দুপুরে নৌ-ধর্মঘট : রাতে প্রত্যাহার দুর্ভোগে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় দুপুর ২টায়। দুই হাতে দুই ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বরিশালের লঞ্চযাত্রী আক্তার হোসেন। তিনি উত্তরা যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা খুঁজছেন। আর জোরে জোরে লঞ্চ শ্রমিকদের গালি দিচ্ছেন। কাছে গিয়ে কারণ জিজ্ঞেস করতেন তিনি বললেন, ‘বরিশালে যাওয়ার জন্য সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। দুপুর ২টায় বরিশালের মুলাদীর উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়ার কথা। কিন্তু সদরঘাটে এসে শুনি লঞ্চ যাবে না। নৌ-যান শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছে। যাত্রীদের জিম্মি করে শুধু বাংলাদেশে এভাবে ধর্মঘট পালন করতে দেখি। বিশে^র কোথায় এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে ধর্মঘট হয় না। লঞ্চ না চলার কারণে আবার উত্তরা ফিরে যাচ্ছি। গাড়িতে যাব তাও সমস্যা। রাতে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।’

গতকাল নৌ-যান শ্রমিকরা হঠাৎ করে ধর্মঘট করার কারণে এভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের যাত্রীরা। লঞ্চ দুর্ঘটনার এক মামলায় অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের দুই মাস্টারের (চালক) জামিন বাতিল করে গতকালেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নৌ-আদালত (মেরিন কোর্ট)। এর প্রতিবাদে হঠাৎ করে সারাদেশে নৌ-যান শ্রমিকদের কর্মবিরতির পালনের ঘোষণা দেয় নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন। পরে গতকাল রাতে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর আশ^াসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সংগঠনটি।

এ বিষয়ে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম সংবাদকে বলেন, ‘নৌ-প্রতিমন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের আশ^াসে নৌ-যান শ্রমিকরা তাদের কর্ম-বিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আদালতে রায়ের বিষয়ে তারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের আশ^াস দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা) জয়নাল আবেদীন সংবাদকে বলেন, ‘গতকাল দুপুরের পর থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করে নৌ-যান শ্রমিকরা। পরে রাতে তারা তা প্রত্যাহার করে নেয়। রাত ৯টা পর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েচে। এর আগে ঢাকার সদরঘাট থেকে কোন যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায় নি। প্রতিদিন ৮৪-১০০টি লঞ্চ বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যায়। কিন্তু শ্রমিকদের হঠাৎ কর্ম বিরতির কারণে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন। কিছু যাত্রী ফিরে গেছেন। অনেকে আবার টার্মিনালে অপেক্ষায় ছিল।’ প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী সদরঘাট দিয়ে যাতায়াত করে বলে জানান তিনি। লঞ্চ বন্ধের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদুল হাসান নামের পটুয়াখালীর এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় পটুয়াখালীন লঞ্চ ছাড়ার কথা। এ জন্য একটু আগেই বিকেলের দিকে গাজীপুর থেকে সদরঘাটে আসি। কিন্তু এখন শুনি লঞ্চ যাবে না। তাই ফিরে যেতে হচ্ছে। আগে জানলে আসা হতো না। এভাবে কোন ঘোষণা ছাড়া যাত্রীদের জিম্মি করে ধর্মঘট পালন করছে লঞ্চ শ্রমিকরা।’

সাজিদ নামের অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘লঞ্চ শ্রমিকরা এভাবে ঘোষণা ছাড়া আগে ধর্মঘট পালন করেছে। যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করে তারা। কুয়াশার কারণে নৌ-পথে এখন একটু যাত্রী কম। তারপর প্রতিদিন ৪০-৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। লঞ্চ না চলার কারণে সবাইকে ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার বাসে বরিশাল যাবে।’

