এসএসসির পাঠ্যসূচি থেকে কমছে ২৫ শতাংশ

মূল পাঠ্যসূচি থেকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকেই শুরু হবে পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। এ সিলেবাসের আলোকেই পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ হলে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। আর সাধারণ শিক্ষা স্তরের মতো আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব মাদ্রাসা খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দু’দিন আগে জাতীয় সংসদে জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের (২০২১) যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে তারা প্রায় একটি বছর সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেনি। অনলাইন কিংবা টেলিভিশনে করেছে। এর একটি অংশ হয়তো একেবারেই বাইরে রয়ে গেছে। এসব কিছু বিবচেনায় নিয়ে আমরা এবারের এসএসসি ও এইচএসসির একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছি। তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। তার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে।’

গতকাল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ হয়েছে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানিয়ে বলা বলা হয়েছে, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রেরিত ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি এতদসঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। ওই পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের অবহিতকরণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসসিটিবির তৈরি করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস নিয়ে গতকাল সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে সভা হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হয়। এরপর সেই সিলেবাস আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে (dhakaeducationboard.gov.bd)) প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে এনসিটিবি বেশ কয়েকটি কর্মশালার আয়োজন করে। সেখানে শিক্ষক, বাচাই করা জেলা শিক্ষা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের রাখা হয়। তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অধ্যায়গুলো রেখে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি সিলেবাস শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় এনসিটিবি।

এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, মোট ৩২টি বিষয়ের ওপর কর্মশালা হয়। সবকটি বিষয়ে গড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। একেক বিষয়ে একের ধরনের পাঠ কমেছে। বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- হিসাববিজ্ঞান, কৃষি, চারুকারু, বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা দ্বিতীয়পত্র, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, জীববিজ্ঞান, বৌদ্ধধর্ম, ব্যবসা উদ্যোগ, ক্যারিয়ার এডুকেশন, রসায়ন, খ্রিস্টান ধর্ম, অর্থনীতি, ইংরেজি প্রথমপত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিন্দু ধর্ম, ইতিহাস, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, আইসিটি, ইসলাম ও আদর্শ শিক্ষা, গণিত, শারীরিক শিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান বিষয় রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ হয়ে আগামী জুনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এটি নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

গেজেট প্রকাশের পর এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ

পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশে আজ-কালের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ। এরপর এ পরীক্ষার ফল ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম গতকাল এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর আমরা ফল প্রকাশের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় যেদিন অনুমোদন করবে, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।’

ফেব্রুয়ারিতে সব মাদ্রাসা খোলার প্রস্তুতি

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব মাদ্রাসা (দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা) পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। সংস্থাটি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি গাইডলাইনও তৈরি করেছে। সরকারের নির্দেশনা পেলে গাইডলাইন মেনে প্রতিষ্ঠান খুলে সব মাদ্রাসাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গতকাল অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। এটি দেশের সব দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। পাঁচ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যরে বেঞ্চে দু’জন শিক্ষার্থী বসার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দঘন ও নিরাপদ শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে মাদ্রাসাগুলোকে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাইডলাইন পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

এসএসসির পাঠ্যসূচি থেকে কমছে ২৫ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

মূল পাঠ্যসূচি থেকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকেই শুরু হবে পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। এ সিলেবাসের আলোকেই পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ হলে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। আর সাধারণ শিক্ষা স্তরের মতো আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব মাদ্রাসা খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দু’দিন আগে জাতীয় সংসদে জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের (২০২১) যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে তারা প্রায় একটি বছর সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেনি। অনলাইন কিংবা টেলিভিশনে করেছে। এর একটি অংশ হয়তো একেবারেই বাইরে রয়ে গেছে। এসব কিছু বিবচেনায় নিয়ে আমরা এবারের এসএসসি ও এইচএসসির একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছি। তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। তার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে।’

গতকাল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ হয়েছে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানিয়ে বলা বলা হয়েছে, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রেরিত ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি এতদসঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। ওই পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের অবহিতকরণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসসিটিবির তৈরি করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস নিয়ে গতকাল সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে সভা হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হয়। এরপর সেই সিলেবাস আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে (dhakaeducationboard.gov.bd)) প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে এনসিটিবি বেশ কয়েকটি কর্মশালার আয়োজন করে। সেখানে শিক্ষক, বাচাই করা জেলা শিক্ষা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের রাখা হয়। তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অধ্যায়গুলো রেখে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি সিলেবাস শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় এনসিটিবি।

এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, মোট ৩২টি বিষয়ের ওপর কর্মশালা হয়। সবকটি বিষয়ে গড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। একেক বিষয়ে একের ধরনের পাঠ কমেছে। বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- হিসাববিজ্ঞান, কৃষি, চারুকারু, বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা দ্বিতীয়পত্র, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, জীববিজ্ঞান, বৌদ্ধধর্ম, ব্যবসা উদ্যোগ, ক্যারিয়ার এডুকেশন, রসায়ন, খ্রিস্টান ধর্ম, অর্থনীতি, ইংরেজি প্রথমপত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিন্দু ধর্ম, ইতিহাস, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, আইসিটি, ইসলাম ও আদর্শ শিক্ষা, গণিত, শারীরিক শিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান বিষয় রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ হয়ে আগামী জুনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এটি নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

গেজেট প্রকাশের পর এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ

পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশে আজ-কালের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ। এরপর এ পরীক্ষার ফল ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম গতকাল এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর আমরা ফল প্রকাশের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় যেদিন অনুমোদন করবে, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।’

ফেব্রুয়ারিতে সব মাদ্রাসা খোলার প্রস্তুতি

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব মাদ্রাসা (দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা) পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। সংস্থাটি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি গাইডলাইনও তৈরি করেছে। সরকারের নির্দেশনা পেলে গাইডলাইন মেনে প্রতিষ্ঠান খুলে সব মাদ্রাসাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গতকাল অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। এটি দেশের সব দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। পাঁচ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যরে বেঞ্চে দু’জন শিক্ষার্থী বসার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দঘন ও নিরাপদ শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে মাদ্রাসাগুলোকে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাইডলাইন পাঠানো হয়।