লোহাগাড়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উপকারভোগীদের অগোছরে সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পদুয়া রেঞ্জের অধীনে বন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ডলু বন বিটের ফারাঙ্গা মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান উপকারভোগীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছ কাটার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও উপকারভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার চুনতির চাম্বি লেকের দক্ষিণে ফারাঙ্গা মৌজায় ২০১৫-১৬ সালে ২০০ একর সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়। তৎমধ্যে ২০০ জন উপকারভোগী রয়েছেন। গেল সপ্তাহ যাবত স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দুর্বৃত্তরা সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলে উপকারভোগীরা দাবী করেছেন। চুনতি জয়নগর, পানত্রিশা, নারিশ্চা ও ফারেঙ্গা মনদুলার চরের কয়েজন বন বিভাগের কাছ থেকে সামাজিক বনায়নের ওই গাছ কিনেছেন বলে জানান উপকারভোগীরা।
সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী মিঠন কর্মকার জানান, বড় বড় আকাশমনি ও গর্জন গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে ডলু বিট কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে তিনি জানান।
উপকারভোগী আবুল কালাম, মোহাম্মদ ওসমান ও নুর হোসেন ক্ষোভের সাথে জানান, উপকারভোগীদের অগোছরে বন কর্মকর্তারা গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন ২০-৩০ গাড়ি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান¡ মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, সামাজিক বনায়নের গাছ এভাবে কেটে বিক্রি করাটা দুঃখজনক। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে আর কি বা বলার আছে!
ডলু বিট কর্মকর্তা মুনতাছির রহমান জানান, গাছ বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়। দুর্বৃত্তরা লাল জাতের কিছু গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করে পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, রবিবার সরেজমিনে ওই বাগানে পরিদর্শন করেছি। এব্যাপারে শীঘ্্রই মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
লোহাগাড়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উপকারভোগীদের অগোছরে সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পদুয়া রেঞ্জের অধীনে বন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ডলু বন বিটের ফারাঙ্গা মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান উপকারভোগীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছ কাটার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও উপকারভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার চুনতির চাম্বি লেকের দক্ষিণে ফারাঙ্গা মৌজায় ২০১৫-১৬ সালে ২০০ একর সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়। তৎমধ্যে ২০০ জন উপকারভোগী রয়েছেন। গেল সপ্তাহ যাবত স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দুর্বৃত্তরা সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলে উপকারভোগীরা দাবী করেছেন। চুনতি জয়নগর, পানত্রিশা, নারিশ্চা ও ফারেঙ্গা মনদুলার চরের কয়েজন বন বিভাগের কাছ থেকে সামাজিক বনায়নের ওই গাছ কিনেছেন বলে জানান উপকারভোগীরা।
সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী মিঠন কর্মকার জানান, বড় বড় আকাশমনি ও গর্জন গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে ডলু বিট কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে তিনি জানান।
উপকারভোগী আবুল কালাম, মোহাম্মদ ওসমান ও নুর হোসেন ক্ষোভের সাথে জানান, উপকারভোগীদের অগোছরে বন কর্মকর্তারা গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন ২০-৩০ গাড়ি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান¡ মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, সামাজিক বনায়নের গাছ এভাবে কেটে বিক্রি করাটা দুঃখজনক। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে আর কি বা বলার আছে!
ডলু বিট কর্মকর্তা মুনতাছির রহমান জানান, গাছ বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়। দুর্বৃত্তরা লাল জাতের কিছু গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করে পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, রবিবার সরেজমিনে ওই বাগানে পরিদর্শন করেছি। এব্যাপারে শীঘ্্রই মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।