সুন্দরগঞ্জে আধুনিক যন্ত্রে চারা রোপণ

হালচাষসহ ধান কাটামাড়াই যন্ত্রের সাথে কমবেশি সকল কৃষকের একটা পরিচিতি রয়েছে। তবে চারা রোপর যন্ত্রের (রাইস ট্রান্সপ্লান্টার) ব্যবহার সর্ম্পকে তেমন ধারনা নেই অনেকের। দিনমজুরের সংকট মোকাবেলা এবং চাহিদা মেটাতে ধানের চারা রোপনে কৃষিতে যোগহল চারা রোপন যন্ত্র। অল্প সময়ে অধিক জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চারা রোপন এবং ভাল ফলনের আশায় এই যন্ত্রের যাত্রা শুরু করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গত ২৬ জানুয়ারী উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর চেংমারী গ্রামে ৫০ একর জমিতে সমলয়ে ইরিবোর চারা রোপনের মধ্য দিয়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের কায়ক্রম চালু করেন কৃষি অধিদপ্তর। এই যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপনে অল্প জমির মালিকরা বঞ্চিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে মর্মে অনেকে ধারনা করছেন। কথা হয় উপজেলার চেংমারি গ্রামের কৃষক ফরমান আলীর সাথে। তিনি বলেন এই যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপনে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনি কিছুটা অসুবিধা রয়েছে। তিনি বলেন অল্প জমির মালিকরা এই যন্ত্রের সুবিধা নিতে পারবে না। তাছাড়া জমির বাঁকের মধ্যে এবং আইলের সাথে চারা রোপন করতে অসুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন এ বছরেই যেহেতু প্রথম, ফলন কেমন হয় তা লক্ষ করতে হবে। তবে ফলন ভাল হলে যন্ত্রের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, কৃষিবিজ্ঞানীগণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যন্ত্রটি আবিস্কার করেছেন। আশা করা যাচ্ছে ফলন অত্যন্ত ভাল হবে। আগামীতে এই যন্ত্রের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সুন্দরগঞ্জে আধুনিক যন্ত্রে চারা রোপণ

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

image

হালচাষসহ ধান কাটামাড়াই যন্ত্রের সাথে কমবেশি সকল কৃষকের একটা পরিচিতি রয়েছে। তবে চারা রোপর যন্ত্রের (রাইস ট্রান্সপ্লান্টার) ব্যবহার সর্ম্পকে তেমন ধারনা নেই অনেকের। দিনমজুরের সংকট মোকাবেলা এবং চাহিদা মেটাতে ধানের চারা রোপনে কৃষিতে যোগহল চারা রোপন যন্ত্র। অল্প সময়ে অধিক জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চারা রোপন এবং ভাল ফলনের আশায় এই যন্ত্রের যাত্রা শুরু করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গত ২৬ জানুয়ারী উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর চেংমারী গ্রামে ৫০ একর জমিতে সমলয়ে ইরিবোর চারা রোপনের মধ্য দিয়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের কায়ক্রম চালু করেন কৃষি অধিদপ্তর। এই যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপনে অল্প জমির মালিকরা বঞ্চিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে মর্মে অনেকে ধারনা করছেন। কথা হয় উপজেলার চেংমারি গ্রামের কৃষক ফরমান আলীর সাথে। তিনি বলেন এই যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপনে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনি কিছুটা অসুবিধা রয়েছে। তিনি বলেন অল্প জমির মালিকরা এই যন্ত্রের সুবিধা নিতে পারবে না। তাছাড়া জমির বাঁকের মধ্যে এবং আইলের সাথে চারা রোপন করতে অসুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন এ বছরেই যেহেতু প্রথম, ফলন কেমন হয় তা লক্ষ করতে হবে। তবে ফলন ভাল হলে যন্ত্রের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, কৃষিবিজ্ঞানীগণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যন্ত্রটি আবিস্কার করেছেন। আশা করা যাচ্ছে ফলন অত্যন্ত ভাল হবে। আগামীতে এই যন্ত্রের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।