স্বপ্নবাজ করোনাযোদ্ধা জমির উদ্দিন পারভেজ

মৃতদের দাফন ও সৎকারে অগ্রসর সারির সৈনিক

স্বপ্নের কোন নিয়ম নেই। সুতরাং একজন মানুষ যখন ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখবে, তখন সেটা স্বাভাবিকভাবেই আকাশচুম্বীও হতে পারে। সেই স্বপ্নের সারথী হলেন চট্টগ্রামের রাউজানের এক করোনাযোদ্ধা জমির উদ্দিন পারভেজ। এখনও তার আশপাশে সমস্যাগ্রস্ত মানুষগুলোর আনাগোনা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে গণমানুষের নিবিঢ় সম্পর্কের কথা। মানুষের মনে সেই রকমই এক বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন রাউজান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ।

বৈশ্বিক করোনা মহামারীকালে নিজের জীবনকে তুচ্ছ, এমন কী মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে ২৪৩ বর্গ কিলোমিটারের রাউজান উপজেলারের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রানারের মতো ছুটে চলেছেন তিনি। করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে যখন স্বয়ং অনেক স্বাস্থ্যকর্মী পর্যন্ত প্রাণ ভয়ে কর্মস্থলে আসতে অনীহা প্রকাশ করেছেন, সেই সময় থেকে নিজের সাহসকে কাজে লাগিয়ে তিনি প্রতিদিনই করোনার সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। উত্তর চট্টগ্রামের সবার পরিচিত মুখ রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ তিনবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার নিয়ে নিজের কর্মদক্ষতারও পরিচয় দিয়েছেন।

জমির উদ্দিন পারভেজ আর্থিক সহযোগিতা এবং মানুষের সুখে, দুঃখে পাশে থেকে অপরিহার্য তরুণ রাজনীতিক যোদ্ধা হিসেবে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরিণত হয়েছেন একজন নিরর্ভরতার ঠিকানা হিসেবে। দেশে করোনাভাইরাসের শুরু থেকে সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন এই করোনাযোদ্ধা। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং তার জৈষ্ঠপুত্র তরুণ উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক নেতা ফারাজ করিম চৌধুরীর নির্দেশে জমির উদ্দিন পারভেজ পৌর এলাকার পাশাপাশি উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, আর্থিক সহযোগিতা, সবজি, মাছসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। এ সময় তিনি রাতদিন পাড়া-মহল্লায় গিয়ে দুস্থদের মাঝে ত্রাণ দিয়েছেন। সংসদ সদস্য পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর নির্দেশে নগদ তহবিল গঠন করে একটি পরিত্যক্ত হাসপাতালকে সংস্কার করে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করেন। রোগীদের বাড়িতে অক্সিজেন সরবরাহ এবং গুরুতর রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন আইসোলেশন সেন্টারে। এই আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে শতাধিক নারী পুরুষ সুস্থ হয়েছেন।

উপজেলার যেখানে করোনায় মানুষ মারা গেছেন, সেখানে তার তত্ত্বাবধানে ও অর্থে শ্রমে গড়া স্বেচ্ছাসেবী দল (আশার আলো) শতাধিক নারী-পুরুষের দাফন, সৎকার করেছে। গত রমজানে ফারাজ করিম চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার জন্য ৩০ রাতে সেহেরির খাবার চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন। সামাজিক পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে জমির উদ্দিন পারভেজ ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনবার তিনটি শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। তিনি বর্তমানেও রোগাক্রান্ত মানুষকে বিনামূল্যে দিয়ে যাচ্ছেন ওষুধ ও পুষ্টিকর খাবার। পারভেজ এমপি ফজলে করিম ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধীসহ ২১ জনকে সেমিপাকা ঘর করে দিয়েছেন, তিনজনকে করে দিয়েছেন তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি ও সমাজসেবায় নিয়োজিত পারভেজ বলেন, ‘দল এবং দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে ছিলাম। বৈশ্বিক মহামারীর এই দুর্যোগেও মানুষের পাশে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। এই কাজে আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন আধুনিক রাউজানের রূপকার মানবতাবাদী জননেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।’

