শহীদদের স্মরণে ওয়েবিনার ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে নির্মূল কমিটি

মিরপুর মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৯০ হাজারের বেশি সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের কাছে। তারপর কিছু পরাজিত পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ না করে অবস্থান নিয়েছিল মিরপুরের অবাঙালি রাজাকার-আলবদর অধ্যুষিত এলাকায়। দেড় মাস তারা তাদের এই অবস্থান ধরে রেখেছিল। ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী হানাদার মুক্ত করার জন্য মিরপুরে অভিযান চালায়।

নিখোঁজ অগ্রজ সাহিত্যিক সাংবাদিক শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে মিরপুর এসে বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কথাশিল্পী জহির রায়হান এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে শহীদ হয়েছেন। মিরপুর মুক্ত করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা লে. সেলিম ও পুলিশের ডিএসপি লোধীসহ সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা, যাদের জীবনের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের শেষ রণাঙ্গনে আমাদের বিজয় ঘটে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি। মিরপুরের যুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবার জন্য প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মিরপুর মুক্ত দিবস পালন করে। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর মিরপুরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য জনসমাবেশ ও র‌্যালির পরিবর্তে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ বিকেল ৩টায় ওয়েবিনারে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মিরপুর রণাঙ্গনের অন্যতম অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মিরপুরে শহীদ লে. সেলিমের ভাই, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি বাংলাদেশ-এর সভাপতি ডা. এমএ হাসান, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১-এর সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবীব, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ‘মুক্তিযুদ্ধের শেষ রণাঙ্গন মিরপুর- জহির রায়হান অন্তর্ধান রহস্যভেদ’ গ্রন্থের লেখক সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক, মিরপুরে শহীদ চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের পুত্র অনল রায়হান, মিরপুরে শহীদ সাংবাদিক আবু তালেবের পুত্র খন্দকার আবুল আহসান, আমরা নতুন প্রজন্মের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম কিরণ ও নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।

আজ সকাল ১০ টায় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে মিরপুরের শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ মাঘ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মিরপুর মুক্ত দিবস আজ

শহীদদের স্মরণে ওয়েবিনার ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে নির্মূল কমিটি

মিরপুর মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৯০ হাজারের বেশি সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের কাছে। তারপর কিছু পরাজিত পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ না করে অবস্থান নিয়েছিল মিরপুরের অবাঙালি রাজাকার-আলবদর অধ্যুষিত এলাকায়। দেড় মাস তারা তাদের এই অবস্থান ধরে রেখেছিল। ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী হানাদার মুক্ত করার জন্য মিরপুরে অভিযান চালায়।

নিখোঁজ অগ্রজ সাহিত্যিক সাংবাদিক শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে মিরপুর এসে বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কথাশিল্পী জহির রায়হান এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে শহীদ হয়েছেন। মিরপুর মুক্ত করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা লে. সেলিম ও পুলিশের ডিএসপি লোধীসহ সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা, যাদের জীবনের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের শেষ রণাঙ্গনে আমাদের বিজয় ঘটে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি। মিরপুরের যুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবার জন্য প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মিরপুর মুক্ত দিবস পালন করে। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর মিরপুরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য জনসমাবেশ ও র‌্যালির পরিবর্তে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ বিকেল ৩টায় ওয়েবিনারে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মিরপুর রণাঙ্গনের অন্যতম অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মিরপুরে শহীদ লে. সেলিমের ভাই, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি বাংলাদেশ-এর সভাপতি ডা. এমএ হাসান, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১-এর সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবীব, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ‘মুক্তিযুদ্ধের শেষ রণাঙ্গন মিরপুর- জহির রায়হান অন্তর্ধান রহস্যভেদ’ গ্রন্থের লেখক সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক, মিরপুরে শহীদ চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের পুত্র অনল রায়হান, মিরপুরে শহীদ সাংবাদিক আবু তালেবের পুত্র খন্দকার আবুল আহসান, আমরা নতুন প্রজন্মের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম কিরণ ও নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।

আজ সকাল ১০ টায় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে মিরপুরের শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।