প্রি-পেইড মিটার না লাগাতে আল্টিমেটাম বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে গণশুনানি করার আগে প্রি-পেইড মিটার না লাগানোর জন্য নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের এক বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এই মিটার না লাগানোর জন্য সংগঠনটি ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। নেসকো কর্ণপাত না করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগররে জাদুঘর মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হেতেমখাঁ এলাকায় নেসকো কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী। বক্তব্য দেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে আগে গ্রাহকদের বাড়িতে এনালগ বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। সেই মিটার সরিয়ে ডিজিটাল মিটার বসানো হয়েছে। এখন আবার ডিজিটাল মিটার ফেলে দিয়ে প্রি-পেইড মিটার বসানো হচ্ছে। অথচ রাজশাহীতে কোন গ্রাহকের বিল বকেয়া নেই। কিন্তু সচল মিটার ফেলে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হচ্ছে। এটি জনগণের পকেট কাটার একটি ফন্দি। এই মিটার জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এটা তারা বাস্তবায়ন হতে দেবেন না।

সম্প্রতি নগরের কুমারপাড়া এলাকায় প্রি-পেইড মিটার লাগানোর সময় নেসকোর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাধা দেন নগর আওয়ামী লীগের নেতা ডাবলু সরকার। তিনি সেদিন কর্মীদের ফিরিয়ে দেন। রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের এই সমাবেশে ডাবলু সরকার বলেন, এখন থেকে নগরীর একটি বাড়িতেও প্রি-পেইড মিটার লাগানো যাবে না। এই মিটার লাগানোর আগে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডেই গণশুনানি করতে হবে। গণশুনানির আগে এই মিটার কেউ নেবে না। ইতোমধ্যে যেসব বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খুলে নেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। বক্তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ মহাবিপদে পড়েছেন। রাজশাহীর মানুষকে তারা এমন বিপদে পড়তে দিতে চান না।

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রাজশাহীতে

প্রি-পেইড মিটার না লাগাতে আল্টিমেটাম বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে গণশুনানি করার আগে প্রি-পেইড মিটার না লাগানোর জন্য নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের এক বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এই মিটার না লাগানোর জন্য সংগঠনটি ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। নেসকো কর্ণপাত না করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগররে জাদুঘর মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হেতেমখাঁ এলাকায় নেসকো কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী। বক্তব্য দেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে আগে গ্রাহকদের বাড়িতে এনালগ বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। সেই মিটার সরিয়ে ডিজিটাল মিটার বসানো হয়েছে। এখন আবার ডিজিটাল মিটার ফেলে দিয়ে প্রি-পেইড মিটার বসানো হচ্ছে। অথচ রাজশাহীতে কোন গ্রাহকের বিল বকেয়া নেই। কিন্তু সচল মিটার ফেলে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হচ্ছে। এটি জনগণের পকেট কাটার একটি ফন্দি। এই মিটার জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এটা তারা বাস্তবায়ন হতে দেবেন না।

সম্প্রতি নগরের কুমারপাড়া এলাকায় প্রি-পেইড মিটার লাগানোর সময় নেসকোর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাধা দেন নগর আওয়ামী লীগের নেতা ডাবলু সরকার। তিনি সেদিন কর্মীদের ফিরিয়ে দেন। রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের এই সমাবেশে ডাবলু সরকার বলেন, এখন থেকে নগরীর একটি বাড়িতেও প্রি-পেইড মিটার লাগানো যাবে না। এই মিটার লাগানোর আগে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডেই গণশুনানি করতে হবে। গণশুনানির আগে এই মিটার কেউ নেবে না। ইতোমধ্যে যেসব বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খুলে নেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। বক্তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ মহাবিপদে পড়েছেন। রাজশাহীর মানুষকে তারা এমন বিপদে পড়তে দিতে চান না।