তিনি কথায় যোগ করেন, ‘জীবন মৃত্যু আল্লাহর হাতে। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনীতি (এনডিপি-জামাত-বিএনপি) সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হাতে কয়েকবার গুলিবিদ্ধ হয়েছি। একাধিকবার গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলাম। আমার নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখ সরজমিন দেখতে এসে দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

প্রতিবারই সুস্থ হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে অসহায়, দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সেবায় নিজকে নিয়োজিত রেখেছি। আমি মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় বেঁচে আছি। যতদিন বেঁচে থাকব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতি করব। পারভেজ সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, ‘করোনাকালে মানুষ যখন ঘরের মধ্যে বন্দী ছিল, তখন আমি রাতদিন সহযোগিতা নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে গেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা এবং রাউজানের অভিভাবক এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির স্বপ্ন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নই আমার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যে।

আগামীতে দল আমাকে সুযোগ দিলে সেই উদ্দেশ্যে শতভাগ পূরণ করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’ করোনা যুদ্ধের সামনের সারির এই যোদ্ধা আরও বলেন, পরিবার থেকে কখনও অসহযোগিতা পাইনি। বরং তাদের অনুপ্রেরণা আমাকে আরও বেশি সাহস জুগিয়েছে। এছাড়াও অন্য কেউ কখনও এমন কোন ব্যবহার করেনি যাতে মনে কষ্ট পাই।

জানা গেছে, সারাজীবন নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করে গেছেন জমির উদ্দিন পারভেজ। রাজনীতি করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে প্রায় দেড়যুগ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে পৌরসভার প্যানেল মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র নেতৃত্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন রাজনীতির লড়াকু সৈনিক জমির উদ্দিন পারভেজ।

এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব বলেন, ‘জমির উদ্দিন পারভেজ পরীক্ষিত নেতা। তিনি বিগত নির্বাচনেও পারভেজ দলের মনোনায়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলের স্বার্থে তিনি তখন বিদ্রোহী প্রার্থী হননি। এজন্য এবার দলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই কর্মঠ যুবলীগ নেতাকে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

স্বপ্নবাজ করোনাযোদ্ধা জমির উদ্দিন পারভেজ

মৃতদের দাফন ও সৎকারে অগ্রসর সারির সৈনিক

চট্টগ্রাম ব্যুরো

image

স্বপ্নের কোন নিয়ম নেই। সুতরাং একজন মানুষ যখন ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখবে, তখন সেটা স্বাভাবিকভাবেই আকাশচুম্বীও হতে পারে। সেই স্বপ্নের সারথী হলেন চট্টগ্রামের রাউজানের এক করোনাযোদ্ধা জমির উদ্দিন পারভেজ। এখনও তার আশপাশে সমস্যাগ্রস্ত মানুষগুলোর আনাগোনা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে গণমানুষের নিবিঢ় সম্পর্কের কথা। মানুষের মনে সেই রকমই এক বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন রাউজান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ।

বৈশ্বিক করোনা মহামারীকালে নিজের জীবনকে তুচ্ছ, এমন কী মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে ২৪৩ বর্গ কিলোমিটারের রাউজান উপজেলারের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রানারের মতো ছুটে চলেছেন তিনি। করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে যখন স্বয়ং অনেক স্বাস্থ্যকর্মী পর্যন্ত প্রাণ ভয়ে কর্মস্থলে আসতে অনীহা প্রকাশ করেছেন, সেই সময় থেকে নিজের সাহসকে কাজে লাগিয়ে তিনি প্রতিদিনই করোনার সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। উত্তর চট্টগ্রামের সবার পরিচিত মুখ রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ তিনবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার নিয়ে নিজের কর্মদক্ষতারও পরিচয় দিয়েছেন।

