সাংবাদিক পার্ল হত্যার আসামিকে মুক্তি দিল পাকিস্তান

মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আহমেদ ওমর সাঈদ শেখকে খালাস দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারপতির একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আল জাজিরা

প্রাদেশিক অ্যাটর্নি জেনারেল সালমান তালিবুদ্দিন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্যানেলের তিন বিচারপতির মধ্যে দু’জন রায়ের পক্ষে মত দেন। ফলে অভিযুক্ত সবাই খালাস পান।

মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ছিলেন ড্যানিয়েল পার্ল। তিনি পত্রিকাটির দিল্লি অফিসের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি থেকে করাচি গিয়েছিলেন পার্ল। ২০০২ সালের গোড়ায় তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। পার্লের গলা কাটা দেহের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ওই ছবি দেখিয়ে জঙ্গিরা নিজেদের শক্তি প্রচার করেছিল। সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল পার্লের হত্যাকা-। পাকিস্তান সরকারের উপরে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চাপ বাড়ছিল। ঘটনার কিছুদিন পরে হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হন আহমেদ ওমর সাঈদ শেখ। তার সঙ্গে আরও তিনজনকে একই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ এ মামলায় নি¤œ আদালতে তার মৃত্যুদ- হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তিনি মুক্তি পান।

এ হত্যাকা-ের রায়ের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্র্র্র্র্র্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ , ১৫ মাঘ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সাংবাদিক পার্ল হত্যার আসামিকে মুক্তি দিল পাকিস্তান

image

ড্যানিয়েল পার্ল

মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আহমেদ ওমর সাঈদ শেখকে খালাস দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারপতির একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আল জাজিরা

প্রাদেশিক অ্যাটর্নি জেনারেল সালমান তালিবুদ্দিন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্যানেলের তিন বিচারপতির মধ্যে দু’জন রায়ের পক্ষে মত দেন। ফলে অভিযুক্ত সবাই খালাস পান।

মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ছিলেন ড্যানিয়েল পার্ল। তিনি পত্রিকাটির দিল্লি অফিসের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি থেকে করাচি গিয়েছিলেন পার্ল। ২০০২ সালের গোড়ায় তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। পার্লের গলা কাটা দেহের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ওই ছবি দেখিয়ে জঙ্গিরা নিজেদের শক্তি প্রচার করেছিল। সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল পার্লের হত্যাকা-। পাকিস্তান সরকারের উপরে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চাপ বাড়ছিল। ঘটনার কিছুদিন পরে হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হন আহমেদ ওমর সাঈদ শেখ। তার সঙ্গে আরও তিনজনকে একই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ এ মামলায় নি¤œ আদালতে তার মৃত্যুদ- হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তিনি মুক্তি পান।

এ হত্যাকা-ের রায়ের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্র্র্র্র্র্কিন যুক্তরাষ্ট্র।