যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসা ২৯ জন প্রবাসীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ায় সিলেটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২০ দিনে অন্তত ৫৪৪ জন প্রবাসী সরাসরি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছান। এরমধ্যে গত ২১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং বিজি-২০২’তে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এসে নামা সিলেটের ১৫৭ প্রবাসীর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ হয় গত রোববার। সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যুক্তরাজ্য ফেরতদের কোয়ারেন্টিন পালন শেষে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। সেখানে লন্ডন ফেরত ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। তবে ১২৯ জন প্রবাসীর করোনা নেগেটিভ আসে।
এর আগে আরও এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ২৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে।
করোনা আক্রান্ত এসব যাত্রীদের ১৫ জন হোটেল নূরজাহানে, ৫ জন হোটেল ব্রিটানিয়ায়, ৪ জন হোটেল হলিগেইটে, ৩ জন হোটেল লা রোজে এবং ১ জন হোটেল হলি সাইডে অবস্থান করছিলেন। পরে তাদের গত সোমবার খাদিমপাড়া ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আক্রান্তদের শরীরে কোন জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে তারা যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত হওয়া করোনার নতুন ধরনে (স্ট্রেইন) আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শারীরিক জটিলতা না থাকায় তাদের হাসপাতালের আইসোলেশনেই রাখা হয়েছে।
সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্ত হওয়া যুক্তরাজ্যফেরত ব্যক্তিদের নমুনা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা করেছে। এতে করোনা পজেটিভ ফল আসে। পজেটিভ ফল আসা যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের নমুনা আবার নেয়া হয়েছে অন্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করানোর জন্য।
যুক্তরাজ্যে মহামারী করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিশ্বের সঙ্গে দেশটির যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। সেখানে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় এ সতর্কতা নেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে লন্ডনের আকাশপথে যোগাযোগ এখনও রয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার সিলেটের ১৪৩ জন যাত্রী ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট
যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসা ২৯ জন প্রবাসীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ায় সিলেটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২০ দিনে অন্তত ৫৪৪ জন প্রবাসী সরাসরি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছান। এরমধ্যে গত ২১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং বিজি-২০২’তে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এসে নামা সিলেটের ১৫৭ প্রবাসীর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ হয় গত রোববার। সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যুক্তরাজ্য ফেরতদের কোয়ারেন্টিন পালন শেষে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। সেখানে লন্ডন ফেরত ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। তবে ১২৯ জন প্রবাসীর করোনা নেগেটিভ আসে।
এর আগে আরও এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ২৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে।
করোনা আক্রান্ত এসব যাত্রীদের ১৫ জন হোটেল নূরজাহানে, ৫ জন হোটেল ব্রিটানিয়ায়, ৪ জন হোটেল হলিগেইটে, ৩ জন হোটেল লা রোজে এবং ১ জন হোটেল হলি সাইডে অবস্থান করছিলেন। পরে তাদের গত সোমবার খাদিমপাড়া ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আক্রান্তদের শরীরে কোন জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে তারা যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত হওয়া করোনার নতুন ধরনে (স্ট্রেইন) আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শারীরিক জটিলতা না থাকায় তাদের হাসপাতালের আইসোলেশনেই রাখা হয়েছে।
সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্ত হওয়া যুক্তরাজ্যফেরত ব্যক্তিদের নমুনা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা করেছে। এতে করোনা পজেটিভ ফল আসে। পজেটিভ ফল আসা যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের নমুনা আবার নেয়া হয়েছে অন্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করানোর জন্য।
যুক্তরাজ্যে মহামারী করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিশ্বের সঙ্গে দেশটির যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। সেখানে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় এ সতর্কতা নেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে লন্ডনের আকাশপথে যোগাযোগ এখনও রয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার সিলেটের ১৪৩ জন যাত্রী ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।