টিকা নিয়েছেন যারা ভালো আছেন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রতিটি ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না তা নয়। ভ্যাকসিন নেয়ার পরে জ্বর হতে পারে, মাথা ব্যথা হতে পারে, ভ্যাকসিন নেয়ার জায়গা একটু ফুলে যেতে পারে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। এখন পর্যন্ত যতজনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে তারা সবাই ভালো আছেন। গতকাল দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টিকা নিয়েছেন এমন কয়েকজন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ভালো আছেন তারা। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি উপস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রথম টিকা নিয়েছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর থেকে মন্ত্রী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। আর এ টিকা নিয়ে অনেকের মাঝে এখনও চলছে নানা আলোচনা। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন। আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেন ৬৯ বছর বয়সী প্রবীন সাংবাদিক আমিরুল মোমেনিন। তিনি দৈনিক সংবাদকে বলেন, ভ্যাকসিন নেয়ার তিনদিন পর গতকাল পর্যন্ত ও তিনি ভালো আছেন। তবে বাম হাতে যেখানে ভ্যাকসিন পুশ করা হয় সেই জায়গাতে কিছু ব্যথা লাগছে হাত নড়াচড়া করার সময় বলে তিনি জানান।

মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কেন্দ্র থেকে করোনা টিকা নিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। টিকা নেয়ার পর অনুভূতি জানিয়ে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন। আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুব দ্রুততার সঙ্গে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার জন্য। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করুন িি.িংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে ।’

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা গতকাল একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছি, আমার কোন অসুবিধা হয়নি। গত শুক্রবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছি। আজ এক আত্মীয়ের বিয়েতে আসলাম। আমি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছি।’ সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাই কোন দ্বিধা না করে স্বাভাবিকভাবে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। আশা করি কোন অসুবিধা কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। টিকা আমাদের জন্য এখন আশার আলো।’ প্রথম দিনে কয়েকজনের মধ্যে টিকা নিয়েছিলেন ডেইলি স্টার সিনিয়র রিপোর্টার মো. আল মাছুম মোল্লা। টিকা নেয়ার পর এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকা নেয়ার পর থেকে আমি স্বাভাবিকভাবে অফিস করছি। আমার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আমি অফিসের কাজে এখন রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ভাসানচরে অবস্থান করছি। এখানে এসেও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছি। যারা টিকা গ্রহণ করতে চাচ্ছেন বা টিকা গ্রহণ করবেন এবং সবাইকে একটাই কথা বলতে চাই একদম স্বাভাবিকভাবে টিকা গ্রহণ করুন। নার্স রুনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভয় পাচ্ছি কিনা বলার পর সাহস বেড়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন ঢামেকের নাক, কান ও গলা সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি। তিনি দৈনিক সংবাদকে বলেন, ‘টিকা গ্রহণ করে আমার কোন অসুবিধা হয়নি। ইনশাআল্লাহ ভালো আছি। সব কাজ ঠিকমতো করছি। আমি আবার দেড়মাস পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করব। তাই সবাইকে আহ্বান জানাব কোন ভয়ভীতি না করে টিকা গ্রহণ করতে।’

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ মাঘ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

টিকা নিয়েছেন যারা ভালো আছেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রতিটি ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না তা নয়। ভ্যাকসিন নেয়ার পরে জ্বর হতে পারে, মাথা ব্যথা হতে পারে, ভ্যাকসিন নেয়ার জায়গা একটু ফুলে যেতে পারে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। এখন পর্যন্ত যতজনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে তারা সবাই ভালো আছেন। গতকাল দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টিকা নিয়েছেন এমন কয়েকজন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ভালো আছেন তারা। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি উপস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রথম টিকা নিয়েছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর থেকে মন্ত্রী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। আর এ টিকা নিয়ে অনেকের মাঝে এখনও চলছে নানা আলোচনা। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন। আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেন ৬৯ বছর বয়সী প্রবীন সাংবাদিক আমিরুল মোমেনিন। তিনি দৈনিক সংবাদকে বলেন, ভ্যাকসিন নেয়ার তিনদিন পর গতকাল পর্যন্ত ও তিনি ভালো আছেন। তবে বাম হাতে যেখানে ভ্যাকসিন পুশ করা হয় সেই জায়গাতে কিছু ব্যথা লাগছে হাত নড়াচড়া করার সময় বলে তিনি জানান।

মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কেন্দ্র থেকে করোনা টিকা নিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। টিকা নেয়ার পর অনুভূতি জানিয়ে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন। আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুব দ্রুততার সঙ্গে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার জন্য। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করুন িি.িংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে ।’

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা গতকাল একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছি, আমার কোন অসুবিধা হয়নি। গত শুক্রবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছি। আজ এক আত্মীয়ের বিয়েতে আসলাম। আমি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছি।’ সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাই কোন দ্বিধা না করে স্বাভাবিকভাবে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। আশা করি কোন অসুবিধা কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। টিকা আমাদের জন্য এখন আশার আলো।’ প্রথম দিনে কয়েকজনের মধ্যে টিকা নিয়েছিলেন ডেইলি স্টার সিনিয়র রিপোর্টার মো. আল মাছুম মোল্লা। টিকা নেয়ার পর এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকা নেয়ার পর থেকে আমি স্বাভাবিকভাবে অফিস করছি। আমার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আমি অফিসের কাজে এখন রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ভাসানচরে অবস্থান করছি। এখানে এসেও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছি। যারা টিকা গ্রহণ করতে চাচ্ছেন বা টিকা গ্রহণ করবেন এবং সবাইকে একটাই কথা বলতে চাই একদম স্বাভাবিকভাবে টিকা গ্রহণ করুন। নার্স রুনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভয় পাচ্ছি কিনা বলার পর সাহস বেড়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন ঢামেকের নাক, কান ও গলা সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি। তিনি দৈনিক সংবাদকে বলেন, ‘টিকা গ্রহণ করে আমার কোন অসুবিধা হয়নি। ইনশাআল্লাহ ভালো আছি। সব কাজ ঠিকমতো করছি। আমি আবার দেড়মাস পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করব। তাই সবাইকে আহ্বান জানাব কোন ভয়ভীতি না করে টিকা গ্রহণ করতে।’