এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ যেকোন দিন

করোনা মহামারীতে পরীক্ষা ছাড়াই ২০২০-এর এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এখন যেকোন সময় এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে পারবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এ সংক্রান্ত তিনটি সংশোধিত আইন গত সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিল তিনটিতে সম্মতি দিয়েছেন। বিল তিনটি হলো- ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ ও ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দু’তিন দিনের মধ্যে এইচএসসি মূল্যায়নের ফল প্রকাশের প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনটি আইন সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারী, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোন অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোন পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোন বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলী জারি করতে পারবে।

গত ১১ জানুয়ারি আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে। যদিও গতকাল পর্যন্ত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে পারেননি।

দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত বছর ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেয়া যাচ্ছে না। অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে।

পরে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, অধ্যাদেশ জারি না করে সরাসরি এ অধিবেশনের শুরুতে বিলটি উত্থাপন করে পাস করার ব্যবস্থা করা হবে। সংসদে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ যেকোন দিন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনা মহামারীতে পরীক্ষা ছাড়াই ২০২০-এর এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এখন যেকোন সময় এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে পারবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এ সংক্রান্ত তিনটি সংশোধিত আইন গত সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিল তিনটিতে সম্মতি দিয়েছেন। বিল তিনটি হলো- ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ ও ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দু’তিন দিনের মধ্যে এইচএসসি মূল্যায়নের ফল প্রকাশের প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনটি আইন সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারী, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোন অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোন পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোন বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলী জারি করতে পারবে।

গত ১১ জানুয়ারি আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে। যদিও গতকাল পর্যন্ত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে পারেননি।

দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত বছর ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেয়া যাচ্ছে না। অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে।

পরে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, অধ্যাদেশ জারি না করে সরাসরি এ অধিবেশনের শুরুতে বিলটি উত্থাপন করে পাস করার ব্যবস্থা করা হবে। সংসদে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী।