কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের জীবন রক্ষাকারী একমাত্র ফসল শীত আর ঘন কুয়াশায় মধ্যে বোরো উৎপাদনের ধুম চলছে। উৎপাদনকারী প্রতি কৃষক এখন আর অবসর নেই। এ অঞ্চলের নারী পুরুষ হাজার হাজার কৃষি ও ক্ষেত মজুর। এ অঞ্চলের হেমন্তেই একমাত্র ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়াও এ অঞ্চলে রয়েছে মেঘনা, খোড়াউৎড়া, কালনী কুশিয়ারীসহ অসংখ্য নদী। এবং বিলমাকসা, বেড়িবিল, বলাকা, লুগুড়া, মুগুইড়া, বড়গোপ, ছোট গোপ, ছাইন্না, মাইন্না, ইত্যাদি বিভিন্ন ছোট বড় বিল। ফলে প্রাকৃতিক কারণেই এ অঞ্চলের আবাদি ভূমির ৭৫ থেকে ৮০ ভাগেই একমাত্র বোরো ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব জমিতে সময়মতো রোপণ সেচ ও সার প্রয়োগ প্রায় প্রতিবছরেই বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। কার্তিকের প্রথম দিকেই বর্ষার পানি চলে যাওয়ার পর কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করে ধান বপন করে এবং অগ্রহায়নের দিক থেকে বীজ তলায় তৈরি ধানের চার মাঘমাস পর্যন্ত মিলে রোপণ করে। তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশা নিত্যদিন সাথী করে জমিতে হালচাষ পানি উঠানো সার প্রয়োগ সর্বশেষে চারা রোপণে হাজার হাজার কৃষক কাজ করতে হয়।
চলিত বছরে কৃষকের অতীতের অভিজ্ঞতা বোরো জমিগুলোতে আগাম চারা রোপণ করতে শুরু করছে আগাম রোপণ ফসল কেটে ঘরে আনতেই অনেক আগেই পারবে বলে কৃষকদের ধারণা।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের বড় হাওর, খারয়াইল, শিয়ালফুল, আসিয়া, ইটনার ধনপর,মৃগা, মিটামইনের ঘাগড়া, বড় হাওড়, গোপদিঘী, এলংজুির, নিকলীর সিংপুর, বাজিতপুরের হুমায়ূনপুর,আছনাপুর,হবিগঞ্জের শরীফপুর, লাখাই, পাহাড়পুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাতলপাড়, নাসিরনগর, সরাইলের ইত্যাদি হাওর ও অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক হাওরেই ৬০ থেকে ৭০ ভাগ জমি রোপণের কাজ শেষ হয়ে পড়েছে। অষ্টগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অষ্টগ্রাম উপজেলা এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৩২৪ হেক্টর ইতোমধ্যেই আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৭৭৫ হেক্টর। এ অঞ্চলের অসংখ্য কৃষকের জানান, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধে করে কতটুকুু জন্যই আমরা আগাম রোপণ করছি।
এ ব্যাপারে কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতর কিশোরগঞ্জের উপ-পরিচালক মো.কৃষিবদ সাইফুল আলম জানান, এই জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২২৫ হেক্টর এবং এরমধ্যে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলাগুলোতেই ৯৫ হাজার হেক্টর বোরো জমিন আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের জীবন রক্ষাকারী একমাত্র ফসল শীত আর ঘন কুয়াশায় মধ্যে বোরো উৎপাদনের ধুম চলছে। উৎপাদনকারী প্রতি কৃষক এখন আর অবসর নেই। এ অঞ্চলের নারী পুরুষ হাজার হাজার কৃষি ও ক্ষেত মজুর। এ অঞ্চলের হেমন্তেই একমাত্র ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়াও এ অঞ্চলে রয়েছে মেঘনা, খোড়াউৎড়া, কালনী কুশিয়ারীসহ অসংখ্য নদী। এবং বিলমাকসা, বেড়িবিল, বলাকা, লুগুড়া, মুগুইড়া, বড়গোপ, ছোট গোপ, ছাইন্না, মাইন্না, ইত্যাদি বিভিন্ন ছোট বড় বিল। ফলে প্রাকৃতিক কারণেই এ অঞ্চলের আবাদি ভূমির ৭৫ থেকে ৮০ ভাগেই একমাত্র বোরো ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব জমিতে সময়মতো রোপণ সেচ ও সার প্রয়োগ প্রায় প্রতিবছরেই বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। কার্তিকের প্রথম দিকেই বর্ষার পানি চলে যাওয়ার পর কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করে ধান বপন করে এবং অগ্রহায়নের দিক থেকে বীজ তলায় তৈরি ধানের চার মাঘমাস পর্যন্ত মিলে রোপণ করে। তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশা নিত্যদিন সাথী করে জমিতে হালচাষ পানি উঠানো সার প্রয়োগ সর্বশেষে চারা রোপণে হাজার হাজার কৃষক কাজ করতে হয়।
চলিত বছরে কৃষকের অতীতের অভিজ্ঞতা বোরো জমিগুলোতে আগাম চারা রোপণ করতে শুরু করছে আগাম রোপণ ফসল কেটে ঘরে আনতেই অনেক আগেই পারবে বলে কৃষকদের ধারণা।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের বড় হাওর, খারয়াইল, শিয়ালফুল, আসিয়া, ইটনার ধনপর,মৃগা, মিটামইনের ঘাগড়া, বড় হাওড়, গোপদিঘী, এলংজুির, নিকলীর সিংপুর, বাজিতপুরের হুমায়ূনপুর,আছনাপুর,হবিগঞ্জের শরীফপুর, লাখাই, পাহাড়পুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাতলপাড়, নাসিরনগর, সরাইলের ইত্যাদি হাওর ও অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক হাওরেই ৬০ থেকে ৭০ ভাগ জমি রোপণের কাজ শেষ হয়ে পড়েছে। অষ্টগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অষ্টগ্রাম উপজেলা এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৩২৪ হেক্টর ইতোমধ্যেই আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৭৭৫ হেক্টর। এ অঞ্চলের অসংখ্য কৃষকের জানান, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধে করে কতটুকুু জন্যই আমরা আগাম রোপণ করছি।
এ ব্যাপারে কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতর কিশোরগঞ্জের উপ-পরিচালক মো.কৃষিবদ সাইফুল আলম জানান, এই জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২২৫ হেক্টর এবং এরমধ্যে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলাগুলোতেই ৯৫ হাজার হেক্টর বোরো জমিন আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।