শেয়ারবাজারে বড় পতন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল বড় পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ৪৫৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৪.৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৯৫.৩৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.৪৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯.০১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ২১.৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৭৯.৪৭ পয়েন্টে, ২১৬২.৯৯ পয়েন্ট এবং ১২২২.৪৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৭টির বা ৭.৫৬ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৫৫টির বা ৭১.৪২ শতাংশের এবং ৭৫টির বা ২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৯.৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৭৮.৭০ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৫১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৯টির আর ৫০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ২৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৪৪০টি শেয়ার ৪২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ১৪ কোটি ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার টাকার বার্জার পেইন্টসের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের।

এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৯ লাখ ৯২ হাজার টাকার, বিডিকমের ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৫৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বসুন্ধরা পেপারের ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৩৯ লাখ ১৪ হাজার টাকার, এনার্জিপ্যাকের ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার, কেঅ্যান্ডকিউয়ের ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, কেডিএস এক্সেসরিজের ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, মেরিকোর ১২ লাখ ১ হাজার টাকার, মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ৫ লাখ টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯০ লাখ ২৪ হাজার টাকার, রিংশাইনের ৫ লাখ টাকার, সুহৃদের ১০ লাখ ৩ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৫৩ লাখ টাকার, ইউনিক হোটেলের ১৪ লাখ ১১ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫৫টির বা ৭১.৪২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯২.৬০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৮৩.৪০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.২০ টাকা বা ৯.৯৩ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর সিরামিকের ৮.৩৮ শতাংশ, বেক্সিমকোর ৮.১৯ শতাংশ, রবি আজিয়াটার ৭.৮৬ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের ৭.৭৫ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৭.৫০ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৭.৩৩ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ৭.২৩ শতাংশ, আমান ফিডের ৬.৪৩ শতাংশ এবং এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর ৬.২৫ শতাংশ কমেছে।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শেয়ারবাজারে বড় পতন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল বড় পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ৪৫৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৪.৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৯৫.৩৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.৪৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯.০১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ২১.৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৭৯.৪৭ পয়েন্টে, ২১৬২.৯৯ পয়েন্ট এবং ১২২২.৪৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৭টির বা ৭.৫৬ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৫৫টির বা ৭১.৪২ শতাংশের এবং ৭৫টির বা ২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৯.৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৭৮.৭০ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৫১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৯টির আর ৫০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ২৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৪৪০টি শেয়ার ৪২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ১৪ কোটি ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার টাকার বার্জার পেইন্টসের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের।

এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৯ লাখ ৯২ হাজার টাকার, বিডিকমের ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৫৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বসুন্ধরা পেপারের ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৩৯ লাখ ১৪ হাজার টাকার, এনার্জিপ্যাকের ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার, কেঅ্যান্ডকিউয়ের ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, কেডিএস এক্সেসরিজের ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, মেরিকোর ১২ লাখ ১ হাজার টাকার, মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ৫ লাখ টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯০ লাখ ২৪ হাজার টাকার, রিংশাইনের ৫ লাখ টাকার, সুহৃদের ১০ লাখ ৩ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৫৩ লাখ টাকার, ইউনিক হোটেলের ১৪ লাখ ১১ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫৫টির বা ৭১.৪২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯২.৬০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৮৩.৪০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.২০ টাকা বা ৯.৯৩ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর সিরামিকের ৮.৩৮ শতাংশ, বেক্সিমকোর ৮.১৯ শতাংশ, রবি আজিয়াটার ৭.৮৬ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের ৭.৭৫ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৭.৫০ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৭.৩৩ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ৭.২৩ শতাংশ, আমান ফিডের ৬.৪৩ শতাংশ এবং এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর ৬.২৫ শতাংশ কমেছে।