আগামীর বিশ্ব কম্পিউটার প্রকৌশলীদের

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সব থেকে চাহিদাপূর্ণ চাকরি কোনটি? আগামীর বিশ্ব যে থাকবে কম্পিউটার প্রকৌশলীদের দখলে সেটা ধরেই নেয়া যায়। আগামী ১০ বছরে শুধু বাংলাদেশেই কয়েক লাখ প্রোগ্রামার প্রেয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন টেকনোলজির জন্য দরকার দক্ষ কম্পিউটার প্রকৌশলীর। ঠিক সেই কাজটিই করে যাচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্কুল অব সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধীন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। যেখানে একজন শিক্ষার্র্র্থী নিজেকে দক্ষ কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

দক্ষতা বৃদ্ধি

গত শতকেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ ছিল জ্ঞান বিতরণ। অর্থাৎ জ্ঞান হলো শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা যা আমরা বিভন্ন উৎস যেমন বই, সংবাদপত্র, ইন্টারনেট বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়ে থাকি। আর এই প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে সচেতন করে তোলে। কিন্তু বিংশ শতাব্দিতে এসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভূমিকা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান যাতে সঠিক সময়ে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারে, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, সেদিকে সবেচেয়ে বেশি জোর দিয়ে থাকে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ শিক্ষার্থীদের এই দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যাচ্ছে।

টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশন

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সর্বপ্রথম এদেশে টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশন সিস্টেম চালু করেছে। টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশন সিস্টেমে একটি কোর্সে সপ্তাহের প্রথম দুই দিন একটি লেকচার ক্লাস থাকে। পরবর্তি দিনে একটি টিউটোরিয়াল ক্লাস থাকে। শুরুতে যে লেকচারটি থাকে সেখানে তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে লেকচার দেয়া হয়, পরবর্তীতে টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীরা ওই বিষয়ের ওপর কোন রিয়েল লাইভ প্রবলেম অথবা কেস সলভ করে। টিউটোরিয়াল ক্লাসের শুরুতে পূর্ববর্তী ক্লাসের রিভিউ করা হয় এবং পরবর্তীতে পৃথক বা দলগতভাবে রিয়েল লাইফ প্রবলেম সলভ করতে দেয়া হয়। টিউটোরিয়াল এডুকেশন সিস্টেমে এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা ট্রেডিশনাল এডুকেশন সিস্টেমের মতো শুধু জ্ঞান অর্জ নয়, সেই সঙ্গে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। এখানে একজন শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকেই প্রয়োজনীয় উপকরণ পাবেন এবং চাকরি বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল কানেকশন

বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত তত্ত্বীয় বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান ইন্ডাস্ট্রিয়াল সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা থাকে না। সেই সঙ্গে ভালো যোগাযোগ না থাকায় চাকরির ক্ষেত্রে একটা বাধা সৃষ্টি হয়। কিন্তু কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর সিএসই বিভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ মাসের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করছে। যেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডায়ালগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরি বাজারের সঙ্গে একটি যোগসূত্র তৈরি হচ্ছে।

প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট

সিউবি কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ পরিবর্তীত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টে কাজ করে থাকে। সিএসইতে ডিগ্রি অর্জন করলেও তারা প্রফেশনাল দিক দিয়ে এক্সপার্ট হয়ে উঠে। শিক্ষার্থীরা বর্তমান সময়ের প্রফেশনাল স্কিল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এবং সাইবার এনালাইসিস বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠে। একই সঙ্গে ডাটা এনালিস্ট, ব্লক চেইন, বিগ ডাটা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের এক্সপার্টদের তত্ত্বাবধানে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো খুব সহজেই রপ্ত করতে পারে।

লিডারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন

বর্তমান সময়ে তরুণদের লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে সিইউবির সিএসই বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করছে এবং নতুন ইনোভেশন নিয়ে হাজির হচ্ছে। কম্পিউটার সোসাইটি ক্লাবের মাধ্যমে সারাবছর সিএসই বিভাগে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোসিউম, কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সিএই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠছে।

