দুর্নীতির মূলোৎপাটন জরুরি

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দুই ধাপ অবনতি হয়েছে। বেশি দুর্নীতির দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১২তম, যা আগের বছর ছিল ১৪তম। তবে সূচকে বাংলাদেশের নম্বর আগের মতোই আছে।

দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা উদ্বেগজনক। দুর্নীতির বোঝা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেই বেশি বইতে হয়। উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত সম্পদ দুর্নীতির কারণে বিনষ্ট হয়। অসাম্য এবং অন্যায় উৎসাহিত হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো প্রদান করে, যার ওপর দরিদ্র জনগোষ্ঠী নির্ভরশীল। দুর্নীতি এসব সেবাকে বাধাগ্রস্ত করে। সেবার মান ও পরিধি কমিয়ে দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয় না।

দুর্নীতি রোধে সরকারের কঠোর হওয়া প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। কাগজে-কলমে দুদক স্বাধীন হলেও কার্যক্ষেত্রে এ স্বাধীনতার পরিধি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ অবস্থায় দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নিতে হবে।

দুর্নীতি দূর করতে হলে প্রথমেই দরকার শুদ্ধাচারের যথাযথ বাস্তবায়ন। এটা হলে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হবে। এ ব্যাপারে সরকারের নীতিনির্ধারক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কঠোর নজরদারি থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন অর্থ-সম্পদ যাদের কাছে পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যেন দলীয় বা রাজনৈতিক আনুকূল্য না পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ মাঘ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দুর্নীতির মূলোৎপাটন জরুরি

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দুই ধাপ অবনতি হয়েছে। বেশি দুর্নীতির দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১২তম, যা আগের বছর ছিল ১৪তম। তবে সূচকে বাংলাদেশের নম্বর আগের মতোই আছে।

দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা উদ্বেগজনক। দুর্নীতির বোঝা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেই বেশি বইতে হয়। উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত সম্পদ দুর্নীতির কারণে বিনষ্ট হয়। অসাম্য এবং অন্যায় উৎসাহিত হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো প্রদান করে, যার ওপর দরিদ্র জনগোষ্ঠী নির্ভরশীল। দুর্নীতি এসব সেবাকে বাধাগ্রস্ত করে। সেবার মান ও পরিধি কমিয়ে দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয় না।

দুর্নীতি রোধে সরকারের কঠোর হওয়া প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। কাগজে-কলমে দুদক স্বাধীন হলেও কার্যক্ষেত্রে এ স্বাধীনতার পরিধি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ অবস্থায় দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নিতে হবে।

দুর্নীতি দূর করতে হলে প্রথমেই দরকার শুদ্ধাচারের যথাযথ বাস্তবায়ন। এটা হলে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হবে। এ ব্যাপারে সরকারের নীতিনির্ধারক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কঠোর নজরদারি থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন অর্থ-সম্পদ যাদের কাছে পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যেন দলীয় বা রাজনৈতিক আনুকূল্য না পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।