যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়া ছাড়ার আহ্বান জানাল রুশ ও তুর্কি বাহিনীকে

যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়া ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে রুশ ও তুর্কি বাহিনীকে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস এ আহ্বান জানান। তার এ আহ্বানকে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ার ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের একটি শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এপি

লিবিয়া বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে এ নিয়ে কথা বলেন রিচার্ড মিলস। তিনি বলেন, ‘লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং দেশটিতে সব ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ দ্রুত বন্ধে রাশিয়া, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বাইরের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে আমরা তুরস্ক ও রাশিয়ার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে লিবিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং দেশটিতে নিজেদের সমর্থিত বিদেশি ভাড়াটে এবং সামরিক প্রক্সিগুলো অপসারণের আহ্বান জানাচ্ছি।’

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় ছয় বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এরমধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। তুরস্কের সমর্থনও এই সরকারের প্রতি। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব ও ফ্রান্স।

রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে অভিযান জোরালো করে হাফতার বাহিনী। এক পর্যায়ে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সহায়তায় তুরস্ক এগিয়ে এলে পিছু হটে হাফতার বাহিনী।

একপর্যায়ে বিদেশি সেনা ও বাইরের দেশের ভাড়াটে সেনাদের তিন মাসের মধ্যে লিবিয়া থেকে প্রত্যাহারে একটি প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘ। গত শনিবার এই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হয়। এই পরিস্থিতিতে তুর্কি ও রুশ বাহিনীকে লিবিয়া ছাড়ার আহ্বান জানাল যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১ , ১৬ মাঘ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়া ছাড়ার আহ্বান জানাল রুশ ও তুর্কি বাহিনীকে

image

তুরস্ক ও রাশিয়াকে লিবিয়া থেকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের -এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়া ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে রুশ ও তুর্কি বাহিনীকে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস এ আহ্বান জানান। তার এ আহ্বানকে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ার ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের একটি শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এপি

লিবিয়া বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে এ নিয়ে কথা বলেন রিচার্ড মিলস। তিনি বলেন, ‘লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং দেশটিতে সব ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ দ্রুত বন্ধে রাশিয়া, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বাইরের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে আমরা তুরস্ক ও রাশিয়ার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে লিবিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং দেশটিতে নিজেদের সমর্থিত বিদেশি ভাড়াটে এবং সামরিক প্রক্সিগুলো অপসারণের আহ্বান জানাচ্ছি।’

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় ছয় বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এরমধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। তুরস্কের সমর্থনও এই সরকারের প্রতি। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব ও ফ্রান্স।

রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে অভিযান জোরালো করে হাফতার বাহিনী। এক পর্যায়ে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সহায়তায় তুরস্ক এগিয়ে এলে পিছু হটে হাফতার বাহিনী।

একপর্যায়ে বিদেশি সেনা ও বাইরের দেশের ভাড়াটে সেনাদের তিন মাসের মধ্যে লিবিয়া থেকে প্রত্যাহারে একটি প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘ। গত শনিবার এই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হয়। এই পরিস্থিতিতে তুর্কি ও রুশ বাহিনীকে লিবিয়া ছাড়ার আহ্বান জানাল যুক্তরাষ্ট্র।