রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এক ফুল বিক্রেতা কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় খায়ের নামে এক বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঐ কিশোরীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। ময়না তদন্ত হয়নি।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, রাত ২টার দিকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটে খায়ের। একপর্যায়ে কিশোরীকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খায়ের। ঘটনার সময় কিশোরীর ৩ বান্ধবী খায়েরকে আটক করে মারধর শুরু করে। টহল পুলিশের একটি টিম ঘটনা দেখে এগিয়ে গেলে ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সব ঘটনা শুনে খায়েরকে আটক করে পুলিশ। কিশোরীকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করে।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে খুন হওয়া কিশোরীর ৩ বান্ধবীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ওই কিশোরীকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত কিশোরীর বান্ধবী শাহনেওয়াজ জানান, তারা রাজধানীর আজিমপুর, পলাশী, ঢাকা মেডিকেল এলাকায় ফুল বিক্রি করতেন। রাত হলে তারা ফুটপাতে ঘুমাতেন। নিহত ঐ বান্ধবীর বাবা-মা কামরাঙ্গীরচরে থাকেন। মা গৃহিণী, বাবা রিকশাচালক। তার বান্ধবীসহ তারা ৩ থেকে ৪ জন একসঙ্গে সব সময় চলাফেরা করতেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহনেওয়াজ জানান, রাতে তারা ৪ কিশোরী বান্ধবী শহীদ মিনার এলাকায় ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় খায়ের এসে টাকার বিনিময়ে ঐ কিশোরীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। কথা বলবে জানিয়ে কৌশলে শহীদ মিনারের পেছনে নিয়ে যায় খায়ের। সেখানে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে। পরে তারা গিয়ে খায়েরকে আটক করে। তখন দেখে ঐ কিশোরী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তারা খায়েরকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ আসে। পরে খায়েরকে আটক করে এবং তার বান্ধবীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশীদ জানান, শহীদ মিনারের পেছন থেকে খায়েরকে যখন আটক করা হয় তখন তার শরীরে কোন পোশাক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। আলমত হিসেবে ওড়না জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানায়, ধর্ষণের পর ওই কিশোরী খায়েরকে ধরে চিৎকার দিলে খায়ের ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এর মধ্যে ওই কিশোরীর ৩ বান্ধবী ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছে খায়েরকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে আর ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তাদের বান্ধবীর সঙ্গে কি করা হয়েছে বলেই ৩ মেয়ে খায়েরকে ধরে মারধর শুরু করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এক ফুল বিক্রেতা কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় খায়ের নামে এক বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঐ কিশোরীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। ময়না তদন্ত হয়নি।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, রাত ২টার দিকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটে খায়ের। একপর্যায়ে কিশোরীকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খায়ের। ঘটনার সময় কিশোরীর ৩ বান্ধবী খায়েরকে আটক করে মারধর শুরু করে। টহল পুলিশের একটি টিম ঘটনা দেখে এগিয়ে গেলে ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সব ঘটনা শুনে খায়েরকে আটক করে পুলিশ। কিশোরীকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করে।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে খুন হওয়া কিশোরীর ৩ বান্ধবীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ওই কিশোরীকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত কিশোরীর বান্ধবী শাহনেওয়াজ জানান, তারা রাজধানীর আজিমপুর, পলাশী, ঢাকা মেডিকেল এলাকায় ফুল বিক্রি করতেন। রাত হলে তারা ফুটপাতে ঘুমাতেন। নিহত ঐ বান্ধবীর বাবা-মা কামরাঙ্গীরচরে থাকেন। মা গৃহিণী, বাবা রিকশাচালক। তার বান্ধবীসহ তারা ৩ থেকে ৪ জন একসঙ্গে সব সময় চলাফেরা করতেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহনেওয়াজ জানান, রাতে তারা ৪ কিশোরী বান্ধবী শহীদ মিনার এলাকায় ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় খায়ের এসে টাকার বিনিময়ে ঐ কিশোরীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। কথা বলবে জানিয়ে কৌশলে শহীদ মিনারের পেছনে নিয়ে যায় খায়ের। সেখানে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে। পরে তারা গিয়ে খায়েরকে আটক করে। তখন দেখে ঐ কিশোরী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তারা খায়েরকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ আসে। পরে খায়েরকে আটক করে এবং তার বান্ধবীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশীদ জানান, শহীদ মিনারের পেছন থেকে খায়েরকে যখন আটক করা হয় তখন তার শরীরে কোন পোশাক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। আলমত হিসেবে ওড়না জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানায়, ধর্ষণের পর ওই কিশোরী খায়েরকে ধরে চিৎকার দিলে খায়ের ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এর মধ্যে ওই কিশোরীর ৩ বান্ধবী ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছে খায়েরকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে আর ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তাদের বান্ধবীর সঙ্গে কি করা হয়েছে বলেই ৩ মেয়ে খায়েরকে ধরে মারধর শুরু করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়।