সড়ক নির্মাণের ত্রুটি দূর হবে কবে

ভুল নকশায় নির্মাণ করা যশোর-খুলনা মহাসড়কের পালবাড়ী থেকে রাজঘাট অংশের কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙে গেছে। ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ‘রাটিং’ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু হয়ে ফুলে উঠেছে। সমস্যা সমাধানে ফের পিচ ঢালাই করেও ফল মেলেনি।

সড়কের এ সমস্যাটি শুধু যশোর-খুলনা মহাসড়কেই নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও দৃশ্যমান হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে অনেকেই যানবাহনের চাপের কথা বলেন। দেশে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যে পরিমাণ গাড়ি চলে, বিদেশে চলে তার চেয়েও বেশি। তাদের রাস্তায় তো রাটিং হচ্ছে না। এদেশে হচ্ছে কেন? বাস্তবতা হলো, মানসম্পন্ন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে না বলেই এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর পেছনে প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে।

যে কোন নকশা মাঠপর্যায়ে কাজের উপযোগী না হলে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শককে জানানো উচিত। সেটা করা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন রাটিং সমস্যা দেখা দেয়, তখনই ফুলে উঁচু হয়ে যাওয়া অংশ কেটে উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার করে সমাধান করতে হবে। কিন্তু সেসব না করে প্রতি বছর ঢিলেঢালা মেরামতের পেছনেই সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।

যারা সড়ক নির্মাণ এবং সংস্কারের নামে দুর্নীতি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পরামর্শকের নির্দেশনা অনুযায়ী রাটিং মেরামত করতে হবে। কারিগরি সমাধান এমন হতে হবে, যাতে সড়ক টেকসই হয়। অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ি ঠেকাতে সড়কের প্রবেশমুখে ওয়ে স্কেল স্থাপন করতে হবে। সড়কের দুপাশে ধীরগতির যান চলাচলের সার্ভিস লেনের জন্য জায়গা রাখতে হবে।

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১ , ১৬ মাঘ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সড়ক নির্মাণের ত্রুটি দূর হবে কবে

ভুল নকশায় নির্মাণ করা যশোর-খুলনা মহাসড়কের পালবাড়ী থেকে রাজঘাট অংশের কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙে গেছে। ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ‘রাটিং’ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু হয়ে ফুলে উঠেছে। সমস্যা সমাধানে ফের পিচ ঢালাই করেও ফল মেলেনি।

সড়কের এ সমস্যাটি শুধু যশোর-খুলনা মহাসড়কেই নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও দৃশ্যমান হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে অনেকেই যানবাহনের চাপের কথা বলেন। দেশে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যে পরিমাণ গাড়ি চলে, বিদেশে চলে তার চেয়েও বেশি। তাদের রাস্তায় তো রাটিং হচ্ছে না। এদেশে হচ্ছে কেন? বাস্তবতা হলো, মানসম্পন্ন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে না বলেই এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর পেছনে প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে।

যে কোন নকশা মাঠপর্যায়ে কাজের উপযোগী না হলে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শককে জানানো উচিত। সেটা করা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন রাটিং সমস্যা দেখা দেয়, তখনই ফুলে উঁচু হয়ে যাওয়া অংশ কেটে উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার করে সমাধান করতে হবে। কিন্তু সেসব না করে প্রতি বছর ঢিলেঢালা মেরামতের পেছনেই সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।

যারা সড়ক নির্মাণ এবং সংস্কারের নামে দুর্নীতি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পরামর্শকের নির্দেশনা অনুযায়ী রাটিং মেরামত করতে হবে। কারিগরি সমাধান এমন হতে হবে, যাতে সড়ক টেকসই হয়। অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ি ঠেকাতে সড়কের প্রবেশমুখে ওয়ে স্কেল স্থাপন করতে হবে। সড়কের দুপাশে ধীরগতির যান চলাচলের সার্ভিস লেনের জন্য জায়গা রাখতে হবে।