দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভার্সন চালু করা হবে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দুই হাজার শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
প্রথম পর্যায়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ে ইংরেজি ভার্সনের ক্লাস শুরু হবে জানিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্কুলে এটি চালু করা হবে। এজন্য দুই হাজার শিক্ষককে ট্রেনিং দিয়ে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। তারা ধাপে ধাপে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। এ বাবদ ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’
সরকারি স্কুলে ইংরেজি ভার্সন চালু করার জন্য শীঘ্রই পাইলটিং শুরু হবে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘এরপর সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই আমরা এটা শুরু করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় এক হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে ৯টি পিটিআই’র (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) মাধ্যমে ইংরেজিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আরও এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষককে ইংরেজির ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘১২ বছর বাধ্যতামূলক ইংরেজি বিষয় পড়ার পরও আমাদের চার কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতা দেখা যায়। ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমে প্রাথমিকের শিক্ষকরা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠবেন বলে আমি আশা করি।’
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব জিএম হাসিবুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষকের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় যে দুর্বলতা রয়েছে তা দূর করতে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ এসজিডি-৪ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে বাংলা বিষয়েও এ ধরনের কর্মসূচি নেয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভার্সন চালু করা হবে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দুই হাজার শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
প্রথম পর্যায়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ে ইংরেজি ভার্সনের ক্লাস শুরু হবে জানিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্কুলে এটি চালু করা হবে। এজন্য দুই হাজার শিক্ষককে ট্রেনিং দিয়ে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। তারা ধাপে ধাপে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। এ বাবদ ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’
সরকারি স্কুলে ইংরেজি ভার্সন চালু করার জন্য শীঘ্রই পাইলটিং শুরু হবে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘এরপর সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই আমরা এটা শুরু করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় এক হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে ৯টি পিটিআই’র (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) মাধ্যমে ইংরেজিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আরও এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষককে ইংরেজির ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘১২ বছর বাধ্যতামূলক ইংরেজি বিষয় পড়ার পরও আমাদের চার কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতা দেখা যায়। ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমে প্রাথমিকের শিক্ষকরা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠবেন বলে আমি আশা করি।’
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব জিএম হাসিবুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষকের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় যে দুর্বলতা রয়েছে তা দূর করতে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ এসজিডি-৪ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে বাংলা বিষয়েও এ ধরনের কর্মসূচি নেয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।