জমির উদ্দিন পারভেজ আর্থিক সহযোগিতা এবং মানুষের সুখে, দুঃখে পাশে থেকে অপরিহার্য তরুণ রাজনীতিক যোদ্ধা হিসেবে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরিণত হয়েছেন একজন নিরর্ভরতার ঠিকানা হিসেবে। দেশে করোনাভাইরাসের শুরু থেকে সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন এই করোনাযোদ্ধা। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং তার জৈষ্ঠপুত্র তরুণ উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক নেতা ফারাজ করিম চৌধুরীর নির্দেশে জমির উদ্দিন পারভেজ পৌর এলাকার পাশাপাশি উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, আর্থিক সহযোগিতা, সবজি, মাছসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। এ সময় তিনি রাতদিন পাড়া-মহল্লায় গিয়ে দুস্থদের মাঝে ত্রাণ দিয়েছেন। সংসদ সদস্য পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর নির্দেশে নগদ তহবিল গঠন করে একটি পরিত্যক্ত হাসপাতালকে সংস্কার করে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করেন। রোগীদের বাড়িতে অক্সিজেন সরবরাহ এবং গুরুতর রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন আইসোলেশন সেন্টারে। এই আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে শতাধিক নারী পুরুষ সুস্থ হয়েছেন।

উপজেলার যেখানে করোনায় মানুষ মারা গেছেন, সেখানে তার তত্ত্বাবধানে ও অর্থে শ্রমে গড়া স্বেচ্ছাসেবী দল (আশার আলো) শতাধিক নারী-পুরুষের দাফন, সৎকার করেছে। গত রমজানে ফারাজ করিম চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার জন্য ৩০ রাতে সেহেরির খাবার চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন। সামাজিক পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে জমির উদ্দিন পারভেজ ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনবার তিনটি শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। তিনি বর্তমানেও রোগাক্রান্ত মানুষকে বিনামূল্যে দিয়ে যাচ্ছেন ওষুধ ও পুষ্টিকর খাবার। পারভেজ এমপি ফজলে করিম ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধীসহ ২১ জনকে সেমিপাকা ঘর করে দিয়েছেন, তিনজনকে করে দিয়েছেন তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি ও সমাজসেবায় নিয়োজিত পারভেজ বলেন, ‘দল এবং দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে ছিলাম। বৈশ্বিক মহামারীর এই দুর্যোগেও মানুষের পাশে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। এই কাজে আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন আধুনিক রাউজানের রূপকার মানবতাবাদী জননেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।’

তিনি কথায় যোগ করেন, ‘জীবন মৃত্যু আল্লাহর হাতে। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনীতি (এনডিপি-জামাত-বিএনপি) সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হাতে কয়েকবার গুলিবিদ্ধ হয়েছি। একাধিকবার গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলাম। আমার নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখ সরজমিন দেখতে এসে দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

প্রতিবারই সুস্থ হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে অসহায়, দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সেবায় নিজকে নিয়োজিত রেখেছি। আমি মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় বেঁচে আছি। যতদিন বেঁচে থাকব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতি করব। পারভেজ সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, ‘করোনাকালে মানুষ যখন ঘরের মধ্যে বন্দী ছিল, তখন আমি রাতদিন সহযোগিতা নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে গেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা এবং রাউজানের অভিভাবক এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির স্বপ্ন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নই আমার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যে।

আগামীতে দল আমাকে সুযোগ দিলে সেই উদ্দেশ্যে শতভাগ পূরণ করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’ করোনা যুদ্ধের সামনের সারির এই যোদ্ধা আরও বলেন, পরিবার থেকে কখনও অসহযোগিতা পাইনি। বরং তাদের অনুপ্রেরণা আমাকে আরও বেশি সাহস জুগিয়েছে। এছাড়াও অন্য কেউ কখনও এমন কোন ব্যবহার করেনি যাতে মনে কষ্ট পাই।

জানা গেছে, সারাজীবন নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করে গেছেন জমির উদ্দিন পারভেজ। রাজনীতি করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে প্রায় দেড়যুগ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে পৌরসভার প্যানেল মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র নেতৃত্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন রাজনীতির লড়াকু সৈনিক জমির উদ্দিন পারভেজ।

এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব বলেন, ‘জমির উদ্দিন পারভেজ পরীক্ষিত নেতা। তিনি বিগত নির্বাচনেও পারভেজ দলের মনোনায়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলের স্বার্থে তিনি তখন বিদ্রোহী প্রার্থী হননি। এজন্য এবার দলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই কর্মঠ যুবলীগ নেতাকে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।