শ্রমিকদের দুঃখ ঘুচবে কবে

শ্রম, শ্রমিক ও উৎপাদন তিনটি জিনিস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শ্রমিকদের হাঁড়ভাঙা পরিশ্রমে আসে উৎপাদন। তাদের কঠোর পরিশ্রম আর খাটুনির মাধ্যমে নির্মিত হয় ইতিহাস। গড় উঠে শহর, নগরী, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সভ্যতা। কিন্তু এই শ্রমিকরাই তাদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশে শুধু গার্মেন্ট শিল্পে রপ্তানি আয় বেড়েছে বহুগুণ কিন্ত সেই অনুপাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত হয়নি। বরং চরম অবহেলা আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন শ্রমিক সমাজ।

সিডিপির তথ্য মতে জাতীয় খানা আয়- ব্যয় জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের একজন শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রয়োজন ১৭ হাজার ৮৩৭ টাকা, সেখানে দেশের শ্রমিকদের গড় আয় আয় হচ্ছে মাত্র ৫৪১২ টাকা। ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশন জানায়, যে বাংলাদেশে কারখানা শ্রমিকদের আয় বিশ্বব্যাংকের দারিদ্য সীমার নিচে। ফলে শহর অঞ্চলে একজন শ্রমিকের পরিবারসহ ভরণপোষণের ব্যয়ভার এই টাকা দিয়ে কখনো সম্ভব হয়ে উঠে না।

শ্রমিকদের দাবি ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মস্থলের নিশ্চয়তা। প্রতিটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার যেন সমুন্নত থাকে সেই প্রচেষ্টা করতে হবে। সব বৈষম্য দূর করে শ্রমজীবী মানুষের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

রায়হান আহমেদ

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শ্রমিকদের দুঃখ ঘুচবে কবে

image

শ্রম, শ্রমিক ও উৎপাদন তিনটি জিনিস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শ্রমিকদের হাঁড়ভাঙা পরিশ্রমে আসে উৎপাদন। তাদের কঠোর পরিশ্রম আর খাটুনির মাধ্যমে নির্মিত হয় ইতিহাস। গড় উঠে শহর, নগরী, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সভ্যতা। কিন্তু এই শ্রমিকরাই তাদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশে শুধু গার্মেন্ট শিল্পে রপ্তানি আয় বেড়েছে বহুগুণ কিন্ত সেই অনুপাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত হয়নি। বরং চরম অবহেলা আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন শ্রমিক সমাজ।

সিডিপির তথ্য মতে জাতীয় খানা আয়- ব্যয় জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের একজন শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রয়োজন ১৭ হাজার ৮৩৭ টাকা, সেখানে দেশের শ্রমিকদের গড় আয় আয় হচ্ছে মাত্র ৫৪১২ টাকা। ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশন জানায়, যে বাংলাদেশে কারখানা শ্রমিকদের আয় বিশ্বব্যাংকের দারিদ্য সীমার নিচে। ফলে শহর অঞ্চলে একজন শ্রমিকের পরিবারসহ ভরণপোষণের ব্যয়ভার এই টাকা দিয়ে কখনো সম্ভব হয়ে উঠে না।

শ্রমিকদের দাবি ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মস্থলের নিশ্চয়তা। প্রতিটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার যেন সমুন্নত থাকে সেই প্রচেষ্টা করতে হবে। সব বৈষম্য দূর করে শ্রমজীবী মানুষের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

রায়হান আহমেদ