সিন্ডিকেটে বেড়েছে কৃষিপণ্যের দাম কারসাজির হোতাদের দমন করুন

করোনাকালে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল মজুত করে রাখেন। এ কারণে অতিপ্রয়োজনীয় এ পন্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। আর আলু ও পেঁয়াজের দাম বাড়ে সিন্ডিকেটের কারণে। কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মাঠপর্যায়ের গবেষণার ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কারসাজি করে চাল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে- এ অভিযোগ সবার। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য খাদ্য অধিদপ্তর সরকারি গুদামে যথাসময়ে এবং যথেষ্ট পরিমাণে চালের মজুদ বাড়াতে পারেনি। সরকারি খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় মিল মালিক ও আড়তদাররা সুযোগ নিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারি সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ ও আলু বিক্রি করা যায়নি। ফলে সরকার বাজারে প্রভাব তৈরি করে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী করোনার দুর্যোগেও মানুষকে রেহাই দিচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। এ সিন্ডিকেট নিয়ে এর আগেও গবেষণা হয়েছে। কারসাজির হোতাদের নাম ও তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ মজুদদার ও মিলমালিকদের মজুদের যে অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণ করা কঠিন। কিছু কিছু অটোরাইস মিল বিশালাকার হওয়ার কারণে আইন মেনেই ব্যাপক পরিমাণ ধান ও চাল উদ্বৃত্ত রাখতে সক্ষম। এক্ষেত্রে সরকারকে মজুদ আইন সংস্কার করতে হবে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাস্তবতা হলো, উৎপাদন বাড়াতে না পারলে কোন পণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকবে না। যেভাবেই হোক, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ধান ও চাল সংগ্রহ পদ্ধতি আধুনিকায়ন করতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করতে হবে। সংকটকালে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত একাধিক রপ্তানিকারক দেশের সন্ধান করতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। কৃষিমূল্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে সারা বছর বাজারে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ ও তদারকি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১ , ১৪ মাঘ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সিন্ডিকেটে বেড়েছে কৃষিপণ্যের দাম কারসাজির হোতাদের দমন করুন

করোনাকালে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল মজুত করে রাখেন। এ কারণে অতিপ্রয়োজনীয় এ পন্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। আর আলু ও পেঁয়াজের দাম বাড়ে সিন্ডিকেটের কারণে। কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মাঠপর্যায়ের গবেষণার ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কারসাজি করে চাল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে- এ অভিযোগ সবার। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য খাদ্য অধিদপ্তর সরকারি গুদামে যথাসময়ে এবং যথেষ্ট পরিমাণে চালের মজুদ বাড়াতে পারেনি। সরকারি খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় মিল মালিক ও আড়তদাররা সুযোগ নিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারি সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ ও আলু বিক্রি করা যায়নি। ফলে সরকার বাজারে প্রভাব তৈরি করে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী করোনার দুর্যোগেও মানুষকে রেহাই দিচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। এ সিন্ডিকেট নিয়ে এর আগেও গবেষণা হয়েছে। কারসাজির হোতাদের নাম ও তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ মজুদদার ও মিলমালিকদের মজুদের যে অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণ করা কঠিন। কিছু কিছু অটোরাইস মিল বিশালাকার হওয়ার কারণে আইন মেনেই ব্যাপক পরিমাণ ধান ও চাল উদ্বৃত্ত রাখতে সক্ষম। এক্ষেত্রে সরকারকে মজুদ আইন সংস্কার করতে হবে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাস্তবতা হলো, উৎপাদন বাড়াতে না পারলে কোন পণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকবে না। যেভাবেই হোক, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ধান ও চাল সংগ্রহ পদ্ধতি আধুনিকায়ন করতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করতে হবে। সংকটকালে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত একাধিক রপ্তানিকারক দেশের সন্ধান করতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। কৃষিমূল্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে সারা বছর বাজারে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ ও তদারকি করতে হবে।