কনকনে শীতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

মাঘ মাসের কনকনে শীতে বাড়ছে নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ। বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই আসছে শিশুসহ সব বয়সী রোগী। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ৫০৬ জন রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে এ হাসপাতালে। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এমন সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পৌষ ও মাঘ মাসের কনকনে শীতে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্যান্য বয়সীদের সর্দি কাশি, এ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের একটু বেশিই সমস্যা হয়। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত আসছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী। ২০২০ সালের ডিসেম্বর ও ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০৬ জন রোগীকে ঠাণ্ডাজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাফিজা সুলতানা জানান, মাঘ মাসের কনকনে শীতে বেশিরভাগ রোগী আসছে শিশু ও পঞ্চাশর্ধ ব্যক্তি। শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া এবং বৃদ্ধরা এ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আব্দুল্লাহর মা বন্যা খাতুন জানান, অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে আমার ছেলের ডায়রিয়া হয়েছে। হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর আমার ছেলে এখন সুস্থ। এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ডা. আবদুল কাদের বলেন, এই শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে। আমাদের মেডিকেল অফিসার, সহকারী মেডিকেল অফিসার, নার্স ও মিডওয়াইফরা দিন-রাত পরিশ্রম করে তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কনকনে শীতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

image

মাঘ মাসের কনকনে শীতে বাড়ছে নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ। বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই আসছে শিশুসহ সব বয়সী রোগী। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ৫০৬ জন রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে এ হাসপাতালে। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এমন সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পৌষ ও মাঘ মাসের কনকনে শীতে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্যান্য বয়সীদের সর্দি কাশি, এ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের একটু বেশিই সমস্যা হয়। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত আসছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী। ২০২০ সালের ডিসেম্বর ও ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০৬ জন রোগীকে ঠাণ্ডাজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাফিজা সুলতানা জানান, মাঘ মাসের কনকনে শীতে বেশিরভাগ রোগী আসছে শিশু ও পঞ্চাশর্ধ ব্যক্তি। শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া এবং বৃদ্ধরা এ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আব্দুল্লাহর মা বন্যা খাতুন জানান, অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে আমার ছেলের ডায়রিয়া হয়েছে। হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর আমার ছেলে এখন সুস্থ। এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ডা. আবদুল কাদের বলেন, এই শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে। আমাদের মেডিকেল অফিসার, সহকারী মেডিকেল অফিসার, নার্স ও মিডওয়াইফরা দিন-রাত পরিশ্রম করে তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।