জানা গেছে, ২০২০ সালের চাঁদপুরের হরিনাঘাটে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেউ মারা না গেলেও লঞ্চ দুটি ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে গত বছর মেরিন আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে দুই লঞ্চের মাস্টার রুহুল আমিন ও আলমাস জামিনে ছিলেন। গতকাল তারা সেই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এর প্রতিবাদেই নৌ-শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। রাতে তা প্রত্যহার করা হয়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান করডোর গোলাম সাদেক সংবাদকে বলেন, ‘নৌ-যান শ্রমিকরা এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের কোন নিয়ম নেই। যেহেতু বিষয়টি আদালতের হাতে ছিল এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয় সমাধানের জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়। পরে যাত্রীদের বিষয়টি বিবেচনা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।’

এর আগে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে একাধিবার সারাদেশের নৌ-ধর্মঘট পালন করে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন। ২০২০ সালে অক্টোবরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে নৌ-ধর্মঘট পালন করে সংগঠনটি। এছাড়া ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন দাবি আদায়ের ধর্মঘট পালন করে জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন ও কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো।

আদালতের বিরুদ্ধে নৌ-যান শ্রমিকদের অযৌক্তিক ধর্মঘটের বিষয়ে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির (যাত্রী সংস্থা) সভাপতি মাহবুব উর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘যারা কোর্টের রায় মানে না তাদের বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সরকার। যাত্রী জিম্মি করে আগেও তারা ধর্মঘট পালন করেছে।’ তাদের অযৌক্তিক দাবি আদায়ে তারা বারবার যাত্রীদের জিম্মি করে জাহাজ শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান তিনি।

image

হঠাৎ নৌ-ধর্মঘট ডাকায় লঞ্চ বন্ধ হলে গতকাল সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের সারাদিনের দুর্ভোগচিত্র -সংবাদ

আরও খবর
বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থতায় সদিচ্ছার অভাবই দায়ী : প্রধানমন্ত্রী
অমর একুশে বইমেলা ১৮ মার্চ শুরু
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০ ঘোষণা
দুই বাংলাদেশি পাচ্ছেন ভারতের পদ্মশ্রী পদক
প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ
ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস আজ
সংসদে কাজী ফিরোজ রশীদের বক্তব্যের নিন্দা নির্মূল কমিটির
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কুষ্টিয়ার এসপি
স্বপ্নবাজ করোনাযোদ্ধা জমির উদ্দিন পারভেজ
খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮২ জন

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দুপুরে নৌ-ধর্মঘট : রাতে প্রত্যাহার দুর্ভোগে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

ইরবাহীম মাহমুদ আকাশ

image

হঠাৎ নৌ-ধর্মঘট ডাকায় লঞ্চ বন্ধ হলে গতকাল সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের সারাদিনের দুর্ভোগচিত্র -সংবাদ

রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় দুপুর ২টায়। দুই হাতে দুই ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বরিশালের লঞ্চযাত্রী আক্তার হোসেন। তিনি উত্তরা যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা খুঁজছেন। আর জোরে জোরে লঞ্চ শ্রমিকদের গালি দিচ্ছেন। কাছে গিয়ে কারণ জিজ্ঞেস করতেন তিনি বললেন, ‘বরিশালে যাওয়ার জন্য সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। দুপুর ২টায় বরিশালের মুলাদীর উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়ার কথা। কিন্তু সদরঘাটে এসে শুনি লঞ্চ যাবে না। নৌ-যান শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছে। যাত্রীদের জিম্মি করে শুধু বাংলাদেশে এভাবে ধর্মঘট পালন করতে দেখি। বিশে^র কোথায় এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে ধর্মঘট হয় না। লঞ্চ না চলার কারণে আবার উত্তরা ফিরে যাচ্ছি। গাড়িতে যাব তাও সমস্যা। রাতে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।’

গতকাল নৌ-যান শ্রমিকরা হঠাৎ করে ধর্মঘট করার কারণে এভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের যাত্রীরা। লঞ্চ দুর্ঘটনার এক মামলায় অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের দুই মাস্টারের (চালক) জামিন বাতিল করে গতকালেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নৌ-আদালত (মেরিন কোর্ট)। এর প্রতিবাদে হঠাৎ করে সারাদেশে নৌ-যান শ্রমিকদের কর্মবিরতির পালনের ঘোষণা দেয় নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন। পরে গতকাল রাতে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর আশ^াসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সংগঠনটি।

