গ্রামপুলিশে চাকরির নামে প্রতারণা : অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

বগুড়ার শেরপুরে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে দেড় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গাড়ীদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দবির উদ্দীনের বিরুদ্ধে। একই ইউনিয়নে কর্মরত গ্রাম পুলিশ জহুরুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে চাকরি দেয়ার কথা ছিল। তাছাড়া চেয়াম্যানের নির্দেশে জন্মসনদ তৈরি ও জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কমানোর জন্য উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান ও সরকারি দপ্তর ম্যানেজ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী সেকেন্দার আলীকেও টাকা দিয়েছেন ওই নারী।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানসহ ওই চক্রটির প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই নারী গত রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

সেইসঙ্গে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ন্যায়বিচার প্রার্থনাও করেন তিনি। অভিযোগে আরও জানা যায়, গাড়ীদহ ইউনিয়নে আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর মধ্যে মরিয়ম বেগমকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর তাকে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নেন ওই চেয়ারম্যান।

গাড়ীদহ ইউপি চেয়ারম্যান দবির উদ্দীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাকরি দেয়ার কথা বলে তিনি কোন টাকা নেননি। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরেই ওই মহিলা এসব অভিযোগ করে আসছেন। কিন্তু কোন প্রমাণ করতে পারেননি। এদিকে উদ্যোক্তা মিজানুর রহমানের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী সেকেন্দার আলী এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উঁড়িয়ে দিয়েছেন।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হবে।

তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দাবি করেন তিনি।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

গ্রামপুলিশে চাকরির নামে প্রতারণা : অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বগুড়ার শেরপুরে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে দেড় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গাড়ীদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দবির উদ্দীনের বিরুদ্ধে। একই ইউনিয়নে কর্মরত গ্রাম পুলিশ জহুরুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে চাকরি দেয়ার কথা ছিল। তাছাড়া চেয়াম্যানের নির্দেশে জন্মসনদ তৈরি ও জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কমানোর জন্য উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান ও সরকারি দপ্তর ম্যানেজ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী সেকেন্দার আলীকেও টাকা দিয়েছেন ওই নারী।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানসহ ওই চক্রটির প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই নারী গত রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

সেইসঙ্গে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ন্যায়বিচার প্রার্থনাও করেন তিনি। অভিযোগে আরও জানা যায়, গাড়ীদহ ইউনিয়নে আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর মধ্যে মরিয়ম বেগমকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর তাকে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নেন ওই চেয়ারম্যান।

গাড়ীদহ ইউপি চেয়ারম্যান দবির উদ্দীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাকরি দেয়ার কথা বলে তিনি কোন টাকা নেননি। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরেই ওই মহিলা এসব অভিযোগ করে আসছেন। কিন্তু কোন প্রমাণ করতে পারেননি। এদিকে উদ্যোক্তা মিজানুর রহমানের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী সেকেন্দার আলী এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উঁড়িয়ে দিয়েছেন।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হবে।

তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দাবি করেন তিনি।