কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত বছর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছিল, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফিটনেস নবায়ন করেনি যেসব মোটরযান সেগুলোকে চিরতরে ব্যবহারের অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে, বাতিল করা হবে রেজিস্ট্রেশন। ফিটনেস নবায়নের জন্য সে বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এরপর দফায় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে।

ফিটনেসবিহীন মোটরযান চলাচল বন্ধের লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছিল বিআরটিএ। তাদের আলটিমেটাম অনুযায়ী অনেক মোটরযানই ফিটনেস নবায়ন করেনি। ফিটনেস ছাড়াই অবাধে সেগুলো সড়কে নামছে। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৯টি। বোঝা যাচ্ছে বিআরটিএর আলটিমেটামে কাজ হয়নি।

ফিটনেস নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, এসএমএস দিয়ে মোটরযান মালিকদের তাগাদা দেয়া হয়। বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদন্ড, কারাদন্ড দেয়া হয়। ডাম্পিং করা হয়। এতকিছুর পরও মোটরযান মালিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা করছেন না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, বিআরটিএর এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামছে। অন্যায় সুযোগ পাওয়া যায় বলেই একশ্রেণীর মোটরযান মালিক ইচ্ছে করেই ফিটনেস নবায়ন করেন না। যতদিন সংস্থাটির অনিয়ম-দুর্নীতি দূর না হচ্ছে ততদিন সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর হবে না।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি যানজট, দুর্ঘটনা আর দূষণের অন্যতম প্রধান কারণে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের যানকে শুধু কথায় চিরতরে ব্যবহারের অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যথেষ্ট নয়। কাগজে-কলমে এগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। এরপরও কেউ রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামালে তার বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা। বিশেষ করে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হয় না। গুরু অপরাধে লঘুদন্ড দেয়া হয় বলেই এক শ্রেণীর মোটরযান মালিক বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ , ১৫ মাঘ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সড়কে চলছে আনফিট গাড়ি

কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত বছর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছিল, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফিটনেস নবায়ন করেনি যেসব মোটরযান সেগুলোকে চিরতরে ব্যবহারের অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে, বাতিল করা হবে রেজিস্ট্রেশন। ফিটনেস নবায়নের জন্য সে বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এরপর দফায় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে।

ফিটনেসবিহীন মোটরযান চলাচল বন্ধের লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছিল বিআরটিএ। তাদের আলটিমেটাম অনুযায়ী অনেক মোটরযানই ফিটনেস নবায়ন করেনি। ফিটনেস ছাড়াই অবাধে সেগুলো সড়কে নামছে। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৯টি। বোঝা যাচ্ছে বিআরটিএর আলটিমেটামে কাজ হয়নি।

ফিটনেস নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, এসএমএস দিয়ে মোটরযান মালিকদের তাগাদা দেয়া হয়। বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদন্ড, কারাদন্ড দেয়া হয়। ডাম্পিং করা হয়। এতকিছুর পরও মোটরযান মালিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা করছেন না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, বিআরটিএর এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামছে। অন্যায় সুযোগ পাওয়া যায় বলেই একশ্রেণীর মোটরযান মালিক ইচ্ছে করেই ফিটনেস নবায়ন করেন না। যতদিন সংস্থাটির অনিয়ম-দুর্নীতি দূর না হচ্ছে ততদিন সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর হবে না।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি যানজট, দুর্ঘটনা আর দূষণের অন্যতম প্রধান কারণে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের যানকে শুধু কথায় চিরতরে ব্যবহারের অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যথেষ্ট নয়। কাগজে-কলমে এগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। এরপরও কেউ রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামালে তার বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা। বিশেষ করে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হয় না। গুরু অপরাধে লঘুদন্ড দেয়া হয় বলেই এক শ্রেণীর মোটরযান মালিক বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।