ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ

ভার্চুয়াল সংলাপ

ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ কর্মসূচির কার্যকারিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের দারিদ্র্যের হার, জনসংখ্যা, বেকারত্বের হার ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে বহুমাত্রিক মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে। ত্রাণসেবা সংক্রান্ত প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সুবিধাভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণার পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করাসহ ত্রাণ কর্মসূচি কার্যকর করতে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে।

গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত করোনা ও আম্ফান মোকাবিলায় ত্রাণ কর্মসূচি এবং কৃষি প্রণোদনা : সরকারি পরিষেবার কার্যকারিতা শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সংলাপে এই সুপারিস জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

সিপিডির সুপারিশমালায় আরও বলা হয়, ‘আম্ফানের’ মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সরকারি সহায়তার অধিকতর কার্যকর ব্যবহার এবং অপচয় রোধে সার ও বীজের বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে এবং স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা, ফসল উৎপাদনের বিন্যাস অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। ইউনিয়ন ও উপজেলাভিত্তিক একটি তথ্যভা-ার (ডাটাবেস) তৈরি করতে হবে, যেখানে কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থা থেকে শুরু করে ফসল উৎপাদনের যাবতীয় তথ্য নিয়মিতভাবে সংগৃহীত হতে থাকবে। এতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সাহায্য দেয়া ও যোগ্য ব্যক্তি চিহ্নিত করা সহজতর হবে। সরকারি কৃষি প্রণোদনাসমূহ যেন দুর্যোগে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে পৌঁছায় তা নিশ্চিতে জিও-এনজিও সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকের তালিকা হালনাগাদ করে নতুনভাবে কৃষিকার্ড বিতরণের উদ্যোগ নিতে হবে। নিবিড় তদারকির ভিত্তিতে কৃষকের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কৃষি সহায়তাসমূহ সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য মাঠ পর্যায়ে বরাদ্দকৃত সরকারি চাকরির নিরিখে কৃষি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কৃষিঋণ বিতরণে বর্গাচাষি এবং ত্রাণ বিতরণে গ্রামে ফেরা মানুষের জন্য বিশেষ উদ্যোগের প্রয়োজন আছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত, ডাক দিয়ে যাই, পিরোজপুর-এর নির্বাহী পরিচালক মো. শাহজাহান গাজী সংলাপে অংশ নেন। কোভিড-১৯ অতিমারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোকে এই অতিমারী আরও কঠিন করছে বলে তারা মন্তব্য করেন। উপকূলীয় জেলাগুলোতে সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ও সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মোস্তফা আমির সাব্বিহ সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় করোনা ও আম্ফান মোকাবিলায় ত্রাণ এবং কৃষি পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে কিছু সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ পরিলক্ষিত হয়েছে। বরাদ্দ ও বিতরণের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা, সেবা সম্পর্কিত প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করা, স্থানীয় পর্যায়ে সুবিধাভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া (বিশেষ করে নগদ অর্থ সুবিধার ক্ষেত্রে) অংশগ্রহণমূলক করা, ভবিষ্যতে ২ হাজার ৫শ’ টাকারমতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এর অধিকতর কার্যকারিতার জন্য তালিকাভুক্ত হওয়া বা সেবা পাওয়ার শর্তের ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প রাখাসহ আরও পদক্ষেপ প্রয়োজন করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ কর্মসূচিকে কার্যকর করতে।

ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২ হাজার ৫শ’ টাকা মানবিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য এমন ৪ হাজার জনের একটি তালিকা জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হয়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে প্রেরণকৃত তালিকার মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি মানুষ এই সহায়তা পেয়েছেন। যারা তালিকাভুক্ত কিন্তু এখন ও সহায়তা পাননি তাদের সবার কাছে দ্রুত নগদ সহায়তা পেঁৗঁছানোর উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি আরও কার্যকর করার ক্ষেত্রে চাহিদা নিরূপণ এবং এর ভিত্তিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা সম্পর্কে জানানো ও জিও-এনজিও সমন্বয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে এই দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা বলেন।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। তিনি সমাপনী বক্তব্যে নাগরিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, এরকম সংলাপের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে যথাযথ সহযোগিতা দেয়ার উদ্দেশে সিপিডি, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশের ১৩টি জেলায় ‘গণতান্ত্রিক সুশাসনে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সরকারসহ বেসরকারি পর্যায়ের অন্যান্য সব সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ ও সক্রিয় অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের সক্ষমতা তৈরির চেষ্টা করা। এই সংলাপটি এ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ

