জহির রায়হান অন্তর্ধান দিবসে চলে নানা স্মৃতিচারণ

জহির রায়হান। প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা, ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার। চলচ্চিত্রের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মৃতদেহ মিরপুরের বধ্যভূমিতে খুঁজতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি তার। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর হতে চললো, আজও খোঁজ মিলেনি তার।

সেই থেকে ঢাকাই সিনেমা তথা এদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে জানুয়ারির ৩০ তারিখকে জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। বছর যায় বছর আসে, গতকালও জহির রায়হানকে নিয়ে চলে নানা স্মৃতিচারণ। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনন্য কীর্তিমান তিনি। সাহিত্য, সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল জহির রায়হান। মাত্র ৩৬ বছরের জীবনে ঝড় তুলেছিলেন। স্বাধীন দেশে নিখোঁজ সহোদর শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই যান অজানার দেশে। তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে যা আজও অধরা। এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অনন্য ব্যক্তিত্ব, লেখক, সাংবাদিক জহির রায়হান। একই সঙ্গে কলম আর সেলুলয়েড দিয়ে পাকিস্তানের দুঃশাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন পাকিস্তান আমলে দমন-নিপীড়ন আর শোষিত বাঙালির বন্দী জীবনের প্রতিচ্ছবি। স্টপ জেনোসাইডের মতো তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি নিধনের চিত্র উন্মোচন করে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তোলেন তিনি। জহির রায়গহানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ এদেশের সিনেমার ইতিহাসে হয়ে আছে অনন্য সৃষ্টি।

লোকসংস্কৃতি থেকে নেয়া কাহিনীর চলচ্চিত্র ‘বেহুলা’ নির্মাণ করে জহির রায়হান এদেশের সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। কাচের দেয়াল, সঙ্গমের মতো চলচ্চিত্রের পাশাপাশি হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী, আর কতদিন, শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফালগুনের মমো উপন্যাস লিখেছেন তিনি। একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত জহির রায়হান।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ মাঘ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

জহির রায়হান অন্তর্ধান দিবসে চলে নানা স্মৃতিচারণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

জহির রায়হান। প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা, ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার। চলচ্চিত্রের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মৃতদেহ মিরপুরের বধ্যভূমিতে খুঁজতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি তার। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর হতে চললো, আজও খোঁজ মিলেনি তার।

সেই থেকে ঢাকাই সিনেমা তথা এদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে জানুয়ারির ৩০ তারিখকে জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। বছর যায় বছর আসে, গতকালও জহির রায়হানকে নিয়ে চলে নানা স্মৃতিচারণ। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনন্য কীর্তিমান তিনি। সাহিত্য, সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল জহির রায়হান। মাত্র ৩৬ বছরের জীবনে ঝড় তুলেছিলেন। স্বাধীন দেশে নিখোঁজ সহোদর শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই যান অজানার দেশে। তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে যা আজও অধরা। এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অনন্য ব্যক্তিত্ব, লেখক, সাংবাদিক জহির রায়হান। একই সঙ্গে কলম আর সেলুলয়েড দিয়ে পাকিস্তানের দুঃশাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন পাকিস্তান আমলে দমন-নিপীড়ন আর শোষিত বাঙালির বন্দী জীবনের প্রতিচ্ছবি। স্টপ জেনোসাইডের মতো তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি নিধনের চিত্র উন্মোচন করে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তোলেন তিনি। জহির রায়গহানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ এদেশের সিনেমার ইতিহাসে হয়ে আছে অনন্য সৃষ্টি।

লোকসংস্কৃতি থেকে নেয়া কাহিনীর চলচ্চিত্র ‘বেহুলা’ নির্মাণ করে জহির রায়হান এদেশের সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। কাচের দেয়াল, সঙ্গমের মতো চলচ্চিত্রের পাশাপাশি হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী, আর কতদিন, শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফালগুনের মমো উপন্যাস লিখেছেন তিনি। একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত জহির রায়হান।