পরমাণু চুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনা বা পক্ষের অন্তর্ভুক্তি নাকচ ইরানের

পরমাণু চুক্তির বিষয়ে নতুন কোন আলোচনা বা নতুন কোন পক্ষের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে ইরান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এ সংক্রান্ত আলোচনায় সৌদি আরবকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলার পর ইরান এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আলজাজিরা

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ বলেন, ‘জাতিসংঘে গৃহীত বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির বিষয়ে নতুন করে কোন আলোচনা বা কোন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই, বলে দেয়া আছে।’

আল আরাবিয়া টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাখোঁ পরমাণু চুক্তিতে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ বাদ দেয়াকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করে এটিতে সৌদি আরবকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হতে হবে শক্ত। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে খুব বেশি সময় হাতে নেই বলেও মত দেন তিনি।

জবাবে খতিবজাদে বলেন, ফ্রান্স আগে নিজের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে দেখাক। ‘ফ্রান্স এখন আরবের উপসাগরীয় অঞলের দেশগুলোতে তাদের সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য পাগল হয়ে আছে। তাদের সেই নীতিগুলো পাল্টালেই হয়।’ তিনি বলেন, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্রে হাজার হাজার ইয়েমেনির প্রাণ যাচ্ছে এবং তারাই মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার মূল কারণ।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি আরও ২০ শতাংশ বেড়েছে। এই মাত্রা অর্জিত হয়েছিল পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আগে। চুক্তির কারণে তা সীমিত করা হয়।

বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বলেছেন, ইরান পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করলে যুক্তরাষ্ট্র আবার চুক্তিতে যোগ দেবে।

ইরানও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে তারা কর্মসূচি বন্ধ করবে না।

সম্প্রতি ইরানের আইনপ্রণেতারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পরমাণু কর্মসূচি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন সংসদে।

সৌদি আরব ও তার মিত্র আরব আমিরাত বলেছে, ইরানের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলোতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে মদদ দেয়া নিয়ে বসা দরকার। ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তায় ইয়েমেন যুদ্ধে জড়ায় সৌদি আরব। তাদের অভিযোগ সেখানকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইরানের মদদপুষ্ট।

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

পরমাণু চুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনা বা পক্ষের অন্তর্ভুক্তি নাকচ ইরানের

image

ইরানের নাতাঞ্জে পারমাণবিক কেন্দ্রের সেন্ট্রিফিউজ -ইন্টানেট

পরমাণু চুক্তির বিষয়ে নতুন কোন আলোচনা বা নতুন কোন পক্ষের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে ইরান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এ সংক্রান্ত আলোচনায় সৌদি আরবকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলার পর ইরান এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আলজাজিরা

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ বলেন, ‘জাতিসংঘে গৃহীত বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির বিষয়ে নতুন করে কোন আলোচনা বা কোন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই, বলে দেয়া আছে।’

আল আরাবিয়া টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাখোঁ পরমাণু চুক্তিতে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ বাদ দেয়াকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করে এটিতে সৌদি আরবকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হতে হবে শক্ত। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে খুব বেশি সময় হাতে নেই বলেও মত দেন তিনি।

জবাবে খতিবজাদে বলেন, ফ্রান্স আগে নিজের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে দেখাক। ‘ফ্রান্স এখন আরবের উপসাগরীয় অঞলের দেশগুলোতে তাদের সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য পাগল হয়ে আছে। তাদের সেই নীতিগুলো পাল্টালেই হয়।’ তিনি বলেন, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্রে হাজার হাজার ইয়েমেনির প্রাণ যাচ্ছে এবং তারাই মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার মূল কারণ।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি আরও ২০ শতাংশ বেড়েছে। এই মাত্রা অর্জিত হয়েছিল পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আগে। চুক্তির কারণে তা সীমিত করা হয়।

বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বলেছেন, ইরান পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করলে যুক্তরাষ্ট্র আবার চুক্তিতে যোগ দেবে।

ইরানও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে তারা কর্মসূচি বন্ধ করবে না।

সম্প্রতি ইরানের আইনপ্রণেতারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পরমাণু কর্মসূচি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন সংসদে।

সৌদি আরব ও তার মিত্র আরব আমিরাত বলেছে, ইরানের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলোতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে মদদ দেয়া নিয়ে বসা দরকার। ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তায় ইয়েমেন যুদ্ধে জড়ায় সৌদি আরব। তাদের অভিযোগ সেখানকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইরানের মদদপুষ্ট।