ভার্চুয়াল সংলাপ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ কর্মসূচির কার্যকারিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের দারিদ্র্যের হার, জনসংখ্যা, বেকারত্বের হার ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে বহুমাত্রিক মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে। ত্রাণসেবা সংক্রান্ত প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সুবিধাভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণার পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করাসহ ত্রাণ কর্মসূচি কার্যকর করতে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে।

গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত করোনা ও আম্ফান মোকাবিলায় ত্রাণ কর্মসূচি এবং কৃষি প্রণোদনা : সরকারি পরিষেবার কার্যকারিতা শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সংলাপে এই সুপারিস জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

সিপিডির সুপারিশমালায় আরও বলা হয়, ‘আম্ফানের’ মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সরকারি সহায়তার অধিকতর কার্যকর ব্যবহার এবং অপচয় রোধে সার ও বীজের বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে এবং স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা, ফসল উৎপাদনের বিন্যাস অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। ইউনিয়ন ও উপজেলাভিত্তিক একটি তথ্যভা-ার (ডাটাবেস) তৈরি করতে হবে, যেখানে কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থা থেকে শুরু করে ফসল উৎপাদনের যাবতীয় তথ্য নিয়মিতভাবে সংগৃহীত হতে থাকবে। এতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সাহায্য দেয়া ও যোগ্য ব্যক্তি চিহ্নিত করা সহজতর হবে। সরকারি কৃষি প্রণোদনাসমূহ যেন দুর্যোগে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে পৌঁছায় তা নিশ্চিতে জিও-এনজিও সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকের তালিকা হালনাগাদ করে নতুনভাবে কৃষিকার্ড বিতরণের উদ্যোগ নিতে হবে। নিবিড় তদারকির ভিত্তিতে কৃষকের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কৃষি সহায়তাসমূহ সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য মাঠ পর্যায়ে বরাদ্দকৃত সরকারি চাকরির নিরিখে কৃষি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কৃষিঋণ বিতরণে বর্গাচাষি এবং ত্রাণ বিতরণে গ্রামে ফেরা মানুষের জন্য বিশেষ উদ্যোগের প্রয়োজন আছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত, ডাক দিয়ে যাই, পিরোজপুর-এর নির্বাহী পরিচালক মো. শাহজাহান গাজী সংলাপে অংশ নেন। কোভিড-১৯ অতিমারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোকে এই অতিমারী আরও কঠিন করছে বলে তারা মন্তব্য করেন। উপকূলীয় জেলাগুলোতে সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ও সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মোস্তফা আমির সাব্বিহ সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় করোনা ও আম্ফান মোকাবিলায় ত্রাণ এবং কৃষি পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে কিছু সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ পরিলক্ষিত হয়েছে। বরাদ্দ ও বিতরণের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা, সেবা সম্পর্কিত প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করা, স্থানীয় পর্যায়ে সুবিধাভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া (বিশেষ করে নগদ অর্থ সুবিধার ক্ষেত্রে) অংশগ্রহণমূলক করা, ভবিষ্যতে ২ হাজার ৫শ’ টাকারমতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এর অধিকতর কার্যকারিতার জন্য তালিকাভুক্ত হওয়া বা সেবা পাওয়ার শর্তের ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প রাখাসহ আরও পদক্ষেপ প্রয়োজন করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ কর্মসূচিকে কার্যকর করতে।

ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২ হাজার ৫শ’ টাকা মানবিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য এমন ৪ হাজার জনের একটি তালিকা জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হয়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে প্রেরণকৃত তালিকার মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি মানুষ এই সহায়তা পেয়েছেন। যারা তালিকাভুক্ত কিন্তু এখন ও সহায়তা পাননি তাদের সবার কাছে দ্রুত নগদ সহায়তা পেঁৗঁছানোর উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি আরও কার্যকর করার ক্ষেত্রে চাহিদা নিরূপণ এবং এর ভিত্তিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা সম্পর্কে জানানো ও জিও-এনজিও সমন্বয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে এই দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা বলেন।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। তিনি সমাপনী বক্তব্যে নাগরিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, এরকম সংলাপের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে যথাযথ সহযোগিতা দেয়ার উদ্দেশে সিপিডি, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশের ১৩টি জেলায় ‘গণতান্ত্রিক সুশাসনে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সরকারসহ বেসরকারি পর্যায়ের অন্যান্য সব সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ ও সক্রিয় অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের সক্ষমতা তৈরির চেষ্টা করা। এই সংলাপটি এ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়।