দুঃখ প্রকাশ একরাম চৌধুরীর

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ও কয়েকটি বেসরকারি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় তার বক্তব্যের জন্য ওবায়দুল কাদের যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমার কোন কথায় যদি আমার নেতা ওবায়দুল কাদের ভাই কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং জেলাবাসী কোন দুঃখ পেলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আবদুল কাদের মির্জা যেভাবে একের পর এক জাতীয় নেতাদের নাম উল্লেখ করে এবং সংসদ সদস্যদের গালিগালাজ করছেন, তাদের চরিত্র হনন করছেন তা মেনে নেয়া যায় না। কাদের মির্জা আমার মাকে নিয়ে অশ্লীল গালাগালি করায়, আমার স্ত্রীকে নিয়ে, আমার সন্তানকে নিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় যেসব বাজে মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তার জন্য এসব বলেছি। তবে ওবায়দুল কাদের আমার নেতা, তার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার লাইভে এসে একরামুল করিম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি কথা বললে মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না, আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। তার চাচা রাজাকার ছিলেন, মামা রাজাকার ছিলেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যদি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে তাহলে আমিও এনিয়ে কথা বলতে শুরু করব।’ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, যথেষ্ট প্রমাণ আছে, মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগার, তার বিভিন্ন ছিলেন শান্তি বাহিনীর নেতা, তাদের পুরো বংশই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী।

২৭ সেকেন্ডের ভিডিও বৃহস্পতিবার রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে একরামুল করিম চৌধুরী পরে এ ভিডিওটি ফেসবুক থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে বলেন, কারো ভয়ে নয় তিনি তার ছেলের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই ভিডিও নিয়ে একরাম বিরোধীদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দেয়। করিবহাট, হাতিয়াসহ কয়েক স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ, মানববন্ধন সংগঠিত হয়। বসুরহাটের প্রতিবাদ সভা থেকে হরতাল অবরোধের ডাক দিলেও ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধে প্রত্যাহার করে নিলেও ৩১ জানুয়ারি পুনরায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হরতাল ডেকেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১ , ১৪ মাঘ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দুঃখ প্রকাশ একরাম চৌধুরীর

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ও কয়েকটি বেসরকারি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় তার বক্তব্যের জন্য ওবায়দুল কাদের যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমার কোন কথায় যদি আমার নেতা ওবায়দুল কাদের ভাই কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং জেলাবাসী কোন দুঃখ পেলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আবদুল কাদের মির্জা যেভাবে একের পর এক জাতীয় নেতাদের নাম উল্লেখ করে এবং সংসদ সদস্যদের গালিগালাজ করছেন, তাদের চরিত্র হনন করছেন তা মেনে নেয়া যায় না। কাদের মির্জা আমার মাকে নিয়ে অশ্লীল গালাগালি করায়, আমার স্ত্রীকে নিয়ে, আমার সন্তানকে নিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় যেসব বাজে মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তার জন্য এসব বলেছি। তবে ওবায়দুল কাদের আমার নেতা, তার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার লাইভে এসে একরামুল করিম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি কথা বললে মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না, আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। তার চাচা রাজাকার ছিলেন, মামা রাজাকার ছিলেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যদি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে তাহলে আমিও এনিয়ে কথা বলতে শুরু করব।’ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, যথেষ্ট প্রমাণ আছে, মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগার, তার বিভিন্ন ছিলেন শান্তি বাহিনীর নেতা, তাদের পুরো বংশই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী।

২৭ সেকেন্ডের ভিডিও বৃহস্পতিবার রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে একরামুল করিম চৌধুরী পরে এ ভিডিওটি ফেসবুক থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে বলেন, কারো ভয়ে নয় তিনি তার ছেলের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই ভিডিও নিয়ে একরাম বিরোধীদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দেয়। করিবহাট, হাতিয়াসহ কয়েক স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ, মানববন্ধন সংগঠিত হয়। বসুরহাটের প্রতিবাদ সভা থেকে হরতাল অবরোধের ডাক দিলেও ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধে প্রত্যাহার করে নিলেও ৩১ জানুয়ারি পুনরায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হরতাল ডেকেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।