কারাগারগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে উদ্যোগ নিন

কাশিমপুর কারাগার-১-এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারাগারের কর্মকর্তার কক্ষে এক নারীর সঙ্গে হলমার্কের কারাবন্দী মহাব্যবস্থাপকের সময় কাটানোর ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে প্রত্যাহার করা হলো। ঘুষের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উক্ত বন্দীকে অন্যায় সুবিধা দিয়ে আসছিলেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

কারাবন্দীদের অন্যায় সুবিধা দেয়ার অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। অতীতেও দেশের বিভিন্ন কারাগারে ঘুষের বিনিময়ে বন্দীদের অন্যায় সুবিধা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। কারাগারে একজন বন্দীর প্রবেশ থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই টাকার খেলা চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা দিলে সেখানে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়।

কারাগারে মাদক, মোবাইল ফোন, নারী সবই পাওয়া যায় টাকার বিনিময়ে। এমনকি কারাগারে মাদক ব্যবসা হয় বলেও অভিযোগ আছে। অসুস্থতার অজুহাতে মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকা যায়।

কারাগারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক শ্রেণীর ব্যক্তির দায়িত্বে গাফিলতি ও দুর্নীতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ের তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে। যাদের ওপর কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার দায়িত্ব তাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কখনও কোন অনিয়মের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়।

দেশের কারাগারগুলোতে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে বন্দীরা সংশোধিত হচ্ছে নাকি আরও বেশি অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দেশের সব কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তথাকথিত বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে কারাগারের পরিবেশ উন্নত করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১ , ১৪ মাঘ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কারাগারগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে উদ্যোগ নিন

কাশিমপুর কারাগার-১-এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারাগারের কর্মকর্তার কক্ষে এক নারীর সঙ্গে হলমার্কের কারাবন্দী মহাব্যবস্থাপকের সময় কাটানোর ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে প্রত্যাহার করা হলো। ঘুষের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উক্ত বন্দীকে অন্যায় সুবিধা দিয়ে আসছিলেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

কারাবন্দীদের অন্যায় সুবিধা দেয়ার অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। অতীতেও দেশের বিভিন্ন কারাগারে ঘুষের বিনিময়ে বন্দীদের অন্যায় সুবিধা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। কারাগারে একজন বন্দীর প্রবেশ থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই টাকার খেলা চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা দিলে সেখানে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়।

কারাগারে মাদক, মোবাইল ফোন, নারী সবই পাওয়া যায় টাকার বিনিময়ে। এমনকি কারাগারে মাদক ব্যবসা হয় বলেও অভিযোগ আছে। অসুস্থতার অজুহাতে মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকা যায়।

কারাগারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক শ্রেণীর ব্যক্তির দায়িত্বে গাফিলতি ও দুর্নীতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ের তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে। যাদের ওপর কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার দায়িত্ব তাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কখনও কোন অনিয়মের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়।

দেশের কারাগারগুলোতে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে বন্দীরা সংশোধিত হচ্ছে নাকি আরও বেশি অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দেশের সব কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তথাকথিত বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে কারাগারের পরিবেশ উন্নত করা যাবে না।