রাজশাহীতে প্রি-পেইড মিটারে বাড়ছে গ্রাহক অসন্তোষ

রাজশাহী অঞ্চলে প্রি- পেইড বৈদ্যুতিক মিটার বসানোর কাজ শুরু করেছে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। এসব মিটারের কারণে এখন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগেই কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে হবে।

তবে এসব মিটার নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ বাড়ছে। তারপরও প্রি-পেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে ঠিকাদারের মাধ্যমে। গত শনিবার দুপুরে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় ঠিকাদারের লোকজন বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানোর কাজ শুরু করে।

এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা এর বিরোধিতা করে ঠিকাদারের কর্মীদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। একইসঙ্গে যে ক’টি বাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছিল সেগুলোও খুলে নিতে বাধ্য করা হয়।

এ সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইপিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশিকুল হক এই মিটারের উপকারিতা বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশিকুল হক বলেন, তারা শহরে প্রায় আড়াই হাজার বাড়িতে প্রি-পেইড মিটার বসিয়েছেন। কুমারপাড়া এলাকায় এসে তারা বাধার সম্মুখিন হলেন। বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। নেসকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধান করবেন।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, প্রি-পেইড মিটারে যদি আমার রাত ১২টায় টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে কি আমি অন্ধকারে থাকব? মোবাইলে যেমন কখন কয়টাকা কাটে তার ঠিক নাই, সেরকমই প্রি-পেইড মিটারে কখন কি হবে তার ঠিক নাই। আমাদের এই নিশ্চয়তা কে দেবে? আগে আমাদের বোঝাতে হবে, নিশ্চয়তা দিতে হবে, তারপর মিটার লাগাতে হবে। গত বছরের ৮ অক্টোবর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাজশাহী, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

২৮ অক্টোবর এই মিটারের প্রথম বিরোধিতা করে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন বলেন, ভোগান্তি নয়, এতে গ্রাহকেরই সুবিধা হবে। তিনি বলেন, একটা নতুন কিছু এলে সেক্ষেত্রে বিরোধিতা হতেই পারে। আমরা একটা গণশুনানি বা সেমিনার আয়োজন করে মানুষকে বোঝাব। তাহলে তারা নিশ্চয় বুঝবেন।

আরও খবর
গরু নেই, বাবা-ছেলের কাঁধে হালের জোয়াল
ফরিদপুরে ৮শ’ কম্বল পেলেন প্রতিবন্ধীরা
নৌকার মাঝি হতে চান গালাগাঁও চেয়ারম্যান জিয়াউল হক
খুলনায় ভাঙা হবে ২২৬ অবৈধ স্থাপনা
গ্রামীণফোনের ১৮০ কর্মীকে পুনর্বহালের দাবি
শার্শায় অপহৃত শিশুকে ৩ দিন পর উদ্ধার
চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্রে জিম্মি রোগীরা
বনকর্তাদের যোগসাজশে সামাজিক বনায়নের গাছ লুটের অভিযোগ
শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে হাওরে বোরো আবাদের ধুম
সালথায় পাঁচ গ্রামের ভরসা সেতু ঝুঁকিপূর্ণ
কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তর
পীরগাছায় ৪০ দিনের কর্মসূচির অর্থ জনপ্রতিনিধির পকেটে!
চরফ্যাশনে ছাত্রী ধর্ষণ : মামলা
বদরগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে বোরো আবাদ

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রাজশাহীতে প্রি-পেইড মিটারে বাড়ছে গ্রাহক অসন্তোষ

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী অঞ্চলে প্রি- পেইড বৈদ্যুতিক মিটার বসানোর কাজ শুরু করেছে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। এসব মিটারের কারণে এখন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগেই কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে হবে।

তবে এসব মিটার নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ বাড়ছে। তারপরও প্রি-পেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে ঠিকাদারের মাধ্যমে। গত শনিবার দুপুরে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় ঠিকাদারের লোকজন বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানোর কাজ শুরু করে।

এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা এর বিরোধিতা করে ঠিকাদারের কর্মীদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। একইসঙ্গে যে ক’টি বাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছিল সেগুলোও খুলে নিতে বাধ্য করা হয়।

এ সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইপিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশিকুল হক এই মিটারের উপকারিতা বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশিকুল হক বলেন, তারা শহরে প্রায় আড়াই হাজার বাড়িতে প্রি-পেইড মিটার বসিয়েছেন। কুমারপাড়া এলাকায় এসে তারা বাধার সম্মুখিন হলেন। বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। নেসকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধান করবেন।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, প্রি-পেইড মিটারে যদি আমার রাত ১২টায় টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে কি আমি অন্ধকারে থাকব? মোবাইলে যেমন কখন কয়টাকা কাটে তার ঠিক নাই, সেরকমই প্রি-পেইড মিটারে কখন কি হবে তার ঠিক নাই। আমাদের এই নিশ্চয়তা কে দেবে? আগে আমাদের বোঝাতে হবে, নিশ্চয়তা দিতে হবে, তারপর মিটার লাগাতে হবে। গত বছরের ৮ অক্টোবর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাজশাহী, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

২৮ অক্টোবর এই মিটারের প্রথম বিরোধিতা করে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন বলেন, ভোগান্তি নয়, এতে গ্রাহকেরই সুবিধা হবে। তিনি বলেন, একটা নতুন কিছু এলে সেক্ষেত্রে বিরোধিতা হতেই পারে। আমরা একটা গণশুনানি বা সেমিনার আয়োজন করে মানুষকে বোঝাব। তাহলে তারা নিশ্চয় বুঝবেন।