ট্রেজারারকে ডিন পদে নিয়োগ

সহকারী প্রভোস্ট পদে দুই জুনিয়র শিক্ষকের মাঝে তীব্র ক্ষোভ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রেষণে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসিবুর রহমানকে বিজনেস স্টাটিজ বিভাগের ডিন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। এ নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সামরিক শাসকদের মতো ফরমান জারি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক নেতারা। অন্যদিকে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসে না এসেও এক জুনিয়র শিক্ষককে আবাসিক হলের সহকারী প্রভোস্ট এবং অন্য দু’জন জুনিয়র শিক্ষককে দুই হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, গত দু’বছর ধরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিজনেস স্টাটিজ বিভাগের ডিনের দায়িত্ব অবৈধভাবে দখল করেছিলেন। এ নিয়ে অনেকবার শিক্ষকরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। শেষ পর্যন্ত উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ নম্বর আইনের ২৬ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন নিয়োগ করার সুনিদিষ্ট আইন থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যিনি ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাকে অবৈধভাবে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান জানান, ট্রেজারার পদ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক কর্মকা- দেখভাল করা। উপাচার্য ইচ্ছে করলে ডিন হিসেবে ট্রেজারারকে এ দায়িত্ব প্রদান করতে পারেন না। এটা সামরিক শাসকদের মতো উপাচার্যের ফরমান জারি বলে অভিযোগ করেন তিনি। যেভাবে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকে যিনি ১৩শ‘ দিনের মধ্যে ১১শ’ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না তার খেয়ালখুশি মতো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। যাকে ইচ্ছে নিয়োগ দেন বিরোধিতা করলে বাদ দেন, দুর্নীতী অনিয়মের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে এসেছেন তিনি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ডিন নিয়োগের ব্যাপারে সুনিদিষ্ট করে উল্লেখ আছে, সেই আইন তিনি মানবেননা এটা হতে পারে না।

এদিকে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রভাষক জহির উদ্দিন। যোগদানের কয়েকদিন হয়েছে মাত্র, এরমধ্যেই পেয়ে গেছেন শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব। ক্যাম্পাসে না এসেই অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষকদের উপেক্ষা করে প্রশিক্ষণরত নবীন অনশিক্ষকদের হলের দায়িত্ব দেয়ায় ক্যাম্পাসে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান জহির উদ্দিন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে কখনও ক্যাম্পাসে না এসেই ঢাকায় অংশ নিচ্ছেন ছয় মাস মেয়াদী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে। কিন্তু পাঠদানে অংশ না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে গত ২৬ জানুয়ারি জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক জহির উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয় শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘যে শিক্ষক যোগদানের পর থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসে এখনও আসেনি। তাকে কিভাবে হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়। হলগুলোর কি তাহলে ঢাকায় কোন শাখা রয়েছে?’। এদিকে একই দিন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক প্রভাষক লুবনা আক্তারকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট ও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক প্রভাষক আবদুল মুঞ্জেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা উভয়ই যোগদান করেন ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর। এরপর ছয় মাস ছিলেন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায়। সে হিসাবে ২০২০ সালের মে/জুন তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষ হয়। এরই মধ্যে করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ ক্যাম্পাসে সিনিয়র শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও অনভিজ্ঞ নবীন শিক্ষকদের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এব্যাপারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক আছেন তাদের সহকারী প্রভোস্ট পদে নিয়োগ না দিয়ে একেবারে সদস্য নিয়োগ পাওয়া নতুন শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হলে প্রশাসনিক কাজকেই গতিহীন করা হয়। তিনি আরও বলেন, উপাচার্য কখন কি করছেন কি নির্দেশ দিচ্ছেন তা তিনি ভালো করে জানেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ‘বেরোবির হল সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই। ক্যাম্পাসে না এসেই দায়িত্ব দেয়াটা প্রশাসনের চরম উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ। সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১ , ১৪ মাঘ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বেরোবিতে

