সেচ সংকটে দিশেহারা কৃষক
নোয়াখালী জেলার চাটখিলের দক্ষিণাঞ্চলের ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়নের বালিয়াধর গ্রামের কচুয়া খালের সুইচ গেইট খুলে দেয়ায় এ অঞ্চলের কয়েক হাজার একর জমির বোরোধান উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে কয়েক হাজার কৃষকও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। গত বুধবার সকালে শতাধিক কৃষক চাটখিলে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে চাটখিল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের নিকট তাদের অভিযোগ জানান।
কৃষকগণের অভিযোগ থেকে জানা যায়, বালিয়াধর গ্রামে কচুয়া খালে সরকারিভাবে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সুইচ গেইট নির্মাণ করা হয়। এ সুইচ গেইট থাকায় কচুয়া খালের পানি দিয়ে বালিয়াধর থেকে রুহিতখালী পর্যন্ত কৃষকরা কয়েক হাজার একর জমিতে বোরোধান চাষ করে থাকেন। ইতোমধ্যে কৃষকগণ বোরোধান রোপণ শেষ করেছেন। গত ২৫ জানুয়ারি রাতে কে বা কারা সুইচ গেইট খুলে দেয়। এতে করে কচুয়া খাল এবং জমিতে থাকা পানি নেমে যায়। জমিতে পানি না থাকায় কৃষকের রোপণ করা বোরোধান নষ্ট হতে চলেছে। বর্তমানে কৃষকগণ হতাশাগ্রস্ত হয়ে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছেন। কৃষকগণ আরও অভিযোগ করেন একটি পরিবারের স্বার্থের জন্য হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা জানান, তিনি কৃষকদের নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ মাঘ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২
সেচ সংকটে দিশেহারা কৃষক
প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী)
নোয়াখালী জেলার চাটখিলের দক্ষিণাঞ্চলের ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়নের বালিয়াধর গ্রামের কচুয়া খালের সুইচ গেইট খুলে দেয়ায় এ অঞ্চলের কয়েক হাজার একর জমির বোরোধান উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে কয়েক হাজার কৃষকও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। গত বুধবার সকালে শতাধিক কৃষক চাটখিলে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে চাটখিল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের নিকট তাদের অভিযোগ জানান।
কৃষকগণের অভিযোগ থেকে জানা যায়, বালিয়াধর গ্রামে কচুয়া খালে সরকারিভাবে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সুইচ গেইট নির্মাণ করা হয়। এ সুইচ গেইট থাকায় কচুয়া খালের পানি দিয়ে বালিয়াধর থেকে রুহিতখালী পর্যন্ত কৃষকরা কয়েক হাজার একর জমিতে বোরোধান চাষ করে থাকেন। ইতোমধ্যে কৃষকগণ বোরোধান রোপণ শেষ করেছেন। গত ২৫ জানুয়ারি রাতে কে বা কারা সুইচ গেইট খুলে দেয়। এতে করে কচুয়া খাল এবং জমিতে থাকা পানি নেমে যায়। জমিতে পানি না থাকায় কৃষকের রোপণ করা বোরোধান নষ্ট হতে চলেছে। বর্তমানে কৃষকগণ হতাশাগ্রস্ত হয়ে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছেন। কৃষকগণ আরও অভিযোগ করেন একটি পরিবারের স্বার্থের জন্য হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা জানান, তিনি কৃষকদের নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।