চট্টগ্রামে নির্বাচনে অরাজকতা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত

মাহবুব তালুকদার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অরাজকতা গণতন্ত্রের জন্য এক অশনি সংকেত বলে হতাশা ব্যক্ত করলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এই নির্বাচনকে অনিয়মের নির্বাচনের একটি মডেল বলে মন্তব্য করেছেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আগামীতে দেশব্যাপী যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে এই মডেল অনুসরণ করা হলে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বসভায় আমরা আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখতে পারব না।’ গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে আমার বক্তব্য’ শিরোনামে এর আগে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে অরাজকতা দেখা গেছে, তাতে আমি হতাশ। আমার আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্য হলো এবং সাবধান বাণীতে কোন কাজ হলো না। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনকালে মোট চারজনের প্রাণহানি প্রকারান্তরে চারটি পরিবারের প্রাণহানির নামান্তর। সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, পুলিশের গাড়ি ও ইভিএম মেশিন ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনা এই নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। এ ধরনের তা-ব বন্ধ করতে আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুঁজে পেতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ব্যতীত তা সম্ভব হবে না। এজন্য দল-মত নির্বিশেষে সবার ঐকমত্য প্রয়োজন।’ মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে শতকরা সাড়ে ২২ ভাগ মাত্র। এত অল্প সংখ্যক ভোট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিয়ামক হতে পারে না। এই পরিস্থিতি নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার পরিচায়ক, যা গণতন্ত্রের জন্য এক অশনি সংকেত। সুষ্ঠু পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই বেশি হতো। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারব না, তা মেনে নেয়া যায় না।’

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ , ১৫ মাঘ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চট্টগ্রামে নির্বাচনে অরাজকতা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত

মাহবুব তালুকদার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অরাজকতা গণতন্ত্রের জন্য এক অশনি সংকেত বলে হতাশা ব্যক্ত করলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এই নির্বাচনকে অনিয়মের নির্বাচনের একটি মডেল বলে মন্তব্য করেছেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আগামীতে দেশব্যাপী যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে এই মডেল অনুসরণ করা হলে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বসভায় আমরা আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখতে পারব না।’ গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে আমার বক্তব্য’ শিরোনামে এর আগে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে অরাজকতা দেখা গেছে, তাতে আমি হতাশ। আমার আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্য হলো এবং সাবধান বাণীতে কোন কাজ হলো না। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনকালে মোট চারজনের প্রাণহানি প্রকারান্তরে চারটি পরিবারের প্রাণহানির নামান্তর। সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, পুলিশের গাড়ি ও ইভিএম মেশিন ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনা এই নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। এ ধরনের তা-ব বন্ধ করতে আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুঁজে পেতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ব্যতীত তা সম্ভব হবে না। এজন্য দল-মত নির্বিশেষে সবার ঐকমত্য প্রয়োজন।’ মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে শতকরা সাড়ে ২২ ভাগ মাত্র। এত অল্প সংখ্যক ভোট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিয়ামক হতে পারে না। এই পরিস্থিতি নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার পরিচায়ক, যা গণতন্ত্রের জন্য এক অশনি সংকেত। সুষ্ঠু পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই বেশি হতো। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারব না, তা মেনে নেয়া যায় না।’