ট্রেজারারকে ডিন পদে নিয়োগ

সহকারী প্রভোস্ট পদে দুই জুনিয়র শিক্ষকের মাঝে তীব্র ক্ষোভ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রেষণে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসিবুর রহমানকে বিজনেস স্টাটিজ বিভাগের ডিন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। এ নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সামরিক শাসকদের মতো ফরমান জারি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক নেতারা। অন্যদিকে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসে না এসেও এক জুনিয়র শিক্ষককে আবাসিক হলের সহকারী প্রভোস্ট এবং অন্য দু’জন জুনিয়র শিক্ষককে দুই হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, গত দু’বছর ধরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিজনেস স্টাটিজ বিভাগের ডিনের দায়িত্ব অবৈধভাবে দখল করেছিলেন। এ নিয়ে অনেকবার শিক্ষকরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। শেষ পর্যন্ত উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ নম্বর আইনের ২৬ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন নিয়োগ করার সুনিদিষ্ট আইন থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যিনি ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাকে অবৈধভাবে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান জানান, ট্রেজারার পদ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক কর্মকা- দেখভাল করা। উপাচার্য ইচ্ছে করলে ডিন হিসেবে ট্রেজারারকে এ দায়িত্ব প্রদান করতে পারেন না। এটা সামরিক শাসকদের মতো উপাচার্যের ফরমান জারি বলে অভিযোগ করেন তিনি। যেভাবে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকে যিনি ১৩শ‘ দিনের মধ্যে ১১শ’ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না তার খেয়ালখুশি মতো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। যাকে ইচ্ছে নিয়োগ দেন বিরোধিতা করলে বাদ দেন, দুর্নীতী অনিয়মের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে এসেছেন তিনি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ডিন নিয়োগের ব্যাপারে সুনিদিষ্ট করে উল্লেখ আছে, সেই আইন তিনি মানবেননা এটা হতে পারে না।

এদিকে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রভাষক জহির উদ্দিন। যোগদানের কয়েকদিন হয়েছে মাত্র, এরমধ্যেই পেয়ে গেছেন শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব। ক্যাম্পাসে না এসেই অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষকদের উপেক্ষা করে প্রশিক্ষণরত নবীন অনশিক্ষকদের হলের দায়িত্ব দেয়ায় ক্যাম্পাসে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান জহির উদ্দিন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে কখনও ক্যাম্পাসে না এসেই ঢাকায় অংশ নিচ্ছেন ছয় মাস মেয়াদী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে। কিন্তু পাঠদানে অংশ না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে গত ২৬ জানুয়ারি জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক জহির উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয় শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘যে শিক্ষক যোগদানের পর থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসে এখনও আসেনি। তাকে কিভাবে হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়। হলগুলোর কি তাহলে ঢাকায় কোন শাখা রয়েছে?’। এদিকে একই দিন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক প্রভাষক লুবনা আক্তারকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট ও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক প্রভাষক আবদুল মুঞ্জেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা উভয়ই যোগদান করেন ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর। এরপর ছয় মাস ছিলেন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায়। সে হিসাবে ২০২০ সালের মে/জুন তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষ হয়। এরই মধ্যে করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ ক্যাম্পাসে সিনিয়র শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও অনভিজ্ঞ নবীন শিক্ষকদের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এব্যাপারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক আছেন তাদের সহকারী প্রভোস্ট পদে নিয়োগ না দিয়ে একেবারে সদস্য নিয়োগ পাওয়া নতুন শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হলে প্রশাসনিক কাজকেই গতিহীন করা হয়। তিনি আরও বলেন, উপাচার্য কখন কি করছেন কি নির্দেশ দিচ্ছেন তা তিনি ভালো করে জানেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ‘বেরোবির হল সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই। ক্যাম্পাসে না এসেই দায়িত্ব দেয়াটা প্রশাসনের চরম উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ। সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।