টিকা পেতে নিবন্ধন যেভাবে

টিকার জন্য ১৮ বছরের নিচে কেউ নিবন্ধন করতে পারবে না। টিকা গ্রহণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। করোনার টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধনের পাশাপাশি ‘ম্যানুয়াল’ অর্থাৎ সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়েও নিবন্ধন করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ‘অ্যাপ’ বা অনলাইনে নিবন্ধণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো- মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে আবেদনকারীকে টিকাকেন্দ্র ও টিকা নেয়ার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।

কিন্তু ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতে টিকার নিবন্ধনে সময় লাগবে মাত্র ২/৩ মিনিট। খুব সহজেই এই প্রক্রিয়ায় টিকার নিবন্ধন করা যায়। রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালেই গতকাল টিকা পেতে আগ্রহী ব্যক্তির ‘এনআইডি’ কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, একটি ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করা হয়।

সরজমিনে দেখা গেছে, টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিরা নিবন্ধন কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ানো মাত্রই একটি ফরমে তারিখ লিখে তাদের নাম ও পেশা জানতে চাচ্ছেন টিকাকর্মী; এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখে ব্যক্তির নাম, মাতা ও পিতার নাম, ঠিকানা লেখেন; টিকা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করে টিকাদান কর্মীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর লিখে দিচ্ছেন। এই ফরমে কোভিড-১৯ টিকার ২য় ডোজ নেয়ার তারিখও লিখে দেয়া হয়। এই ফরম বা কার্ডটি দেয়ার পর একটি সম্মতিপত্রে টিকা গ্রহণকারীর স্বাক্ষর নেয়া হয়; এটিই নিবন্ধনের শেষ ধাপ।

অনলাইনে টিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়া :

অনলাইনে টিকা নিতে প্রথমে ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে, (এই ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে প্রবেশ করলেই নিবন্ধনের প্রক্রিয়া দেখা যাবে)। এরপর নিবন্ধন অপশনে ক্লিক করে নাগরিক শ্রেণী (সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক-আধা সামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যালয়, গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি, সিটি ও পৌরকর্মী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, ইত্যাদি মোট ১৮টি ক্যাটাগরি) সিলেক্ট করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। পরে যাচাই অপশনে ক্লিক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। পরিচয় নিশ্চিত হলে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম ফর্মে দেখা যাবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ-বিধি আছে কি-না হ্যাঁ অথবা না সিলেক্ট করতে হবে।

পরবর্তী ধাপগুলোতে নিবন্ধনকারী নাগরিকের পেশা এবং সরকারি কোভিড-১৯ কাজের সঙ্গে জড়িত কি-না তা নির্বাচন করতে হবে; যে মোবাইলে ভ্যাকসিনের তথ্য ও ভেরিফিকেশন এসএমএস পেতে চান তা নিবন্ধনের সময় তা দিতে হবে; ফরমে বর্তমান ঠিকানা ও টিকাদান কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে এবং সব শেষে মোবাইলে প্রাপ্ত OTP (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে গেলে ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

অনলাইনে আবেদনকারীর মোবাইল ফোন নম্বরে নির্ধারিত সময়ে এসএমএসে টিকা গ্রহণের তারিখ ও কেন্দ্র জানিয়ে দেয়া হবে। টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রিন্টেড টিকা কার্ড ও এনআইডি কপি সঙ্গে নিতে হবে। প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার দুই মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট তারিখে পরবর্তী ডোজ টিকা দেয়া হবে। দুটি ডোজ নেয়া হলে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

এছড়াও টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং টিকা নেয়ার পর কোন পাশর্^প্রতিক্রিয়া হলে সরাসরি হটলাইনে যোগাযোগ করা যাবে। হটলাইনগুলো হলো- জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩; স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩; আইইডিসিআর ১০৬৫৫ এবং কোভিড-১৯ টেলিহেল্থ ০৯৬৬৬৭৭৭২২২।

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ , ১৫ মাঘ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

