বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে চিঠি

বাণিজ্য বৃদ্ধির অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে জিএসপি সুবিধা ছাড়াও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যসহ দেশের প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা চাওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যে জিএসপি স্কিম ছিল সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এখন নতুন করে দেশটি জিএসপি স্কিম করলে তাতে যেন বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়ে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আনার বিষয়েও নানা প্রচেষ্টা রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কোন বিনিয়োগ বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে চাইলে অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক বা ওষুধশিল্পে বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সবুজসংকেত দেয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনে বাইডেন প্রশাসনের কাছে এ ধরনের চিঠি পাঠানোর উদ্যোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের কাছে জিএসপি ছাড়াও আমরা অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা চাইব। যে সুবিধাই দেয়া হোক না কেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তৈরি পোশাকসহ দেশের প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো যাতে সুবিধার আওতায় আনা হয় সেটি নিশ্চিত করা।

সচিব জানান, এর আগে বাংলাদেশ জিএসপির আওতায় যেসব পণ্যে শুল্ক সুবিধা পেত, তার মধ্যে তৈরি পোশাকসহ প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো ছিল না। ফলে ওই সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতার ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি। উপরন্তু ২০১২ সালে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে দেয়ার পর তারা শ্রম খাতের কমপ্লায়েন্সে যেসব শর্ত দিয়েছিল, বাংলাদেশ সেগুলো ভালোভাবেই পূরণ করেছে। ফলে নতুন জিএসপি স্কিম চালু করা হলে বাংলাদেশ সেই সুযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করি আমরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো (টিকফা) চুক্তির আওতায় ওই ফোরামে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যুগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হয়। আগামী মার্চে টিকফার পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ওয়াশিংটনে। তবে এবার টিকফা ফোরামের আগে যুক্তরাষ্ট্রে যেহেতু একটি নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিচ্ছে, সে কারণে বাংলাদেশের ইস্যুগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে অবহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১ , ১৬ মাঘ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে চিঠি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাণিজ্য বৃদ্ধির অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে জিএসপি সুবিধা ছাড়াও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যসহ দেশের প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা চাওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যে জিএসপি স্কিম ছিল সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এখন নতুন করে দেশটি জিএসপি স্কিম করলে তাতে যেন বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়ে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আনার বিষয়েও নানা প্রচেষ্টা রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কোন বিনিয়োগ বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে চাইলে অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক বা ওষুধশিল্পে বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সবুজসংকেত দেয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনে বাইডেন প্রশাসনের কাছে এ ধরনের চিঠি পাঠানোর উদ্যোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের কাছে জিএসপি ছাড়াও আমরা অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা চাইব। যে সুবিধাই দেয়া হোক না কেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তৈরি পোশাকসহ দেশের প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো যাতে সুবিধার আওতায় আনা হয় সেটি নিশ্চিত করা।

সচিব জানান, এর আগে বাংলাদেশ জিএসপির আওতায় যেসব পণ্যে শুল্ক সুবিধা পেত, তার মধ্যে তৈরি পোশাকসহ প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো ছিল না। ফলে ওই সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতার ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি। উপরন্তু ২০১২ সালে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে দেয়ার পর তারা শ্রম খাতের কমপ্লায়েন্সে যেসব শর্ত দিয়েছিল, বাংলাদেশ সেগুলো ভালোভাবেই পূরণ করেছে। ফলে নতুন জিএসপি স্কিম চালু করা হলে বাংলাদেশ সেই সুযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করি আমরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো (টিকফা) চুক্তির আওতায় ওই ফোরামে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যুগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হয়। আগামী মার্চে টিকফার পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ওয়াশিংটনে। তবে এবার টিকফা ফোরামের আগে যুক্তরাষ্ট্রে যেহেতু একটি নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিচ্ছে, সে কারণে বাংলাদেশের ইস্যুগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে অবহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।