কারাগারে আসামির সঙ্গে নারী

জেল সুপার রত্মা রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার

কাশিমপুর কারাগারে কারাবিধি উপেক্ষা করে বন্দীর সঙ্গে নারীর সাক্ষাতের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। একই সঙ্গে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হবে কারা অধিদপ্তর থেকে। গত ৬ জানুয়ারি বন্দীর সঙ্গে স্ত্রীর সাক্ষাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে কারা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে বন্দীর সঙ্গে স্বজনের (স্ত্রীর) সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়ায় কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়ার জেল সুপার রতœা রায় এবং জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদপ্তর। গতকাল তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় ডেপুটি জেলারসহ ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় ৫ জনকে প্রত্যাহার করা হলো।

এ বিষয়ে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে কারাগারে নারীর সময় কাটানোর ঘটনায় আমরা সিনিয়র জেল সুপার, জেলারসহ মোট পাঁচজনকে প্রত্যাহার করেছি। এর আগে তিনজন ও গতকাল দুইজনকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার আহমেদ টেলিফোনে সংবাদকে বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তদন্তের আগে ঘটনা কি ছিল, সাক্ষাৎপ্রার্থী নারী কে ছিল সেসব কিছু না জেনেই যা তা লেখা হয়েছে কিছু গণমাধ্যমে। যা কারা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে। এমন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আগে সবকিছু জেনে নেয়া উচিত।

কারা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বন্দী তুষারের সঙ্গে যে নারী সাক্ষাৎ করতে এসেছিল সেই নারী তুষারের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী সাক্ষাৎ করার অধিকার সবচেয়ে বেশি। বন্দীর সঙ্গে তার স্বজনরা দেখা-সাক্ষাৎ করাটা কোন দোষের কিছু নয়। কিন্তু করোনাকালে সব ধরনের সাক্ষাৎ যেহেতু বন্ধ তাই সাক্ষাৎ ঘটনায় অন্য কোন কিছু ঘটেছে কিনা, কি উদ্দেশে সাক্ষাৎ ছিল, এ সাক্ষাতের ঘটনায় কারা কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে কোন লাভবান হয়ে এমন কাজটি করেছেন কিনা এসব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে ।

কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, করোনাকালে বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সব ধরনের সাক্ষাৎ একেবারেই বন্ধ। সরকারি এমন সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে কারাবন্দীর সঙ্গে এক নারী সাক্ষাৎ করেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এর বন্দী হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তানভীরের ভায়রা কোম্পানির জিএম তুষারের সঙ্গে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন সাক্ষাতের অনুমতির জন্য ১২টা ২২ মিনিটে সুপারের রুমে প্রবেশ করেন। সুপারের রুম থেকে অনুমতি নিয়ে ১২টা ৪০ মিনিটে বের হন সাকলাইন। ১২টা ৫৬ মিনিটে ওই নারী কারাগারে প্রবেশ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২টা ৫৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে ১টা ৪ মিনিটে তুষারকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে একটি কক্ষে নেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কাটায় ওই নারীর সঙ্গে। পরে জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে ওই নারী তুষারের স্ত্রী ছিল।

কারা অধিদপ্তরের অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে সবকিছু রেকর্ড রয়েছে। ঘটনা প্রকাশ হলে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির ওই সদস্য বলেন, ইতোমধ্যে কারা অধিদপ্তরের সিসি ক্যামেরা ফুটেজটি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটি নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে। গতকাল তদন্ত কমিটি বৈঠক করেছে। পুরো ঘটনা নানাভাবে বিশ্লষণ করা হয়েছে। ঘটনায় কার কি দায় আছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খনাভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে কি উল্লেখ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, কাশিমপুর কারাগারে এর আগেও নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। একজন বন্দী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ক্রুটিগুলো যাতে না ঘটে বিশেষ করে বিধিভঙ্গ করে বন্দীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেয়ার মতো ঘটনাগুলো যাতে আর না ঘটে এসব বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করা হবে প্রতিবেদনে। গত ৬ জানুয়ারি বিধি উপেক্ষা করে বন্দীর সঙ্গে নারীর সাক্ষাৎ এবং একজন কর্মকর্তার রুমে একান্তে সময় কাটানোর মতো অপরাধের সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারের যাদের দায় আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ থাকবে।

তদন্ত সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, কারাগার একটি সুরক্ষিত জায়গা। সেখানে কখন কি হচ্ছে তা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। ফুটেজে অমূলক কোন কিছু ধরা পড়লে সেগুলো নিয়ে কারা গোয়েন্দা টিমগুলো কাজ করে। বন্দীর সঙ্গে নারীর সাক্ষাতের ঘটনার পরপরই কারা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু কারাগারের অভ্যন্তরে সেই সাক্ষাতের ঘটনায় ধারণকৃত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ একটি টিভি চ্যানেলে চলে যায়। পরে ওই টিভি চ্যানেলটি সেটি প্রচার করে। ফুটেজটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নানারকম প্রতিবেদন প্রকাশ হতে থাকে। এসব নিয়ে কারা অধিদপ্তরের তদন্তে কিছুটা নেতিবাচক পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কারাগারের অভ্যন্তরের ফুটেজ বাইরে কিভাবে গেল এটি নিয়েও তদন্ত করা হবে।

image
আরও খবর
গ্যাস সিলিন্ডারে বেলুন ফোলানো বন্ধে অভিযান চালান
করোনায় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল বিশ্বে অনন্য উদাহরণ সরকারি দল
বিএনপি টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়েও অপপ্রচার চালাচ্ছে কাদের
টিকা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা বৃদ্ধির সুপারিশ
করোনার অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭তম জন্মবার্ষিকী আজ
পর্দা নামলো ‘উনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের’
রংপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
ভারতে পাচার করে দেয়া যুবকের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি
বেড়েছে জরিমানার অঙ্ক, কমেনি দুর্ঘটনা
মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া সবচেয়ে বড় দুর্নীতি মির্জা ফখরুল
বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান হলেন এহছানে এলাহী
ঘন কুয়াশায় ফের ১২ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল
দৈনিক সংবাদে কোন সংবাদদাতা নিয়োগ করা হচ্ছে না