ফ্যাসিলিটিজ

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ রয়েছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম স্মার্ট ক্লাসরুমের ব্যবস্থা। একজন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করতে পারবে, তেমনি বাইরে থেকেও ক্লাস করতে পারবে। এছাড়া রয়েছে স্টুডেন্ট সার্ভিস রুম। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে রয়েছে বিশালায়তন কম্পিউটার ল্যাব। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের যেকোন বিষয় অনুশীলন করতে পারছে। ‘হাই ইমপ্যাক্ট আইওটি রিসার্চ ল্যাব, নেটওয়ার্কিং ল্যাব, সফটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ল্যাব এর ফলে সিএসই বিভাগে শিক্ষার্থীরা পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।

কোলাবোরেশন

জাপানিজ তথ্যপ্রযুক্তি বাজারে চাকরির জন্য প্রস্তুত হতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের একটি প্রকল্পের অধীনে এবং জাইকার সহযোগিতায় ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সাম-এর (আইটিইই) পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। যেখানে বাংলাদেশের মাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গে ইন্টারেকশনের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবোরেশনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ‘সিএসই’ বিভাগ প্রধান শাহ রেজা ফাহাদ হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মানের গ্রাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলছি। গতানুগতিক ধারার বাইরে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে তারা প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বের সঙ্গে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে সেদিকেই বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রথম থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশনের মাধ্যমে সিএসই বিভাগ শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ অবদান রাখছে যা সরকারের ভিশন-২০৪১ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ নতুন হলেও শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চার বছর মেয়াদী (১৫০ ক্রেডিট) বিএসসি ইন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ওয়েবসাইট- www.cub.edu.bd ভিজিট করা যাবে অথবা ০১৭০৭০৭০২৮০-৪ নম্বরে যোগাযোগ করে ভর্তিসহ আনুসঙ্গিক তথ্যাদি পাওয়া যাবে।

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১ , ১৬ মাঘ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

আগামীর বিশ্ব কম্পিউটার প্রকৌশলীদের

আসিক খান

image

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সব থেকে চাহিদাপূর্ণ চাকরি কোনটি? আগামীর বিশ্ব যে থাকবে কম্পিউটার প্রকৌশলীদের দখলে সেটা ধরেই নেয়া যায়। আগামী ১০ বছরে শুধু বাংলাদেশেই কয়েক লাখ প্রোগ্রামার প্রেয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন টেকনোলজির জন্য দরকার দক্ষ কম্পিউটার প্রকৌশলীর। ঠিক সেই কাজটিই করে যাচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্কুল অব সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধীন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। যেখানে একজন শিক্ষার্র্র্থী নিজেকে দক্ষ কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

দক্ষতা বৃদ্ধি

গত শতকেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ ছিল জ্ঞান বিতরণ। অর্থাৎ জ্ঞান হলো শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা যা আমরা বিভন্ন উৎস যেমন বই, সংবাদপত্র, ইন্টারনেট বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়ে থাকি। আর এই প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে সচেতন করে তোলে। কিন্তু বিংশ শতাব্দিতে এসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভূমিকা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান যাতে সঠিক সময়ে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারে, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, সেদিকে সবেচেয়ে বেশি জোর দিয়ে থাকে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ শিক্ষার্থীদের এই দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যাচ্ছে।

টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশন

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সর্বপ্রথম এদেশে টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশন সিস্টেম চালু করেছে। টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশন সিস্টেমে একটি কোর্সে সপ্তাহের প্রথম দুই দিন একটি লেকচার ক্লাস থাকে। পরবর্তি দিনে একটি টিউটোরিয়াল ক্লাস থাকে। শুরুতে যে লেকচারটি থাকে সেখানে তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে লেকচার দেয়া হয়, পরবর্তীতে টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীরা ওই বিষয়ের ওপর কোন রিয়েল লাইভ প্রবলেম অথবা কেস সলভ করে। টিউটোরিয়াল ক্লাসের শুরুতে পূর্ববর্তী ক্লাসের রিভিউ করা হয় এবং পরবর্তীতে পৃথক বা দলগতভাবে রিয়েল লাইফ প্রবলেম সলভ করতে দেয়া হয়। টিউটোরিয়াল এডুকেশন সিস্টেমে এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা ট্রেডিশনাল এডুকেশন সিস্টেমের মতো শুধু জ্ঞান অর্জ নয়, সেই সঙ্গে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। এখানে একজন শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকেই প্রয়োজনীয় উপকরণ পাবেন এবং চাকরি বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল কানেকশন

বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত তত্ত্বীয় বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান ইন্ডাস্ট্রিয়াল সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা থাকে না। সেই সঙ্গে ভালো যোগাযোগ না থাকায় চাকরির ক্ষেত্রে একটা বাধা সৃষ্টি হয়। কিন্তু কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর সিএসই বিভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ মাসের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করছে। যেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডায়ালগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরি বাজারের সঙ্গে একটি যোগসূত্র তৈরি হচ্ছে।

প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট

সিউবি কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ পরিবর্তীত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টে কাজ করে থাকে। সিএসইতে ডিগ্রি অর্জন করলেও তারা প্রফেশনাল দিক দিয়ে এক্সপার্ট হয়ে উঠে। শিক্ষার্থীরা বর্তমান সময়ের প্রফেশনাল স্কিল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এবং সাইবার এনালাইসিস বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠে। একই সঙ্গে ডাটা এনালিস্ট, ব্লক চেইন, বিগ ডাটা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের এক্সপার্টদের তত্ত্বাবধানে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো খুব সহজেই রপ্ত করতে পারে।

লিডারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন

বর্তমান সময়ে তরুণদের লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে সিইউবির সিএসই বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করছে এবং নতুন ইনোভেশন নিয়ে হাজির হচ্ছে। কম্পিউটার সোসাইটি ক্লাবের মাধ্যমে সারাবছর সিএসই বিভাগে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোসিউম, কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সিএই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠছে।

ফ্যাসিলিটিজ

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ রয়েছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম স্মার্ট ক্লাসরুমের ব্যবস্থা। একজন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করতে পারবে, তেমনি বাইরে থেকেও ক্লাস করতে পারবে। এছাড়া রয়েছে স্টুডেন্ট সার্ভিস রুম। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে রয়েছে বিশালায়তন কম্পিউটার ল্যাব। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের যেকোন বিষয় অনুশীলন করতে পারছে। ‘হাই ইমপ্যাক্ট আইওটি রিসার্চ ল্যাব, নেটওয়ার্কিং ল্যাব, সফটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ল্যাব এর ফলে সিএসই বিভাগে শিক্ষার্থীরা পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।

কোলাবোরেশন

জাপানিজ তথ্যপ্রযুক্তি বাজারে চাকরির জন্য প্রস্তুত হতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের একটি প্রকল্পের অধীনে এবং জাইকার সহযোগিতায় ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সাম-এর (আইটিইই) পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। যেখানে বাংলাদেশের মাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গে ইন্টারেকশনের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবোরেশনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ‘সিএসই’ বিভাগ প্রধান শাহ রেজা ফাহাদ হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মানের গ্রাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলছি। গতানুগতিক ধারার বাইরে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে তারা প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বের সঙ্গে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে সেদিকেই বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রথম থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। টিউটোরিয়াল বেসড এডুকেশনের মাধ্যমে সিএসই বিভাগ শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ অবদান রাখছে যা সরকারের ভিশন-২০৪১ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ নতুন হলেও শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চার বছর মেয়াদী (১৫০ ক্রেডিট) বিএসসি ইন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ওয়েবসাইট- www.cub.edu.bd ভিজিট করা যাবে অথবা ০১৭০৭০৭০২৮০-৪ নম্বরে যোগাযোগ করে ভর্তিসহ আনুসঙ্গিক তথ্যাদি পাওয়া যাবে।