এফবিসিসিআই-এমআইটি সলভ ভার্চুয়াল সলভেথন কর্মশালা

দেশে প্রথমবারের মতো ‘এফবিসিসিআই ভার্চুয়াল সলভেথন পাওয়ার্ড বাই এমআইটি সল্ভ এক্সিকিউটেড বাই এফবিসিসিআই টেক সি’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরী উপায় বের করে আনার লক্ষ্যে দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) সলভ-এর সহযোগিতায় গতকাল এ ভার্চুয়াল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৫শ’রও বেশি রেজিস্ট্রেশনকৃতদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ১৫০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নিয়ে মোট ১৪টি দল গঠন করা হয়েছে। এই ১৪টি দলের মধ্য থেকে বিভিন্ন দক্ষতা যাচাই-বাছাইয়ের পর সেরা ৩টি দল নির্বাচন করা হবে এবং পরবর্তীতে এই স্টার্টআপগুলোকে অর্থায়ন এবং এমআইটি সলভ ২০২১ গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা করা হবে।

স্টার্টআপগুলোর প্রশিক্ষণের জন্য এফবিসিসিআই টেক সি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি, সিঙ্গাপুরের একসিলারেটিং এশিয়া, কানাডার সেনেকা কলেজ এবং কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছে। এফবিসিসিআই ভার্চুয়াল সলভেথন-এ অংশগ্রহণকারীরা এমআইটি’র ২০২১ চ্যালেঞ্জ-এর চারটি থিম : রিজিলেন্ট ইকোসিস্টেম : কার্বন প্রশমনসহ ইকোসিস্টেম সার্ভিস সংরক্ষণ এবং জোরদার করা, হেলথ সিকিউরিটি অ্যান্ড প্যান্ডেমিকস : স্বাস্থ্য সুরক্ষা হুমকি এবং রোগের প্রকোপের প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করা, ইকুইটেবল ক্লাসরুমস অ্যান্ড লার্নিং স্পেসেস : পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শেখার পরিবেশ পুনর্বিবেচনা করা এবং ডিজিটাল ইনক্লুশন ফর ইকোনমিক জাস্টিস : প্রত্যেকের জন্য ডিজিটাল কমার্স এবং পাবলিক সার্ভিসের ন্যায়সঙ্গত সংযোগ নিশ্চিত করার কার্যকরী সমাধানের আইডিয়া নিয়ে কাজ করেছে।

এমআইটি সলভ ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-এর একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ যা বর্তমান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রদানে সক্ষম। প্রতি বছর সলভ স্টেকহোল্ডার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চারটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ডিজাইন করে থাকে। যার মধ্যে তারা রূপান্তরমূলক পরিবর্তন চালাতে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সমাধান প্রদানকারী দলটি বেছে নিতে পারবে। এরপর ব্যক্তিগত, সরকারি এবং মুনাফাবিহীন নেতাদের সমন্বয়ে বৈশ্বিক কমিউনিটি গঠন করে এবং এই কমিউনিটি সমাধান প্রদানকারী দলগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব গঠনে সাহায্য করে। আর এই অংশদারিত্বের ফলে দলগুলো তাদের প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশের সব খাতভিত্তিক সংগঠন ও চেম্বারগুলো এফবিসিসিআই-এর সদস্য। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এফবিসিসিআই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এবং এটি দেশের সামগ্রিক ব্যবসায়িক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

এফবিসিসিআই-এর বিশেষ উদ্যোগ এফবিসিসিআইএ ইমপ্যাক্ট ৪.০-এর আওতায় এফবিসিসিআই এডিআর সেন্টার, টেক সেন্টার, স্কিল ল্যাব, এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট, এফবিসিসিআই ইউনিভার্সিটি, ইকোনোমিক অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সেন্টার, মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ/সেমিনার/স্কিলস অডিটোরিয়াম ও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেডারেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এলডিসি ও এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ তৈরির কাজ চলছে।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ মাঘ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

