এইচএসসির ফল : উচ্চশিক্ষার বিকল্প পথগুলো যেন মসৃণ থাকে

২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় পরীক্ষা আয়োজন করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা ছাড়াই আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে সবাইকে পাস করানো হয়েছে। আর এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।

সব শিক্ষার্থী পাস করায় স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা খুশি। অবশ্য উচ্চশিক্ষায় আসনের চেয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থী বেশি। কারণ, ফরম পূরণকারী ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। ফলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। শিক্ষার্থীদের কেন শতভাগ পাস করানো হলোÑতা নিয়ে কেউ কেউ বিতর্কও করছেন।

তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না। সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেই হবে, এটাও কোন কাজের কথা নয়। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এবং মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন কর্মযজ্ঞে প্রবেশ করবেন। কেউ হয়ত কারিগরি শিক্ষার দিকে যাবেন, কেউ হয়ত টেক্সটাইল, লেদার টেকনোলজি কিংবা নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করবেন, কেউ হয়ত উদ্যোক্তা হবেন। এখন জরুরি হচ্ছে শিক্ষার্থীর জন্য সব ধরনের সুযোগ অবারিত করা। উচ্চশিক্ষার বিকল্প পথগুলো যেন মসৃণ থাকে, উদ্যোক্তা হলে যেন ঠিকমতো ঋণ সহায়তা পাওয়া যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

এইচএসসির রেজাল্ট হয়ে গেছে। কাজেই এ নিয়ে বিতর্ক করার কোন যুক্তি নেই। বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের দিকে তাকাতে হবে। তারা যেন কোনভাবেই হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের জন্য নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

এইচএসসির ফল : উচ্চশিক্ষার বিকল্প পথগুলো যেন মসৃণ থাকে

২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় পরীক্ষা আয়োজন করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা ছাড়াই আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে সবাইকে পাস করানো হয়েছে। আর এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।

সব শিক্ষার্থী পাস করায় স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা খুশি। অবশ্য উচ্চশিক্ষায় আসনের চেয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থী বেশি। কারণ, ফরম পূরণকারী ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। ফলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। শিক্ষার্থীদের কেন শতভাগ পাস করানো হলোÑতা নিয়ে কেউ কেউ বিতর্কও করছেন।

তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না। সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেই হবে, এটাও কোন কাজের কথা নয়। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এবং মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন কর্মযজ্ঞে প্রবেশ করবেন। কেউ হয়ত কারিগরি শিক্ষার দিকে যাবেন, কেউ হয়ত টেক্সটাইল, লেদার টেকনোলজি কিংবা নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করবেন, কেউ হয়ত উদ্যোক্তা হবেন। এখন জরুরি হচ্ছে শিক্ষার্থীর জন্য সব ধরনের সুযোগ অবারিত করা। উচ্চশিক্ষার বিকল্প পথগুলো যেন মসৃণ থাকে, উদ্যোক্তা হলে যেন ঠিকমতো ঋণ সহায়তা পাওয়া যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

এইচএসসির রেজাল্ট হয়ে গেছে। কাজেই এ নিয়ে বিতর্ক করার কোন যুক্তি নেই। বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের দিকে তাকাতে হবে। তারা যেন কোনভাবেই হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের জন্য নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।