বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল করোনা টিকা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তুলছে অভিযোগ করে সংসদে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, ‘সরকার থেকে প্রথম হতে বলা হয়েছে সঠিক সময়েই বাংলাদেশ টিকা পাবে। আর সে টিকা সঠিক সময়েই পাওয়া গেছে। এখন আবার দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এটার জবাবও দেয়া হয়েছে। এ টিকা ভারত যে দামে ক্রয় করছে, বাংলাদেশও সে দামে ক্রয় করছে। তারা টিকা নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান।’
গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধিতে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। পরদিন চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ষষ্ঠ দিনের আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. দবিরুল ইসলাম, সুবিদ আলী ভুইয়া, এবি তাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আবদুস সালাম মুর্শেদী, মঞ্জুর হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান, মাজাহারুল হক প্রধান, কাজী নাবিল আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান ও বেগম রওশন আরা মান্নান।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। আর আন্তর্জাতিকভাবে এটার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সেটা সহ্য করতে পারছে না। সহ্য করবেন কেন? তাদের আমলে দেশকে তারা পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, জঙ্গিবাদ কায়েম করেছিল, জাতীয় অগ্রগতি অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। আর শেখ হাসিনা একরকম শূন্য থেকে শুরু করে দেশকে আজ বিশ্বে উন্নয়ন অগ্রগতির রোলমডেলে পরিণত করেছেন। সরকারি দলের সদস্যরা বাস্তবায়নাধীন ২৪টি মেঘা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে সরকারের গত এক যুগে সূচিত উন্নয়ন অগ্রগতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ ঘোষণা করে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেছে। ঘোষিত নির্ধারিত সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর ‘৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।
বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল করোনা টিকা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তুলছে অভিযোগ করে সংসদে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, ‘সরকার থেকে প্রথম হতে বলা হয়েছে সঠিক সময়েই বাংলাদেশ টিকা পাবে। আর সে টিকা সঠিক সময়েই পাওয়া গেছে। এখন আবার দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এটার জবাবও দেয়া হয়েছে। এ টিকা ভারত যে দামে ক্রয় করছে, বাংলাদেশও সে দামে ক্রয় করছে। তারা টিকা নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান।’
গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধিতে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। পরদিন চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ষষ্ঠ দিনের আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. দবিরুল ইসলাম, সুবিদ আলী ভুইয়া, এবি তাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আবদুস সালাম মুর্শেদী, মঞ্জুর হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান, মাজাহারুল হক প্রধান, কাজী নাবিল আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান ও বেগম রওশন আরা মান্নান।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। আর আন্তর্জাতিকভাবে এটার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সেটা সহ্য করতে পারছে না। সহ্য করবেন কেন? তাদের আমলে দেশকে তারা পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, জঙ্গিবাদ কায়েম করেছিল, জাতীয় অগ্রগতি অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। আর শেখ হাসিনা একরকম শূন্য থেকে শুরু করে দেশকে আজ বিশ্বে উন্নয়ন অগ্রগতির রোলমডেলে পরিণত করেছেন। সরকারি দলের সদস্যরা বাস্তবায়নাধীন ২৪টি মেঘা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে সরকারের গত এক যুগে সূচিত উন্নয়ন অগ্রগতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ ঘোষণা করে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেছে। ঘোষিত নির্ধারিত সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর ‘৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।