এফবিসিসিআই-এমআইটি সলভ ভার্চুয়াল সলভেথন কর্মশালা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

দেশে প্রথমবারের মতো ‘এফবিসিসিআই ভার্চুয়াল সলভেথন পাওয়ার্ড বাই এমআইটি সল্ভ এক্সিকিউটেড বাই এফবিসিসিআই টেক সি’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরী উপায় বের করে আনার লক্ষ্যে দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) সলভ-এর সহযোগিতায় গতকাল এ ভার্চুয়াল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৫শ’রও বেশি রেজিস্ট্রেশনকৃতদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ১৫০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নিয়ে মোট ১৪টি দল গঠন করা হয়েছে। এই ১৪টি দলের মধ্য থেকে বিভিন্ন দক্ষতা যাচাই-বাছাইয়ের পর সেরা ৩টি দল নির্বাচন করা হবে এবং পরবর্তীতে এই স্টার্টআপগুলোকে অর্থায়ন এবং এমআইটি সলভ ২০২১ গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা করা হবে।

স্টার্টআপগুলোর প্রশিক্ষণের জন্য এফবিসিসিআই টেক সি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি, সিঙ্গাপুরের একসিলারেটিং এশিয়া, কানাডার সেনেকা কলেজ এবং কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছে। এফবিসিসিআই ভার্চুয়াল সলভেথন-এ অংশগ্রহণকারীরা এমআইটি’র ২০২১ চ্যালেঞ্জ-এর চারটি থিম : রিজিলেন্ট ইকোসিস্টেম : কার্বন প্রশমনসহ ইকোসিস্টেম সার্ভিস সংরক্ষণ এবং জোরদার করা, হেলথ সিকিউরিটি অ্যান্ড প্যান্ডেমিকস : স্বাস্থ্য সুরক্ষা হুমকি এবং রোগের প্রকোপের প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করা, ইকুইটেবল ক্লাসরুমস অ্যান্ড লার্নিং স্পেসেস : পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শেখার পরিবেশ পুনর্বিবেচনা করা এবং ডিজিটাল ইনক্লুশন ফর ইকোনমিক জাস্টিস : প্রত্যেকের জন্য ডিজিটাল কমার্স এবং পাবলিক সার্ভিসের ন্যায়সঙ্গত সংযোগ নিশ্চিত করার কার্যকরী সমাধানের আইডিয়া নিয়ে কাজ করেছে।

এমআইটি সলভ ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-এর একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ যা বর্তমান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রদানে সক্ষম। প্রতি বছর সলভ স্টেকহোল্ডার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চারটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ডিজাইন করে থাকে। যার মধ্যে তারা রূপান্তরমূলক পরিবর্তন চালাতে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সমাধান প্রদানকারী দলটি বেছে নিতে পারবে। এরপর ব্যক্তিগত, সরকারি এবং মুনাফাবিহীন নেতাদের সমন্বয়ে বৈশ্বিক কমিউনিটি গঠন করে এবং এই কমিউনিটি সমাধান প্রদানকারী দলগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব গঠনে সাহায্য করে। আর এই অংশদারিত্বের ফলে দলগুলো তাদের প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশের সব খাতভিত্তিক সংগঠন ও চেম্বারগুলো এফবিসিসিআই-এর সদস্য। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এফবিসিসিআই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এবং এটি দেশের সামগ্রিক ব্যবসায়িক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

এফবিসিসিআই-এর বিশেষ উদ্যোগ এফবিসিসিআইএ ইমপ্যাক্ট ৪.০-এর আওতায় এফবিসিসিআই এডিআর সেন্টার, টেক সেন্টার, স্কিল ল্যাব, এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট, এফবিসিসিআই ইউনিভার্সিটি, ইকোনোমিক অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সেন্টার, মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ/সেমিনার/স্কিলস অডিটোরিয়াম ও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেডারেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এলডিসি ও এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ তৈরির কাজ চলছে।