এ বিষয়ে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম সংবাদকে বলেন, ‘নৌ-প্রতিমন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের আশ^াসে নৌ-যান শ্রমিকরা তাদের কর্ম-বিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আদালতে রায়ের বিষয়ে তারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের আশ^াস দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা) জয়নাল আবেদীন সংবাদকে বলেন, ‘গতকাল দুপুরের পর থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করে নৌ-যান শ্রমিকরা। পরে রাতে তারা তা প্রত্যাহার করে নেয়। রাত ৯টা পর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েচে। এর আগে ঢাকার সদরঘাট থেকে কোন যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায় নি। প্রতিদিন ৮৪-১০০টি লঞ্চ বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যায়। কিন্তু শ্রমিকদের হঠাৎ কর্ম বিরতির কারণে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন। কিছু যাত্রী ফিরে গেছেন। অনেকে আবার টার্মিনালে অপেক্ষায় ছিল।’ প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী সদরঘাট দিয়ে যাতায়াত করে বলে জানান তিনি। লঞ্চ বন্ধের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদুল হাসান নামের পটুয়াখালীর এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় পটুয়াখালীন লঞ্চ ছাড়ার কথা। এ জন্য একটু আগেই বিকেলের দিকে গাজীপুর থেকে সদরঘাটে আসি। কিন্তু এখন শুনি লঞ্চ যাবে না। তাই ফিরে যেতে হচ্ছে। আগে জানলে আসা হতো না। এভাবে কোন ঘোষণা ছাড়া যাত্রীদের জিম্মি করে ধর্মঘট পালন করছে লঞ্চ শ্রমিকরা।’

সাজিদ নামের অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘লঞ্চ শ্রমিকরা এভাবে ঘোষণা ছাড়া আগে ধর্মঘট পালন করেছে। যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করে তারা। কুয়াশার কারণে নৌ-পথে এখন একটু যাত্রী কম। তারপর প্রতিদিন ৪০-৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। লঞ্চ না চলার কারণে সবাইকে ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার বাসে বরিশাল যাবে।’

জানা গেছে, ২০২০ সালের চাঁদপুরের হরিনাঘাটে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেউ মারা না গেলেও লঞ্চ দুটি ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে গত বছর মেরিন আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে দুই লঞ্চের মাস্টার রুহুল আমিন ও আলমাস জামিনে ছিলেন। গতকাল তারা সেই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এর প্রতিবাদেই নৌ-শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। রাতে তা প্রত্যহার করা হয়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান করডোর গোলাম সাদেক সংবাদকে বলেন, ‘নৌ-যান শ্রমিকরা এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের কোন নিয়ম নেই। যেহেতু বিষয়টি আদালতের হাতে ছিল এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয় সমাধানের জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়। পরে যাত্রীদের বিষয়টি বিবেচনা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।’

এর আগে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে একাধিবার সারাদেশের নৌ-ধর্মঘট পালন করে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন। ২০২০ সালে অক্টোবরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে নৌ-ধর্মঘট পালন করে সংগঠনটি। এছাড়া ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন দাবি আদায়ের ধর্মঘট পালন করে জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন ও কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো।

আদালতের বিরুদ্ধে নৌ-যান শ্রমিকদের অযৌক্তিক ধর্মঘটের বিষয়ে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির (যাত্রী সংস্থা) সভাপতি মাহবুব উর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘যারা কোর্টের রায় মানে না তাদের বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সরকার। যাত্রী জিম্মি করে আগেও তারা ধর্মঘট পালন করেছে।’ তাদের অযৌক্তিক দাবি আদায়ে তারা বারবার যাত্রীদের জিম্মি করে জাহাজ শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান তিনি।