দু’দিন আগেও তাদের ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই, ছিল না ঠিকানা। এখন তারা ঘর পেয়েছেন। দলিলসহ জমির মালিক হয়েছেন। হাসি ফুটেছে ভূমিহীন-গৃহহীন হাজারও মানুষের মুখে।
দেশের ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের একটি তালিকা তৈরি করেছে সরকার। ধাপে ধাপে তালিকাভুক্তদের গৃহ নির্মাণ ও পুনর্বাসনের কথা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে গত শনিবার সারা দেশে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মাসে আরও এক লাখ বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পুনর্বাসিত করা হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ।
মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাসস্থান। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের বহু মানুষের থাকার মতো ঘর তো দূরের কথা, জমিই নেই। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দেশের লাখো মানুষ ঘরহীন। দেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে দেশের লাখো মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না সেটা মেনে নেয়া যায় না। সীমিত সম্পদেরও সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হলে যে মানুষের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করা যায় সেটার উদাহরণ হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। আমরা সরকারের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। এ প্রকল্পের কারণে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় বা শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আশ্রয় জুটছে বহু মানুষের।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, দেশের একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না। এই প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম আমরা। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিভিন্ন সময় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আগামীতে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। কোন দুষ্টচক্রের কারণে সরকারের মহৎ উদ্যোগ যেন ব্যর্থ হয়ে না যায় সেজন্য থাকতে হবে সতর্ক।
সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২
দু’দিন আগেও তাদের ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই, ছিল না ঠিকানা। এখন তারা ঘর পেয়েছেন। দলিলসহ জমির মালিক হয়েছেন। হাসি ফুটেছে ভূমিহীন-গৃহহীন হাজারও মানুষের মুখে।
দেশের ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের একটি তালিকা তৈরি করেছে সরকার। ধাপে ধাপে তালিকাভুক্তদের গৃহ নির্মাণ ও পুনর্বাসনের কথা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে গত শনিবার সারা দেশে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মাসে আরও এক লাখ বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পুনর্বাসিত করা হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ।
মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাসস্থান। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের বহু মানুষের থাকার মতো ঘর তো দূরের কথা, জমিই নেই। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দেশের লাখো মানুষ ঘরহীন। দেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে দেশের লাখো মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না সেটা মেনে নেয়া যায় না। সীমিত সম্পদেরও সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হলে যে মানুষের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করা যায় সেটার উদাহরণ হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। আমরা সরকারের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। এ প্রকল্পের কারণে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় বা শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আশ্রয় জুটছে বহু মানুষের।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, দেশের একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না। এই প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম আমরা। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিভিন্ন সময় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আগামীতে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। কোন দুষ্টচক্রের কারণে সরকারের মহৎ উদ্যোগ যেন ব্যর্থ হয়ে না যায় সেজন্য থাকতে হবে সতর্ক।