লেনদেন নামল হাজার কোটি টাকার নিচে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন এক মাস পর হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ২১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকালকের লেনদেন এক মাস ৪ দিন বা ২৫ কার্যদিবস পর হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭১৪.৭৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৪০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৭৯.৮৮ পয়েন্টে এবং ২১৭৮.৬০ পয়েন্ট। তবে অন্য সূচক এবং সিডিএসইটি ২.০৩ পয়েন্ট কমে ১২২৪.০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৮টির বা ৩৬.১৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১২৫টির বা ৩৫.৩১ শতাংশের এবং ১০১টির বা ২৮.৫৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এছাড়া, ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সামিট পাওয়ার এবং সিটি ব্যাংক।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৬.২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৮৮.৭৫ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৪২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির আর ৫৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৭৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৪২টি শেয়ার ৫৩ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ১৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার বেক্সিমকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার।

এছাড়া বিডি ফাইন্যান্সের ৫৯ লাখ টাকার, বিকন ফার্মার ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকার, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ১৭ লাখ ৩১ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৪৪ লাখ ১২ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, জিএসপি ফাইন্যান্সের ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, কেডিএস এক্সেসরিজের ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার, মেরিকোর ২১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ২২ লাখ ৪ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, রেনেটার ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার, রিংশাইনের ৮৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার, এসইএমএল লেকচার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ২ কোটি ২১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ১ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ২১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১ , ১৪ মাঘ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

লেনদেন নামল হাজার কোটি টাকার নিচে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন এক মাস পর হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ২১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকালকের লেনদেন এক মাস ৪ দিন বা ২৫ কার্যদিবস পর হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭১৪.৭৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৪০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৭৯.৮৮ পয়েন্টে এবং ২১৭৮.৬০ পয়েন্ট। তবে অন্য সূচক এবং সিডিএসইটি ২.০৩ পয়েন্ট কমে ১২২৪.০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৮টির বা ৩৬.১৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১২৫টির বা ৩৫.৩১ শতাংশের এবং ১০১টির বা ২৮.৫৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এছাড়া, ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সামিট পাওয়ার এবং সিটি ব্যাংক।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৬.২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৮৮.৭৫ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৪২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির আর ৫৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৭৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৪২টি শেয়ার ৫৩ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ১৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার বেক্সিমকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার।

এছাড়া বিডি ফাইন্যান্সের ৫৯ লাখ টাকার, বিকন ফার্মার ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকার, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ১৭ লাখ ৩১ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৪৪ লাখ ১২ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, জিএসপি ফাইন্যান্সের ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, কেডিএস এক্সেসরিজের ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার, মেরিকোর ২১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ২২ লাখ ৪ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, রেনেটার ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার, রিংশাইনের ৮৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার, এসইএমএল লেকচার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ২ কোটি ২১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ১ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ২১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।