রোহিঙ্গাদের মাঝে ভাসানচর যাওয়ার আগ্রহ বেড়েছে

স্বেচ্ছায় দু’দিনে আরও ৩ হাজার গেলেন

স্বেচ্ছায় ৩য় দফার প্রথম দলের যাত্রায় নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে ১ হাজার ৭৭৮ রোহিঙ্গা। গতকাল ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজে করে তারা ভাসান চরে পৌঁছেন। ৩য় ধাপের দ্বিতীয় দলসহ নারী পুরুষ মিলে প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচরে। বর্তমানে নতুন পুরাতন মিলে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।

৩য় ধাপের প্রথম দল যারা ভাসানচর পেঁছেছেন তারা সবাই সেখানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সেখানে তারা এখন আরাম আয়েশে জীবন-যাপন করতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন। আজ সকালে দ্বিতীয় দলের ১ হাজার ৩০০ জন চট্টগ্রামে পৌঁছবে। সেখান থেকে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাবেন।

বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপ-প্রকল্পের পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির। তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে ১৭শ’র বেশি রোহিঙ্গাকে পাচঁটি জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনা হয়। এরমধ্যে চারটি জাহাজে রোহিঙ্গাদের এবং একটি জাহাজে তাদের মালপত্র বহন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে করে রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিএএফ শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়।

জানা গেছে, ২৮ জানুয়ারি রাতে ৩০টি বাসে করে প্রথম যাত্রায় এক হাজার ৭ শতাধিক রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের কুতুপালং থেকে আনা হয় চট্টগ্রামের ট্রানজিট ক্যাম্পে। এবং গতকালই পৌঁছে যায় ভাসানচর, একইভাবে আজ ২য় যাত্রায় বাকি রোহিঙ্গাদের নেয়া হবে ভাসানচরে। সব মিলিয়ে ৩য় দফায় ভাসানচরে যাচ্ছে প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা। এভাবে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। যেখানে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধায় নির্মাণ করা হয়েছে এক হাজার ২০টি ক্লাস্টার গ্রাম, রয়েছে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থাও। উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা আবদুর রহিম ও নুরুল ইসলাম সংবাদকে জানান, ৩য় দফায় যারা স্বেচ্ছায় ভাসানচর গেছেন তারা সবাই সেখানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সেখানে তারা এখন আরাম আয়েশে জীবন-যাপন করছেন। ভাসানচরে তাদের ভালো থাকার খবর শুনে ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গারাও সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

তারা আরও জানান, ৩য় দফায় ভাসানচর যাওয়া রোহিঙ্গারা শুরুতে কিছুটা ভয় এবং উৎকণ্ঠায় ছিলেন। কিন্তু ভাসানচর যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের মাঝে একটা খুশির আমেজ বিরাজ করছে। তারা স্বেচ্ছায় ক্যাম্পের ঠাসাঠাসি বসবাস ছেড়ে ভাসানচরে যাচ্ছে।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যায় ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। তারও আগে ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে।

প্রথম ও ২য় ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ভাসানচরে পৌঁছানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮০১ জন পুরুষ, ৯৮৭ জন নারী এবং ১ হাজার ৬৫৮ জন শিশু। এর আগে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের মে মাসে ভাসানচর নেয়া হয়।

শরণার্থীদের চাপ কমাতে ২ বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

সরকারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, কক্সবাজারের ওই ক্যাম্পগুলোতে মোটামুটি সাড়ে ৬ হাজার একর জমিতে এখন ৮ লাখ ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার বসবাস। প্রতি বর্গকিলোমিটারে কোন কোন অংশে ৩০-৪০ হাজার মানুষকেও সেখানে থাকতে হচ্ছে। এই ঘনবসতির মধ্যে তাদের যেমন মানবেতন জীবন-যাপন করতে হচ্ছে, তেমনি স্থানীয়ভাবে নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে। সে কারণে তাদের একটি অংশকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

আরও জানা গেছে, ক্যাম্পগুলোতে ২০ জনের জন্য একটি টয়লেট এবং ৮০ জনের জন্য একটি গোসলখানা রয়েছে। অন্যদিকে ভাসানচরে ১১ জনের জন্য একটি টয়লেট এবং ১৬ জনের জন্য একটি গোসলখানা রয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় দিনে দিনে সেখানে পানির স্তর নিচে চলে যাচ্ছে, ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। ভাসানচরে প্রচুর সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকায় সে সমস্যা ভাসানচরে নেই।

কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই। কিছু রাস্তায় সড়ক বাতি রয়েছে। সিংহভাগ অঞ্চল অন্ধকারে থাকে বলে রাতে অপরাধের ঘটনাও বেশি ঘটে। অন্যদিকে ভাসানচরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে অনেক রোহিঙ্গার বসবাস এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব থাকায় সবার কাছে পৌঁছানোও কঠিন হয়। ভাসানচরে সে সমস্যা হবে না বলে প্রকল্প কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

উল্লেখ্য, মায়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে পড়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন।

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১ , ১৬ মাঘ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রোহিঙ্গাদের মাঝে ভাসানচর যাওয়ার আগ্রহ বেড়েছে

স্বেচ্ছায় দু’দিনে আরও ৩ হাজার গেলেন

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

image

তৃতীয় দফার প্রথম দল ভাসানচরে -সংবাদ

স্বেচ্ছায় ৩য় দফার প্রথম দলের যাত্রায় নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে ১ হাজার ৭৭৮ রোহিঙ্গা। গতকাল ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজে করে তারা ভাসান চরে পৌঁছেন। ৩য় ধাপের দ্বিতীয় দলসহ নারী পুরুষ মিলে প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচরে। বর্তমানে নতুন পুরাতন মিলে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।

৩য় ধাপের প্রথম দল যারা ভাসানচর পেঁছেছেন তারা সবাই সেখানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সেখানে তারা এখন আরাম আয়েশে জীবন-যাপন করতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন। আজ সকালে দ্বিতীয় দলের ১ হাজার ৩০০ জন চট্টগ্রামে পৌঁছবে। সেখান থেকে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাবেন।

বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপ-প্রকল্পের পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির। তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে ১৭শ’র বেশি রোহিঙ্গাকে পাচঁটি জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনা হয়। এরমধ্যে চারটি জাহাজে রোহিঙ্গাদের এবং একটি জাহাজে তাদের মালপত্র বহন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে করে রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিএএফ শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়।

জানা গেছে, ২৮ জানুয়ারি রাতে ৩০টি বাসে করে প্রথম যাত্রায় এক হাজার ৭ শতাধিক রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের কুতুপালং থেকে আনা হয় চট্টগ্রামের ট্রানজিট ক্যাম্পে। এবং গতকালই পৌঁছে যায় ভাসানচর, একইভাবে আজ ২য় যাত্রায় বাকি রোহিঙ্গাদের নেয়া হবে ভাসানচরে। সব মিলিয়ে ৩য় দফায় ভাসানচরে যাচ্ছে প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা। এভাবে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। যেখানে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধায় নির্মাণ করা হয়েছে এক হাজার ২০টি ক্লাস্টার গ্রাম, রয়েছে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থাও। উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা আবদুর রহিম ও নুরুল ইসলাম সংবাদকে জানান, ৩য় দফায় যারা স্বেচ্ছায় ভাসানচর গেছেন তারা সবাই সেখানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সেখানে তারা এখন আরাম আয়েশে জীবন-যাপন করছেন। ভাসানচরে তাদের ভালো থাকার খবর শুনে ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গারাও সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

তারা আরও জানান, ৩য় দফায় ভাসানচর যাওয়া রোহিঙ্গারা শুরুতে কিছুটা ভয় এবং উৎকণ্ঠায় ছিলেন। কিন্তু ভাসানচর যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের মাঝে একটা খুশির আমেজ বিরাজ করছে। তারা স্বেচ্ছায় ক্যাম্পের ঠাসাঠাসি বসবাস ছেড়ে ভাসানচরে যাচ্ছে।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যায় ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। তারও আগে ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে।

প্রথম ও ২য় ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ভাসানচরে পৌঁছানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮০১ জন পুরুষ, ৯৮৭ জন নারী এবং ১ হাজার ৬৫৮ জন শিশু। এর আগে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের মে মাসে ভাসানচর নেয়া হয়।

শরণার্থীদের চাপ কমাতে ২ বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

সরকারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, কক্সবাজারের ওই ক্যাম্পগুলোতে মোটামুটি সাড়ে ৬ হাজার একর জমিতে এখন ৮ লাখ ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার বসবাস। প্রতি বর্গকিলোমিটারে কোন কোন অংশে ৩০-৪০ হাজার মানুষকেও সেখানে থাকতে হচ্ছে। এই ঘনবসতির মধ্যে তাদের যেমন মানবেতন জীবন-যাপন করতে হচ্ছে, তেমনি স্থানীয়ভাবে নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে। সে কারণে তাদের একটি অংশকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

আরও জানা গেছে, ক্যাম্পগুলোতে ২০ জনের জন্য একটি টয়লেট এবং ৮০ জনের জন্য একটি গোসলখানা রয়েছে। অন্যদিকে ভাসানচরে ১১ জনের জন্য একটি টয়লেট এবং ১৬ জনের জন্য একটি গোসলখানা রয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় দিনে দিনে সেখানে পানির স্তর নিচে চলে যাচ্ছে, ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। ভাসানচরে প্রচুর সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকায় সে সমস্যা ভাসানচরে নেই।

কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই। কিছু রাস্তায় সড়ক বাতি রয়েছে। সিংহভাগ অঞ্চল অন্ধকারে থাকে বলে রাতে অপরাধের ঘটনাও বেশি ঘটে। অন্যদিকে ভাসানচরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে অনেক রোহিঙ্গার বসবাস এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব থাকায় সবার কাছে পৌঁছানোও কঠিন হয়। ভাসানচরে সে সমস্যা হবে না বলে প্রকল্প কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

উল্লেখ্য, মায়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে পড়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন।