করোনা ভ্যাকসিন শুরু রংপুরে ৭, কুমিল্লায় ৮ ফেব্রুয়ারি

আজ রোববার সকালে রংপুরে করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। বেক্সিমকো ফার্মার একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে করে এসব ভ্যাকসিন পৌঁছায়। রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় ও ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটির সদস্যরা তা গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জেন জানান তাপমাত্রা পরীক্ষার পর এসব ভ্যাকসিন গ্রহণ করা হয়। মোট সতেরোটি কার্টুনে এসেছে। এসব ভ্যাকসিন। প্রতিটি কার্টুনে আছে বারোশো করে ভায়াল। মোট ২০ হাজার ৪শ ভ্যাকসিন এসেছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে। তিনি বলেন এর মধ্যে প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এই টিকা করা হবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬টি বুথ এবং ৭ উপজেলার জন্য ৭টি বুথ তৈরি করা হয়েছে। এখন যারা করোনা টিকা দেবে তাদের প্রশিক্ষণ চলছে ২-৩ দিনের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। তিনি আরও জানান এখন থেকে পর্যায়ক্রমে করোনা টিকা আসবে এবং দেয়া অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কুমিল্লা জেলায় ভ্যাকসিন টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ভ্যাকসিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এছাড়া বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য ৮ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এদিকে রবিবার ভোরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িযোগে এ জেলার জন্য ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে।

জানা যায়, রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কাভার্ডভ্যানযোগে ২ লাখ ৮৮ হাজার করোনার ভ্যাকসিন টিকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছে। টিকার ২৪টি কার্টুন তাপমাত্রা পরিমাপ করে জেলা ইপিআই কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লার সিভিল সার্জন কার্যালয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন এবং ১৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টিকা প্রদান করা হবে। টিকা গ্রহণকারীদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে রবিবার থেকে ভ্যাকসিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের তালিকার কাজ এবং প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা প্রতিটি উপজেলায় পৌঁছে যাবে। গতকাল রোববার থেকে ভ্যাকসিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো সপ্তাহজুড়ে এ প্রশিক্ষণ চলবে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনে যদি কোন বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কোন উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়, সেজন্য আমাদের ৮ সদস্য বিশিষ্ট ‘এ.ই.এফ.আই’ টিম গঠন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা মোকাবেলার জন্য তারাও প্রস্তুত রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা কুমিল্লাবাসীকে সেবা দিতে পারব।’

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

করোনা ভ্যাকসিন শুরু রংপুরে ৭, কুমিল্লায় ৮ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

আজ রোববার সকালে রংপুরে করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। বেক্সিমকো ফার্মার একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে করে এসব ভ্যাকসিন পৌঁছায়। রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় ও ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটির সদস্যরা তা গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জেন জানান তাপমাত্রা পরীক্ষার পর এসব ভ্যাকসিন গ্রহণ করা হয়। মোট সতেরোটি কার্টুনে এসেছে। এসব ভ্যাকসিন। প্রতিটি কার্টুনে আছে বারোশো করে ভায়াল। মোট ২০ হাজার ৪শ ভ্যাকসিন এসেছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে। তিনি বলেন এর মধ্যে প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এই টিকা করা হবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬টি বুথ এবং ৭ উপজেলার জন্য ৭টি বুথ তৈরি করা হয়েছে। এখন যারা করোনা টিকা দেবে তাদের প্রশিক্ষণ চলছে ২-৩ দিনের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। তিনি আরও জানান এখন থেকে পর্যায়ক্রমে করোনা টিকা আসবে এবং দেয়া অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কুমিল্লা জেলায় ভ্যাকসিন টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ভ্যাকসিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এছাড়া বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য ৮ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এদিকে রবিবার ভোরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িযোগে এ জেলার জন্য ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে।

জানা যায়, রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কাভার্ডভ্যানযোগে ২ লাখ ৮৮ হাজার করোনার ভ্যাকসিন টিকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছে। টিকার ২৪টি কার্টুন তাপমাত্রা পরিমাপ করে জেলা ইপিআই কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লার সিভিল সার্জন কার্যালয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন এবং ১৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টিকা প্রদান করা হবে। টিকা গ্রহণকারীদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে রবিবার থেকে ভ্যাকসিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের তালিকার কাজ এবং প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা প্রতিটি উপজেলায় পৌঁছে যাবে। গতকাল রোববার থেকে ভ্যাকসিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো সপ্তাহজুড়ে এ প্রশিক্ষণ চলবে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনে যদি কোন বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কোন উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়, সেজন্য আমাদের ৮ সদস্য বিশিষ্ট ‘এ.ই.এফ.আই’ টিম গঠন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা মোকাবেলার জন্য তারাও প্রস্তুত রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা কুমিল্লাবাসীকে সেবা দিতে পারব।’