দেয়া রায়ে এ ঘটনাকে জঘন্যতম ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল হক প্রমাণিক বলেছেন তারা ন্যায়বিচার পাননি, উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
দীর্ঘ ১২ বছর পর রংপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আউনুল হক নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক যাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ মার্চ রাত ৮ টার দিকে রংপুর নগরীর মধ্য বিন্যাটারী এলাকার ১৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির অদূরে বাঁশঝাড়ের কাছে গেলে একই এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আইনুল হক তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আইনুলকে আটক করে।
কিন্তু তার স্বজনরা হামলা চালিয়ে আইনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুরতর অবস্থায় শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধিক রক্তক্ষরণে শিশুটি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছিল। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
মামলায় বাদী পক্ষের ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। সরকার পক্ষে আইনজীবী রফিক হাসনাইন এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আসামি একটি শিশুর ওপর পাশবিক নির্যাতন করেছেন। বিচারক তার দেয়া রায়ে এ ঘটনাকে জঘন্যতম ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল হক প্রমাণিক বলেছেন তারা ন্যায়বিচার পাননি, উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।