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কারাগারে আসামির সঙ্গে নারী

জেল সুপার রত্মা রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

কাশিমপুর কারাগারে কারাবিধি উপেক্ষা করে বন্দীর সঙ্গে নারীর সাক্ষাতের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। একই সঙ্গে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হবে কারা অধিদপ্তর থেকে। গত ৬ জানুয়ারি বন্দীর সঙ্গে স্ত্রীর সাক্ষাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে কারা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে বন্দীর সঙ্গে স্বজনের (স্ত্রীর) সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়ায় কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়ার জেল সুপার রতœা রায় এবং জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদপ্তর। গতকাল তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় ডেপুটি জেলারসহ ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় ৫ জনকে প্রত্যাহার করা হলো।

এ বিষয়ে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে কারাগারে নারীর সময় কাটানোর ঘটনায় আমরা সিনিয়র জেল সুপার, জেলারসহ মোট পাঁচজনকে প্রত্যাহার করেছি। এর আগে তিনজন ও গতকাল দুইজনকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার আহমেদ টেলিফোনে সংবাদকে বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তদন্তের আগে ঘটনা কি ছিল, সাক্ষাৎপ্রার্থী নারী কে ছিল সেসব কিছু না জেনেই যা তা লেখা হয়েছে কিছু গণমাধ্যমে। যা কারা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে। এমন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আগে সবকিছু জেনে নেয়া উচিত।

কারা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বন্দী তুষারের সঙ্গে যে নারী সাক্ষাৎ করতে এসেছিল সেই নারী তুষারের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী সাক্ষাৎ করার অধিকার সবচেয়ে বেশি। বন্দীর সঙ্গে তার স্বজনরা দেখা-সাক্ষাৎ করাটা কোন দোষের কিছু নয়। কিন্তু করোনাকালে সব ধরনের সাক্ষাৎ যেহেতু বন্ধ তাই সাক্ষাৎ ঘটনায় অন্য কোন কিছু ঘটেছে কিনা, কি উদ্দেশে সাক্ষাৎ ছিল, এ সাক্ষাতের ঘটনায় কারা কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে কোন লাভবান হয়ে এমন কাজটি করেছেন কিনা এসব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে ।

কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, করোনাকালে বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সব ধরনের সাক্ষাৎ একেবারেই বন্ধ। সরকারি এমন সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে কারাবন্দীর সঙ্গে এক নারী সাক্ষাৎ করেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এর বন্দী হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তানভীরের ভায়রা কোম্পানির জিএম তুষারের সঙ্গে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন সাক্ষাতের অনুমতির জন্য ১২টা ২২ মিনিটে সুপারের রুমে প্রবেশ করেন। সুপারের রুম থেকে অনুমতি নিয়ে ১২টা ৪০ মিনিটে বের হন সাকলাইন। ১২টা ৫৬ মিনিটে ওই নারী কারাগারে প্রবেশ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২টা ৫৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে ১টা ৪ মিনিটে তুষারকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে একটি কক্ষে নেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কাটায় ওই নারীর সঙ্গে। পরে জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে ওই নারী তুষারের স্ত্রী ছিল।

কারা অধিদপ্তরের অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে সবকিছু রেকর্ড রয়েছে। ঘটনা প্রকাশ হলে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির ওই সদস্য বলেন, ইতোমধ্যে কারা অধিদপ্তরের সিসি ক্যামেরা ফুটেজটি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটি নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে। গতকাল তদন্ত কমিটি বৈঠক করেছে। পুরো ঘটনা নানাভাবে বিশ্লষণ করা হয়েছে। ঘটনায় কার কি দায় আছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খনাভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে কি উল্লেখ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, কাশিমপুর কারাগারে এর আগেও নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। একজন বন্দী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ক্রুটিগুলো যাতে না ঘটে বিশেষ করে বিধিভঙ্গ করে বন্দীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেয়ার মতো ঘটনাগুলো যাতে আর না ঘটে এসব বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করা হবে প্রতিবেদনে। গত ৬ জানুয়ারি বিধি উপেক্ষা করে বন্দীর সঙ্গে নারীর সাক্ষাৎ এবং একজন কর্মকর্তার রুমে একান্তে সময় কাটানোর মতো অপরাধের সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারের যাদের দায় আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ থাকবে।

তদন্ত সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, কারাগার একটি সুরক্ষিত জায়গা। সেখানে কখন কি হচ্ছে তা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। ফুটেজে অমূলক কোন কিছু ধরা পড়লে সেগুলো নিয়ে কারা গোয়েন্দা টিমগুলো কাজ করে। বন্দীর সঙ্গে নারীর সাক্ষাতের ঘটনার পরপরই কারা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু কারাগারের অভ্যন্তরে সেই সাক্ষাতের ঘটনায় ধারণকৃত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ একটি টিভি চ্যানেলে চলে যায়। পরে ওই টিভি চ্যানেলটি সেটি প্রচার করে। ফুটেজটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নানারকম প্রতিবেদন প্রকাশ হতে থাকে। এসব নিয়ে কারা অধিদপ্তরের তদন্তে কিছুটা নেতিবাচক পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কারাগারের অভ্যন্তরের ফুটেজ বাইরে কিভাবে গেল এটি নিয়েও তদন্ত করা হবে।