শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ব্যবস্থা নিন

করোনার কারণে ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের অনেকেই আর স্কুলে ফিরবে না। অনেকে স্কুলে ভর্তি হলেও ক্লাসে অনুপস্থিতির হার বাড়বে। আগের বছরগুলোর চেয়ে এবার ঝরেপড়ার হারও বাড়বে।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; কিন্তু তখন নিম্নআয়ের পরিবারের কতসংখ্যক শিক্ষার্থীর শিক্ষা অব্যাহত থাকবেÑ এটা একটা প্রশ্ন। করোনায় অনেক পরিবারে আয় কমেছে। সংসার খরচ বেড়েছে। নিম্নআয়ের অনেকেই তাদের সন্তানকে ছোটখাটো কাজে যুক্ত করেছেন। দুর্যোগ শেষ হলে দারিদ্র্যের কারণে হয়ত অনেক পরিবারেই শিশুদের পড়াশোনা করানোর সক্ষমতা থাকবে না। বিশেষভাবে সহায়তা প্রদান করা না হলে এসব পরিবারের শিক্ষার্থীদের অকালেই ঝরেপড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঝরেপড়া রোধ করতে হলে প্রথমে সমস্যার কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। জানতে হবে, কী কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়তে পারে। সমাজের কোন শ্রেণীর সন্তানদের মধ্যে ঝরে পড়ার শঙ্কা বেশিÑ এসব খতিয়ে দেখতে হবে। সমস্যার কারণগুলো জানলে এর সমাধানও সহজ হবে।

স্কুল খোলার পর সব শিশুকে ফিরিয়ে আনতে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম করা উচিত। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার একটি বিশেষ প্রণোদনা দিতে পারে। সেটা হতে পারে মিড ডে মিল বা দুপুরের গরম খাবার।

শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ঝুঁকিপ্রবণ শিক্ষার্থী এবং তাদের পারিবারিক কাউন্সিলিংয়ের দায়িত্ব পৃথক পৃথক শিক্ষকের ওপর অর্পণ করা উচিত। অভিভাবকহীন ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা ঝরে পড়াদের একটা বড় অংশ হতে পারে। এ ধরনের শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের বিশেষ যতেœর নির্দেশনা দিতে হবে।

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ব্যবস্থা নিন

করোনার কারণে ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের অনেকেই আর স্কুলে ফিরবে না। অনেকে স্কুলে ভর্তি হলেও ক্লাসে অনুপস্থিতির হার বাড়বে। আগের বছরগুলোর চেয়ে এবার ঝরেপড়ার হারও বাড়বে।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; কিন্তু তখন নিম্নআয়ের পরিবারের কতসংখ্যক শিক্ষার্থীর শিক্ষা অব্যাহত থাকবেÑ এটা একটা প্রশ্ন। করোনায় অনেক পরিবারে আয় কমেছে। সংসার খরচ বেড়েছে। নিম্নআয়ের অনেকেই তাদের সন্তানকে ছোটখাটো কাজে যুক্ত করেছেন। দুর্যোগ শেষ হলে দারিদ্র্যের কারণে হয়ত অনেক পরিবারেই শিশুদের পড়াশোনা করানোর সক্ষমতা থাকবে না। বিশেষভাবে সহায়তা প্রদান করা না হলে এসব পরিবারের শিক্ষার্থীদের অকালেই ঝরেপড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঝরেপড়া রোধ করতে হলে প্রথমে সমস্যার কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। জানতে হবে, কী কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়তে পারে। সমাজের কোন শ্রেণীর সন্তানদের মধ্যে ঝরে পড়ার শঙ্কা বেশিÑ এসব খতিয়ে দেখতে হবে। সমস্যার কারণগুলো জানলে এর সমাধানও সহজ হবে।

স্কুল খোলার পর সব শিশুকে ফিরিয়ে আনতে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম করা উচিত। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার একটি বিশেষ প্রণোদনা দিতে পারে। সেটা হতে পারে মিড ডে মিল বা দুপুরের গরম খাবার।

শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ঝুঁকিপ্রবণ শিক্ষার্থী এবং তাদের পারিবারিক কাউন্সিলিংয়ের দায়িত্ব পৃথক পৃথক শিক্ষকের ওপর অর্পণ করা উচিত। অভিভাবকহীন ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা ঝরে পড়াদের একটা বড় অংশ হতে পারে। এ ধরনের শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের বিশেষ যতেœর নির্দেশনা দিতে হবে।