টিকা পেতে নিবন্ধন যেভাবে

image

টিকার জন্য ১৮ বছরের নিচে কেউ নিবন্ধন করতে পারবে না। টিকা গ্রহণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। করোনার টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধনের পাশাপাশি ‘ম্যানুয়াল’ অর্থাৎ সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়েও নিবন্ধন করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ‘অ্যাপ’ বা অনলাইনে নিবন্ধণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো- মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে আবেদনকারীকে টিকাকেন্দ্র ও টিকা নেয়ার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।

কিন্তু ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতে টিকার নিবন্ধনে সময় লাগবে মাত্র ২/৩ মিনিট। খুব সহজেই এই প্রক্রিয়ায় টিকার নিবন্ধন করা যায়। রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালেই গতকাল টিকা পেতে আগ্রহী ব্যক্তির ‘এনআইডি’ কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, একটি ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করা হয়।

সরজমিনে দেখা গেছে, টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিরা নিবন্ধন কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ানো মাত্রই একটি ফরমে তারিখ লিখে তাদের নাম ও পেশা জানতে চাচ্ছেন টিকাকর্মী; এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখে ব্যক্তির নাম, মাতা ও পিতার নাম, ঠিকানা লেখেন; টিকা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করে টিকাদান কর্মীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর লিখে দিচ্ছেন। এই ফরমে কোভিড-১৯ টিকার ২য় ডোজ নেয়ার তারিখও লিখে দেয়া হয়। এই ফরম বা কার্ডটি দেয়ার পর একটি সম্মতিপত্রে টিকা গ্রহণকারীর স্বাক্ষর নেয়া হয়; এটিই নিবন্ধনের শেষ ধাপ।

অনলাইনে টিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়া :

অনলাইনে টিকা নিতে প্রথমে ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে, (এই ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে প্রবেশ করলেই নিবন্ধনের প্রক্রিয়া দেখা যাবে)। এরপর নিবন্ধন অপশনে ক্লিক করে নাগরিক শ্রেণী (সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক-আধা সামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যালয়, গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি, সিটি ও পৌরকর্মী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, ইত্যাদি মোট ১৮টি ক্যাটাগরি) সিলেক্ট করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। পরে যাচাই অপশনে ক্লিক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। পরিচয় নিশ্চিত হলে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম ফর্মে দেখা যাবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ-বিধি আছে কি-না হ্যাঁ অথবা না সিলেক্ট করতে হবে।

পরবর্তী ধাপগুলোতে নিবন্ধনকারী নাগরিকের পেশা এবং সরকারি কোভিড-১৯ কাজের সঙ্গে জড়িত কি-না তা নির্বাচন করতে হবে; যে মোবাইলে ভ্যাকসিনের তথ্য ও ভেরিফিকেশন এসএমএস পেতে চান তা নিবন্ধনের সময় তা দিতে হবে; ফরমে বর্তমান ঠিকানা ও টিকাদান কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে এবং সব শেষে মোবাইলে প্রাপ্ত OTP (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে গেলে ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

অনলাইনে আবেদনকারীর মোবাইল ফোন নম্বরে নির্ধারিত সময়ে এসএমএসে টিকা গ্রহণের তারিখ ও কেন্দ্র জানিয়ে দেয়া হবে। টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রিন্টেড টিকা কার্ড ও এনআইডি কপি সঙ্গে নিতে হবে। প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার দুই মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট তারিখে পরবর্তী ডোজ টিকা দেয়া হবে। দুটি ডোজ নেয়া হলে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

এছড়াও টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং টিকা নেয়ার পর কোন পাশর্^প্রতিক্রিয়া হলে সরাসরি হটলাইনে যোগাযোগ করা যাবে। হটলাইনগুলো হলো- জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩; স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩; আইইডিসিআর ১০৬৫৫ এবং কোভিড-১৯ টেলিহেল্থ ০৯৬৬৬৭৭৭২২২।