নারীর ক্যান্সারের ঝুঁকি

International Agency for Research on Cancer (IARC)) এর তথ্যমতে, “বাংলাদেশ প্রতি পাঁচজন পুরুষের মধ্যে একজন এবং প্রতি ছয়জন নারীর মধ্যে একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়”।

বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে। সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা যেখানে প্রকাশ্যে স্তন শব্দটি উচ্চারণ পর্যন্ত করতে চান না, সেখানে শরীরে প্রাথমিক কোন লক্ষণ দেখা গেলেও তারা গোপন রাখেন সেসব, যে কারণে বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন একেবারে শেষ পর্যায়ে।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রতি বছর একবার করে স্তন পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় স্তনে চাকা বা পি- সৃষ্টি হয়। কোন নারী পিরিয়ডের সাত দিন পরেই এই পি- আছে কি না দেখতে পারে। তবে পরামর্শকদের মতে পিরিয়ডের ৩-৪দিন পর নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। পি-ের মতো কোন কিছু যদি পরিলক্ষিত হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মধ্যে শতকরা ৩০ শতাংশ নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঘন ঘন সন্তান প্রসব, বহুগামিতা, অসচেতনতা এসবের কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনিয়মিত ঋতু¯্রাব এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

একজন ক্যান্সার গবেষকের মতে, ‘একজন মেয়ের বাল্যবিবাহ জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ আবার দেরিতে বিয়ে হলে তা স্তন ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তার মতে, বর্তমানে অনেক মেয়ে রয়েছে যারা নিজের ক্যারিয়ার গঠনের কথা চিন্তা করে দেরিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৮ বছরের মধ্যে একজন মেয়ের প্রথম সন্তান জন্মদানের প্রস্তুতি নেয়া এবং মা হওয়া উচিত। অন্যথায় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে”। লজ্জা নয় বরং এসব সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা উচিত।

ইসরাত জাহান

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

নারীর ক্যান্সারের ঝুঁকি

International Agency for Research on Cancer (IARC)) এর তথ্যমতে, “বাংলাদেশ প্রতি পাঁচজন পুরুষের মধ্যে একজন এবং প্রতি ছয়জন নারীর মধ্যে একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়”।

বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে। সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা যেখানে প্রকাশ্যে স্তন শব্দটি উচ্চারণ পর্যন্ত করতে চান না, সেখানে শরীরে প্রাথমিক কোন লক্ষণ দেখা গেলেও তারা গোপন রাখেন সেসব, যে কারণে বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন একেবারে শেষ পর্যায়ে।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রতি বছর একবার করে স্তন পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় স্তনে চাকা বা পি- সৃষ্টি হয়। কোন নারী পিরিয়ডের সাত দিন পরেই এই পি- আছে কি না দেখতে পারে। তবে পরামর্শকদের মতে পিরিয়ডের ৩-৪দিন পর নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। পি-ের মতো কোন কিছু যদি পরিলক্ষিত হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মধ্যে শতকরা ৩০ শতাংশ নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঘন ঘন সন্তান প্রসব, বহুগামিতা, অসচেতনতা এসবের কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনিয়মিত ঋতু¯্রাব এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

একজন ক্যান্সার গবেষকের মতে, ‘একজন মেয়ের বাল্যবিবাহ জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ আবার দেরিতে বিয়ে হলে তা স্তন ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তার মতে, বর্তমানে অনেক মেয়ে রয়েছে যারা নিজের ক্যারিয়ার গঠনের কথা চিন্তা করে দেরিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৮ বছরের মধ্যে একজন মেয়ের প্রথম সন্তান জন্মদানের প্রস্তুতি নেয়া এবং মা হওয়া উচিত। অন্যথায় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে”। লজ্জা নয় বরং এসব সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা উচিত।

ইসরাত জাহান